উন্নত চিকিৎসার জন্য পাকিস্তানে পাঠানো হবে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ৩১ জনকে

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ৪৩ জনকে এখন পর্যন্ত সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৬ জন বিদেশ থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে এসেছে। এখন আরো ৬০ জনকে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে পাকিস্তানে পাঠানো হবে ৩১ জনকে।
আজ রোববার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
নূরজাহান বেগম বলেন, আহত ৮ জনকে ব্যাংকক ও সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। ২১ জনকে তুরস্কে পাঠানো হবে।
পাকিস্তানে রোগী পাঠানোর বিষয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকেরা আমাদের বলেছেন, পাকিস্তান যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ। সেখানে মাইন বিস্ফোরণে আহতদের চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল আছে। সেজন্য ওখানে আহতদের পাঠানো হয়।
এখন পর্যন্ত চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স থেকে ২৬ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এসে আহতদের চিকিৎসা দিয়েছেন বলেও জানান নূরজাহান বেগম।
তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে হতাহতদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে ৮৬৪ জনের বেশি নিহত ও ১৪ হাজারের বেশি আহত রোগীর তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। আহতদের ৭০ শতাংশ সাধারণ নাগরিক ও ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী।
তিনি আরও বলেন, দুই চোখ হারিয়ে অন্ধ হয়ে গেছে ২১ জন, এক চোখ হারিয়েছেন প্রায় সাড়ে ৪০০ জন।
নূরজাহান বেগম বলেন, মোট চারজনকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বিদেশে পাঠিয়েছি। তাদের ব্রেন, স্পাইনাল কড ইনজুরি ছিল। আমারা জানতাম না বাংলাদেশে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নাই, ব্যাংকক ও সিঙ্গাপুর থেকে আনতে হয়েছে। বাসেত খান মুসার চিকিৎসায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
প্রেস কনফারেন্সে জানানো হয়, জুলাই যোদ্ধারা হেলথ কার্ড দেখিয়ে সারাদেশের সব হাসপাতালে আজীবন বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন। যারা শহীদ হয়েছেন জুলাই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তাদের পরিবারকে সহায়তা করা হবে। এছাড়া শহীদ পরিবারকে ৩০ লাখ করে টাকা দেওয়া হবে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।