রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে খুলনাকে হারাল কুমিল্লা

বিপিএলে নিজেরদের পঞ্চম জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে খুলনা টাইগার্কে ৪ রানে হারিয়েছে তারা। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে কুমিল্লা। আর হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়ার খুলনার এটি পঞ্চম পরাজয়।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন খুলনা অধিনায়ক ইয়াসির আলি। কুমিল্লার দুই ওপেনার লিটন দাস এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান তুলে নেন অর্ধশতক। এই দুজনের ব্যাটে ভর করে লড়াকু পুঁজি দাঁড় করায় কুমিল্লা।
উদ্বোধনী জুটিতে ৬৫ রান যোগ করেন লিটন এবং রিজওয়ান। এর মধ্যে লিটনেরই ছিলো ৫০। যদিও নিজের ইনিংস আর বড় করতে পারেননি এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৪২ বলের ইনিংসে লিটন ৯ টি চার মারেন।
কুমিল্লার অপর ওপেনার রিজওয়ান শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৫৪ রান করে। কুমিল্লার ইনিংস গতি পায় জনসন চার্লসের ঝড়ো ২২ বলে ৩৯ রানের ইনিংসের কল্যাণে। চার্লস ৫ টি ছয় হাঁকিয়ে কুমিল্লার রানকে পৌঁছে দেন লড়াই করার অবস্থায়। খুলনার নাহিদুল এবং ওয়াহাব রিয়াজ একটি করে উইকেট নেন।
১৬৬ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবালের উইকেট হারায় খুলনা। ১১ রান করে নাসিম শাহর বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর ৪৯ রানের জুটি গড়ে খুলনার ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন বার্লবার্নি এবং শাই হোপ।
বার্লবার্নিকে রান আউট হলে এই দুজনের জুটি ভাঙ্গে, মাহমুদুল হাসান এসে ইনিংসের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন। দুই ছয়, দুই চারে ১৩ বলে ২৬ রান করে জয় মোসাদ্দেকের বলে আউট হন।
তখন পর্যন্ত ম্যাচ খুলনার হাতেই ছিলো। কিন্তু আজম খান এবং সাইফুদ্দিন কম সময়ের ব্যবধানে সাজঘরে ফিরে গেলে চাপে পড়ে টাইগার্সরা। শাই হোপ এবং খুলনা অধিনায়ক ইয়াসির আলি আবারো গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শাই হোপ আউট হয়ে যাওয়ার পর খুলনার আর স্বীকৃত কোনো ব্যাটসম্যান ছিলো না ইয়াসিরকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য।
শেষ দুই ওভারে খুলনার প্রয়োজন ছিলো ২৫ রান। কিন্তু ২০ রানের বেশি তুলতে পারেননি ইয়াসির এবং ওয়াহাব রিয়াজ। শেষ ওভারে ১২ রান দিলেও কুমিল্লার জয় হাত থেকে ফসকাতে দেননি মোসাদ্দেক।
ইয়াসির ১৯ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। কুমিল্লার নাসিম শাহ ২ টি উইকেট নেন, আঁটসাঁট বোলিংয়ে ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে এক উইকেট নেন তানভীর ইসলাম।