সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর, দর্শনার্থীকে মারধর

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে এক দর্শনার্থীকে আটকে মারধরের ঘটনায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে কাছারি বাড়ির অডিটোরিয়াম ও কাস্টোডিয়ানের অফিস কক্ষে দরজা-জানালায় ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা।
স্থানীয়রা জানান, ঈদের দ্বিতীয় দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের রুপপুর মহল্লার প্রবাসী শাহনেওয়াজ হোসেন ও তার স্ত্রী সুইটি খাতুন কাছারিবাড়িতে প্রবেশ করেন।পরবর্তীতে মোটরসাইকেল পার্কিং-এর টিকিট সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টাফদের সঙ্গে শাহনেওয়াজের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্টাফরা শাহনেওয়াজকে আটক করে মারধর করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শাহনেওয়াজ কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমান, কর্মচারী শরিফুজ্জামান সরকার, সিরাজুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, মুজিবুর রহমান ও আব্দুল মমিনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের পরও পুলিশ ব্যবস্থা না নেওয়ায় মঙ্গলবার সকালে শাহনেওয়াজের নেতৃত্বে শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা। বক্তারা রবীন্দ্র কাছারি বাড়ির অভিযুক্ত কর্মচারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
কর্মসূচি শেষে ৫০-৬০ জনের একটি বিক্ষুব্ধ দল কাস্টোডিয়ানের অফিস কক্ষ ও অডিটোরিয়ামের দরজা-জানালায় ভাঙচুর চালিয়ে চলে যায়।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছলাম আলী হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ঈদের দ্বিতীয় দিন এক দর্শনার্থীর করা অভিযোগের তদন্ত চলছে। তবে আজ হঠাৎ বিক্ষুব্ধরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৮৪০ সালে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর শাহজাদপুরের জমিদারি কিনে নিলে কাছারিবাড়িটি তাদের মালিকানায় আসে। জমিদারি তদারকিতে মাঝেমধ্যে এই বাড়িতে অবস্থান করতেন রবীন্দ্রনাথ। ১৯৬৯ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বাড়িটিকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে।