একাদশ নয়, সাফজয়ী পুরো দল পাবে একুশে পদক

এবারের একুশে পদক কারা পাবেন, কদিন আগে সেটা ঘোষণা করা হয়েছে। ব্যক্তির বাইরে একমাত্র সংগঠন বা দল হিসেবে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পদকটি পাচ্ছে সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী দল। আনন্দের খবর, তবে এর মাঝেও বিপত্তি দেখতে পায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বিপত্তি নিষ্পত্তিতে উদ্যোগ নেয় দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। অনেক চিঠি চালাচালির পর মিললো সমাধানও। একাদশ বা ১১ জন নয়; সাফজয়ী পুরো দলকে দেওয়া হবে একুশে পদক।
গত বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত সাফের ফাইনালে নেপালকে হারানোর মিশনে সেরা একাদশে থাকা ১১ জনকে একুশে পদক দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু বাফুফের পক্ষ থেকে খেলোয়াড়, কোচ, কোচিং স্টাফসহ সবার নাম পাঠানো হয়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়, চলে চিঠি চালাচালিও। এরই ধারাবাহিকতায় সাফজয়ী পুরো দলকে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবদুল মালেকের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপণে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলকে পদক গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। একুশে পদক দেবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে পদক নিতে অধিনায়ক ও একজন বিকল্প খেলোয়াড়ের নাম দিতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, 'দলের পক্ষে একজন মঞ্চে প্রধান উপদেষ্টার নিকট হতে পদক গ্রহণের জন্য সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়ন ২০২৪ এর দলনেতার নাম ও একজন বিকল্প খেলোয়াড়ের নাম' সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর বিষয়টি। দলের বাকিরা মঞ্চে উঠতে পারবেন না, তবে পুরো দলই আমন্ত্রিত একুশে পদকের অনুষ্ঠানে।
সেমি-ফাইনালে ভুটানকে গোল বন্যায় ভাসানো এবং পরে ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জেতা। ২০২২ নারী সাফের গল্পই গত বছর নতুন করে লেখে বাংলাদেশ। নেপালকেই হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার সাফের রানীর খেতাব জেতে বাংলাদেশের মেয়েরা। দুই আসরেই বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন সাবিনা খাতুন।
একুশে পদক গ্রহণ করতে মঞ্চে থাকবেন তিনি। তবে সাবিনার সঙ্গে বিকল্প খেলোয়াড় কে হবেন, সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বাফুফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্দার নাম মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।