Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বন্যার ফলে যেভাবে সৃষ্টি হয়েছিল ভূমধ্যসাগর

বিজ্ঞানীরা জানালেন ৫৩ লক্ষ বছর আগের এক ভয়াবহ বন্যার নতুন তথ্য, যা সৃষ্টি করেছিল ভূমিকম্প, তীব্র ঝড় এবং নায়াগ্রার চেয়ে ৩০ গুণ উঁচু এক বিশাল জলপ্রপাত।
পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বন্যার ফলে যেভাবে সৃষ্টি হয়েছিল ভূমধ্যসাগর

আন্তর্জাতিক

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক
06 June, 2025, 12:30 pm
Last modified: 06 June, 2025, 12:35 pm

Related News

  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঘর বিতরণ প্রধান উপদেষ্টার
  • ভূমধ্যসাগরে মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফেরা ৫ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন
  • ফিরে দেখা ২০২৪: একতরফা নির্বাচন থেকে স্বৈরাচারের পতন, নতুন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা
  • অভিবাসীদের নৌকাডুবি; ভূমধ্যসাগরে ৩ দিন টায়ার টিউব ধরে ভাসছিল ১১ বছরের শিশু
  • বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়া রাজাকে দুয়ো দিল স্পেনের বিক্ষুব্ধ জনতা, ছুড়ে মারল ডিম

পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বন্যার ফলে যেভাবে সৃষ্টি হয়েছিল ভূমধ্যসাগর

বিজ্ঞানীরা জানালেন ৫৩ লক্ষ বছর আগের এক ভয়াবহ বন্যার নতুন তথ্য, যা সৃষ্টি করেছিল ভূমিকম্প, তীব্র ঝড় এবং নায়াগ্রার চেয়ে ৩০ গুণ উঁচু এক বিশাল জলপ্রপাত।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক
06 June, 2025, 12:30 pm
Last modified: 06 June, 2025, 12:35 pm

ভূমধ্যসাগরের গভীর নীল রঙের নয়নাভিরাম যে রূপ আজ আমরা দেখি, ছয় মিলিয়ন বছর আগে সেটি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষের কারণে জিব্রাল্টার প্রণালীতে একটি পর্বতশ্রেণি গড়ে ওঠে, যা আটলান্টিক মহাসাগর থেকে ভূমধ্যসাগরকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে প্রচণ্ড রোদের তাপে ভূমধ্যসাগরের পানি ধীরে ধীরে বাষ্প হয়ে শুকিয়ে যায়। পরিণত হয় কিছু লবণাক্ত হ্রদ ও বিস্তীর্ণ সাদা লবণের প্রলেপে ।

এই সময়কে বিজ্ঞানীরা বলেন 'মেসিনিয়ান স্যালিনিটি ক্রাইসিস'। এইযুগের শেষদিকে ভূমধ্যসাগরের জীববৈচিত্র্য প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।

কিন্তু ৫৩ লক্ষ বছর আগে, একদিন এই দৃশ্য বদলে যেতে শুরু করে। যদি সেই সময় কেউ জিব্রাল্টারের পাহাড়ি পথ দিয়ে হাঁটতেন, তবে হয়তো একটি অদ্ভুত দৃশ্য দেখতে পেতেন,সামান্য পানি পর্বতের গা বেয়ে নামছে। আটলান্টিক মহাসাগরের দিক থেকে সেই পানি আসছিল। পর্বতগুলো ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছিলো। একবার শুরু হলে, সেই জলধারা আর থামেনি। ধীরে ধীরে পর্বতগুলো ডুবে যায়, ছোট ধারাটি নদীতে পরিণত হয়। তারপর নদীটা বিশাল জলপ্রবাহে রূপ নেয়। এই প্রবাহ ছিল একসাথে হাজারটা আমাজন নদীর মতো শক্তিশালী এইভাবে শেষ হয় ভূমধ্যসাগরের ৬ লক্ষ বছরের খরা।

পানির গতি এতটাই ছিল যে সিসিলির উপকূলে পৌঁছানোর সময় তা ঘণ্টায় প্রায় ১১৬ কিলোমিটার বেগে ছুটছিল। সেই টানে সৃষ্টি হচ্ছিল ঝড়ো হাওয়ার মতো পরিস্থিতি। কাদায় ভরা সেই উত্তাল জলধারার নিচে যদি কেউ তাকালে হয়তো দেখতে পেতেন কিছু বিস্মিত মাছ, যারা হয়তো জলের তীব্র ধাক্কায় আহত বা মৃত।

এই প্রবল বন্যা নতুন এক ভূতাত্ত্বিক যুগের সূচনা করেছিল, যার নাম দেওয়া হয় 'জ্যানক্লিয়ান'। এই ঘটনার নামই আজ 'জ্যানক্লিয়ান মেগাফ্লাড'। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এর কর্মকর্তা ও সামুদ্রিক ভূ-বিজ্ঞানী অ্যারন মিকালেফ বলেন, "মনুষ্য ইতিহাসে এমন কিছু আর কেউ দেখেনি।" তিনি ও তার সহকর্মীরা বহু বছর ধরে এই ঘটনার প্রমাণ জড়ো করছেন, ভূতাত্ত্বিক তথ্য, স্যাটেলাইট চিত্র ও কম্পিউটার মডেল ব্যবহার করে। এখন পর্যন্ত এটিই পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বন্যার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য চিত্র বলে মনে করা হচ্ছে।

যেভাবে তৈরি হয় আধুনিক ভূমধ্যসাগর

যে ভূমধ্যসাগর একসময় সম্পূর্ণ শুকিয়ে গিয়েছিল, সেই সাগরই আবার নতুন করে গড়ে উঠেছিল পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বন্যার হাত ধরে। প্রাচীন কালের ফসিল থেকে সবকিছু স্পষ্ট বোঝা না গেলেও, বিজ্ঞানীদের ধারণা যখন ভূমধ্যসাগরে পানি ছিল, তখন সেখানে নানা ধরনের প্রাণী বসবাস করত। প্রাচীন হাঙর, সিলজাতীয় প্রাণী, নানা মাছ এবং রঙিন প্রবাল ছিল সাগরের সাধারণ বাসিন্দা। কিন্তু 'স্যালিনিটি ক্রাইসিস' নামে পরিচিত সেই সময়কালের পর প্রায় ৭৮০ প্রজাতির মধ্যে মাত্র ৮৬টি এখনো টিকে আছে। এটি একরকম অলৌকিক ব্যাপারই বলা যায়।

ছবি: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

এই প্রাণীরা, যেমন শামুক, প্ল্যাঙ্কটন ও একটি বিশেষ সামুদ্রিক শামুক, সম্ভবত সাগরের কিছু ছোট ছোট পানিযুক্ত অংশে আশ্রয় নিয়ে বেঁচে ছিল। এরপর যখন বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করে, তখন তা পশ্চিম ভূমধ্যসাগরে প্রবল বেগে প্রবাহিত হয়। প্রতিদিন পানির উচ্চতা বাড়ছিল প্রায় ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট।

এই বিশাল জলরাশি পৃথিবীর ভূত্বকে এমন চাপ সৃষ্টি করে যে, এর ফলে ওই এলাকায় ভূকম্পন শুরু হয়। বার্সেলোনার বিজ্ঞানী ড্যানিয়েল গার্সিয়া-কাস্তেয়ানোস বলেন, এই ধরনের কম্পন পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল।

তখনকার এক বিরল ছাগল-হরিণ প্রজাতি 'মায়োট্রাগাস' ভূমধ্যসাগরের শুকনো তলদেশ পার হয়ে বর্তমান মায়োর্কা ও মেনোর্কায় এসে বসতি গড়েছিল। তাদের কাছে সেই ভূমিকম্প, পানি ও বাতাসের গর্জন ছিল যেন কোনো বিশাল দানবের হুংকার।

একসময় পানির স্রোত সিসিলির ওপর দিয়ে গিয়ে পূর্বদিকে অগ্রসর হয়। তখন সেই স্রোত মাটি কেটে শত শত দীর্ঘ রেখা তৈরি করে, যেন কোনো দৈত্য হাত দিয়ে মাটি আঁচড়ে গেছে। এরপর পানি গিয়ে ঠেকে মাল্টা স্কার্পমেন্ট নামের এক উঁচু দেয়ালে। এই প্রাকৃতিক বাধা ভূমধ্যসাগরকে পশ্চিম ও পূর্ব দুটি ভাগে ভাগ করে দেয়। 

পশ্চিম অংশ পুরোপুরি ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত পানি পূর্বদিকে যেতে পারেনি। পরে যখন পশ্চিম সাগরের পানি মাল্টা স্কার্পমেন্ট এর চূড়ায় পৌঁছায়, তখন তা ওপার দিয়ে পূর্বদিকে নেমে পড়ে। প্রায় ১.৫ কিলোমিটার গভীর খাড়া দেয়াল বেয়ে পানি নিচে নেমেছিল। এটি ছিল পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জলপ্রপাত, নায়াগ্রা ফলসের চেয়েও ৩০ গুণ বড়।

এই ভয়াবহ ধাক্কায় আবার ভূমিকম্প হয়। বন্যার পানি সাগরের তলদেশে বিপুল পরিমাণ কাদা ও পলিমাটি জমা করে। ধীরে ধীরে পূর্ব ভূমধ্যসাগরের পানিও বাড়তে থাকে। অবশেষে যখন দুই অংশের পানি সমান হয়ে যায়, তখন যেন সব থেমে যায়। বাতাস শান্ত হয়ে আসে। পানি স্বচ্ছ হতে শুরু করে। কাদাগুলো সাগরের তলায় জমে যায়।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, জিব্রাল্টার প্রণালী দিয়ে প্রথম পানি প্রবেশের দুই থেকে সর্বোচ্চ ১৬ বছরের মধ্যেই পুরো ভূমধ্যসাগর আবার আটলান্টিক মহাসাগরের সঙ্গে এক হয়ে যায়। তবে ভূতাত্ত্বিক সময় হিসেবে এটি একটি চোখের পলকের চেয়েও কম।

শেষে সমুদ্রে জীবন ফেরে… কিন্তু ধীরে ধীরে

বন্যা শেষে ভূমধ্যসাগরের উপরিভাগে সব শান্ত হয়। আটলান্টিকের পানি ধীরে ধীরে প্রবাহিত হতে থাকে নতুন গঠিত এই সাগরে। এই সাগরই পরবর্তীতে গ্রি্ক ও রোমান সভ্যতার সাক্ষী হয়ে ওঠে।

গ্রিক কবি হোমার যেসব সমুদ্রদানবের কথা লিখেছিলেন, যেমন সিসিলির উপকূলে ঘূর্ণি সৃষ্টি করা 'ক্যারিবডিস', সেইসব ভয়ংকর দৃশ্য আসলে ছিল বাস্তব ইতিহাসের প্রতিধ্বনি।

কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, এত বিশাল জলাধার গঠিত হওয়ার পরও নতুন সামুদ্রিক প্রাণীদের সেখানে টিকে উঠতে অনেক সময় লেগেছিল।

ভূতত্ত্ববিদ কনস্টান্টিনা আগিয়াদি জানান, তাৎক্ষণিকভাবে প্রাণীরা বসতি গড়বে এটাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু সেটা হয়নি। বন্যার পর পানি ছিল অতিরিক্ত লবণাক্ত, পুষ্টিহীন এবং বসবাসের অনুপযুক্ত।

যারা আগে থেকেই টিকে ছিল, তারা কিছু হাজার বছর ধরে ধুঁকতে ধুঁকতে বেঁচে ছিল। ধীরে ধীরে সাগর উপযোগী হলে আটলান্টিক থেকে নতুন প্রাণীরা এসে বসতি গড়তে শুরু করে। যদিও এখন ভূমধ্যসাগর জীববৈচিত্র্যে ভরপুর, তবু এটি আর আগের মতো হয়ে ওঠেনি।

মেরিন বিজ্ঞানী অ্যারন মিকালেফ মনে করেন, ঐতিহাসিক এই বিশাল বন্যা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষণীয় হতে পারে। আজকের জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হিমবাহ গলে গিয়ে যেভাবে বন্যা বাড়ছে, তাতে অতীতের এই অভিজ্ঞতা আমাদের এর সম্ভাব্য প্রভাব বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

আগিয়াদি বলেন, "এই বন্যা ছিল এক ধরনের প্রাকৃতিক পরীক্ষা। ভূমধ্যসাগরে এখন নতুন জীববৈচিত্র্য গড়ে উঠেছে, কিন্তু পুরনোটা আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও বিষয়টা একই। কোনো কিছু বদলে গেলে, আগের অবস্থায় ফেরা যায় না। হয় নতুনভাবে মানিয়ে নিতে হয়, নয়তো হারিয়ে যেতে হয়।"


অনুবাদ : নাফিসা ইসলাম মেঘা

Related Topics

টপ নিউজ

ভূমধ্যসাগর / জ্যানক্লিয়ান মেগাফ্লাড / বন্যা

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধের মধ্যেই নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ইঙ্গিত দিলেন মাস্ক, জানালেন সম্ভাব্য নামও
  • ইলন মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ: ট্রাম্প
  • ড. ইউনূসের লন্ডন সফরের সময় দেখা করতে চেয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন টিউলিপ
  • গাজামুখী ত্রাণবাহী জাহাজ ‘ম্যাডলিন’ ফিলিস্তিন জলসীমার কাছাকাছি
  • কিরগিজস্তানে ভেঙে ফেলা হলো মধ্য এশিয়ার সবচেয়ে উঁচু লেনিন ভাস্কর্য
  • পাকিস্তানের ব্যবহৃত পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র এড়াতে জ্যামিং হতে পারে প্রধান সহায়

Related News

  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঘর বিতরণ প্রধান উপদেষ্টার
  • ভূমধ্যসাগরে মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফেরা ৫ বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন
  • ফিরে দেখা ২০২৪: একতরফা নির্বাচন থেকে স্বৈরাচারের পতন, নতুন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা
  • অভিবাসীদের নৌকাডুবি; ভূমধ্যসাগরে ৩ দিন টায়ার টিউব ধরে ভাসছিল ১১ বছরের শিশু
  • বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়া রাজাকে দুয়ো দিল স্পেনের বিক্ষুব্ধ জনতা, ছুড়ে মারল ডিম

Most Read

1
আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধের মধ্যেই নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ইঙ্গিত দিলেন মাস্ক, জানালেন সম্ভাব্য নামও

2
আন্তর্জাতিক

ইলন মাস্কের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ: ট্রাম্প

3
বাংলাদেশ

ড. ইউনূসের লন্ডন সফরের সময় দেখা করতে চেয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন টিউলিপ

4
আন্তর্জাতিক

গাজামুখী ত্রাণবাহী জাহাজ ‘ম্যাডলিন’ ফিলিস্তিন জলসীমার কাছাকাছি

5
আন্তর্জাতিক

কিরগিজস্তানে ভেঙে ফেলা হলো মধ্য এশিয়ার সবচেয়ে উঁচু লেনিন ভাস্কর্য

6
আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের ব্যবহৃত পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র এড়াতে জ্যামিং হতে পারে প্রধান সহায়

The Business Standard
Top

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net

Copyright © 2022 THE BUSINESS STANDARD All rights reserved. Technical Partner: RSI Lab