‘লক্ষ্য ১৬০-১৭০ হলে আমাদের জন্য ভালো হতো’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৫০ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। রোহিত-কোহলিদের করা ১৯৬ রানের জবাবে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৪৬ রানে। তবে লক্ষ্যটা ১৬০-১৭০ হলে ফলটা ভিন্ন হতে পারতো বলে মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ম্যাচের পর তিনি জানান, এমন স্কোর হলে তাদের জন্য ভালো হতো।
ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশ ১৫০ রান পার করতে পারেনি। শান্তর বক্তব্যের পর প্রশ্ন জাগতে পারে, লক্ষ্য ১৬০-৭০ এর মধ্যে থাকলেও তো কিছু রান বাকি থেকে যেত! বাংলাদেশ অধিনায়ক হয়তো বোঝাতে চেয়েছেন, এমন লক্ষ্য হলে তাদের পরিকল্পনা ভিন্ন থাকতো, শারীরিক ভাষাও আলাদা হতো।
কিন্তু ১৯৭ রানের লক্ষ্য পেয়ে ব্যাটিংয়ে নামার আগেই যেন চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। বড় লক্ষ্য তাড়ায় পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ২ উইকেটে ৪২ রান তোলে তারা, ১০ ওভারে আসে ৬৭ রান। যেন সম্মান বাঁচানো উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের! তাদের ব্যাটিংয়ের ধরন দেখে মনে হয়নি, বড় এই লক্ষ্য টপকে জিততে নেমেছে তারা।
ম্যাচের পর শান্ত যেন ভিন্ন ভাষায় সেটাই বলতে চাইলেন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান বলেন, 'আমার মনে হয়, আমরা হয়তো ১৬০-১৭০ এর কথা ভাবছিলাম, সেটা হলে আমাদের জন্য ভালো হতো। কিন্তু তারা যেভাবে ব্যাটিং করেছে, তাদেরকে কৃতিত্ব দিতে হবে।'
অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে বাতাস থাকে। তবে হারের জন্য এসবকে দায় হিসেবে দেখেন না শান্ত। তার ভাষায়, 'এমন কন্ডিশনে ক্রিকেটাররা অভ্যস্ত, আমার মনে হয় না ওটা (বাতাস) কোনো কারণ ছিল। ব্যাটিংয়ে আমাদের অনেক অপশন ছিল। কিন্তু যে মানসিকতায় খেলা উচিত ছিল, সেটা আমরা করতে পারিনি।'
লম্বা সময়ে ধরে রান খরায় থাকা শান্ত শেষ দুই ম্যাচে রানের দেখা পেয়েছেন। আগের ম্যাচে ৪১ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ভারতের বিপক্ষে ৩২ বলে একটি চার ও ৩টি ছক্কায় ইনিংস সেরা ৪০ রান করেন। রানে ফেরার তৃপ্তি থাকলেও ম্যাচ শেষ করে আসার চেষ্টা করতে পারেননি বলে আফসোস আছে তার।
দলের জন্য অবদান রাখতে চাওয়া এবং দুই বোলার তানজিম হাসান সাকিব ও রিশাদ হোসেনকে নিয়ে শান্ত বলেন, 'আমি প্রতিটি ম্যাচেই অবদান রাখতে চাই। কিন্তু আমার উচিত ছিল শেষ করে আসা। এই টুর্নামেন্টে তানজিম সাকিব দারুণ করেছে। রিশাদের কথাও বলতে হবে আমাকে। আমরা অনেক দিন ধরে দলে একজন লেগ স্পিনার চেয়েছি, এটা ভালো যে তাকে পেয়েছি।'
ভারতের বিপক্ষে হারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে কার্যত বিদায় হয়ে গেছে বাংলাদেশের। ২৩ জুন সকালে আফগানিস্তানকে হারাতে পারলে ভারতকে সঙ্গে নিয়ে সেমি-ফাইনালে উঠে যাবে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান তখন নিয়ম রক্ষার ম্যাচে লড়বে।