কুলাঙ্গার ১০-১২ জনের মধ্যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ সীমিত রাখার পরামর্শ ফরাসউদ্দীনের

অলিগার্ক ১০-১২ জন মধ্যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ সীমিত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দীন। তিনি বলেন, 'ব্যাংকের ওপর জনগণের আস্থা টিকিয়ে রাখতে অ্যাকাউন্ট জব্দের মতো পদক্ষেপ খুব সীমিত আকারে ব্যবহার করা উচিত। ওই যে ১০-১৫ জন কুলাঙ্গারের নাম এসেছে, তাদের মধ্যে এটি সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।'
ফরাসউদ্দীন বলেন, 'পলিটিক্যাল পাওয়ার ও ইকোনমিক পাওয়ার এক হয়ে গেলে অলিগার্কের জন্ম হয়। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার ১০-১২ জন অলিগার্ককে চিহ্নিত করেছে।'
তিনি আরও বলেন, 'ওই ১০-১২ জন কুলাঙ্গারের পাশাপাশি তাদের পরিবারের যারা তাদের ওপর নির্ভরশীল নন, তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা ভালো পদক্ষেপ নয়।'
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়ান সরকারের ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড আয়োজিত মান্থলি ম্যাক্রোইকোনমিক ইনসাইটস শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও জানান, টাকা পাচারকারীদের ধরতে সরকারের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর ও সিভিল অ্যাভিয়েশন তাদের ক্ষমতার মধ্যে থেকেই এই কাজ করতে পারে। এজন্য টাকা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে উৎসাহিত করা উচিত।
সাবেক গভর্নর বলেন, '১৯৯২ সালে দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। এটি ছিল একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। যতদিন এই সিদ্ধান্ত থেকে বের হওয়া যাবে না, ততদিন পুঁজিবাজারের কোনো উন্নয়ন হবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'ব্যাংকের পরিচালকরা মূলত নীতি প্রণয়ন করবেন। কিন্তু বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে ব্যাংকের বোর্ড সদস্যরা ঋণ প্রদানের কাজ করেন। তাই ব্যাংকের মালিকানা থেকে পরিচালনা আলাদা করতে হবে।'