সিএমএইচে মিলল তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী রাইসার মরদেহ

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিখোঁজ থাকা তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী রাইসা মণির (১১) মরদেহ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার একদিন পর গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলে রাইসাকে শনাক্ত করেন তার বাবা শাহাবুল শেখ। সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তাদের এক আত্মীয়।
বিকেল ৫টার দিকে যোগাযোগ করা হলে রাইসার চাচা সাগর হোসেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, "আমরা সিএমএইচে যাচ্ছি। সেখান থেকে ফোন করে জানিয়েছে, রাইসাকে পাওয়া গেছে।"
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রাইসার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে—বিশেষ করে পেট থেকে মাথা পর্যন্ত অংশ। শনাক্তের পর তার মরদেহ ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাইসা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা মাধ্যমের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
এর আগে, গতকাল সকালে দুর্ঘটনাস্থলের কাছে রাইসার পোড়া স্কুলব্যাগ ও ছেঁড়া বই খুঁজে পেয়েছিলেন তার চাচা। তবে তখনও রাইসার সন্ধান মেলেনি।
ছোট্ট রাইসার সন্ধানে তার চাচা একটানা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট ও উত্তরার বিভিন্ন হাসপাতালে ছোটাছুটি করছেন। তিনি একাধিকবার স্কুল ও তার আশপাশের হাসপাতালগুলোতেও গিয়েছিলেন।
জানা গেছে, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বাজরা গ্রামের মেয়ে রাইসা মণি। রাজধানীর মিরপুরে বাবা-মা ও ভাই-বোনদের সাথে থাকত সে। তিন ভাই-বোনের মধ্যে রাইসা ছিল মেঝ। রাইসার বড় এক বোন ও ছোট এক ভাই রয়েছে।
রাইসার চাচাতো ভাই তারিকুল শেখ গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা ওকে সব জায়গায় ওকে খুঁজেছি। আজ অবশেষে ওকে খুঁজে পেলাম—কিন্তু ও আর আমাদের মাঝে নেই…"
রাইসার মরদেহ ফরিদপুরে গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হবে। সেখানেই তার দাফন হবে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।