বছরে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রিতে ভ্যাটমুক্ত রাখার দাবি বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির

সব পণ্যের বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার করে বছরে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রিতে ভ্যাট আওতামুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতি।
আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে, বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মো: নাজমুল হাসান মাহমুদ সংগঠনটির পক্ষে এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ৩০ লাখ টাকা টার্নওভার পর্যন্ত ভ্যাট মুক্ত রাখার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, যা তারা প্রত্যাখ্যান করছেন।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভ্যাট বাড়ানোর জন্য একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, বছরে ৩০ লাখ টাকার বেশি টার্নওভার হলে ভ্যাট নিবন্ধন করাতে হবে, যা আগে ছিল ৫০ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০ লাখ টাকা কমিয়ে ছোট ব্যবসায়ীদেরও ভ্যাটের আওতায় আনা হয়েছে।
মাহমুদ বলেন, আমরা সকল পণ্যের বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি এবং ৫০ লাখ টাকা টার্নওভার পর্যন্ত ভ্যাটমুক্ত রাখার পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, শপিং মলসহ সকল দোকানের ক্ষেত্রে এটি কার্যকর করার আহ্বান জানাই।
এনবিআরের কর্মকর্তাদের হয়রানির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, 'ভ্যাট আদায়ের সময় কিছু কর্মকর্তা টেবিলের নীচ থেকে টাকা নেয়। দেখা যায় একটি দোকান থেকে পাঁচশো টাকা ভ্যাট আদায় করে সরকারি কোষাগারে দিল আর ১ হাজার টাকা টেবিলের নীচ থেকে নিল। এর ফলে সরকার কিন্তু রাজস্ব বঞ্চিত হলো'।
মাহমুদ বলেন, আমরা চাই, প্রত্যেকটি পণ্যের উৎপাদন বা আমদানির পর্যায়ে এমআরপি নির্ধারণ করে ভ্যাট আদায় করা হোক। এতে দোকান মালিক ও ভোক্তা ভ্যাটের নামে হয়রানি থেকে মুক্ত থাকবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জিডিপিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবদান রাখা ৭০ লাখ দোকান ব্যবসায়ী প্রায় ২ কোটি লোকের কর্মসংস্থান করছে। আমরা ভ্যাট প্রদানে বিরোধী নই, তবে ভ্যাট আদায়ের প্রক্রিয়া সহজ করা হোক। বর্তমানে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পক্ষে ভ্যাট আইন অনুসারে পাঁচটি খাতা সংরক্ষণ করে ভ্যাট হিসাব করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান আমাদের টিকে থাকাই যেখানে কষ্টসাধ্য সেখানে ভ্যাট বৃদ্ধি পেলে দোকান ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে।
তাছাড়া, ক্ষুদ্র দোকান ব্যবসায়ীরা সুদের বৃদ্ধি নিয়ে ঋণ পরিশোধে সমস্যায় পড়ছেন। এই অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের সুদ মওকুফ এবং ১ শতাংশ ডাউনপেমেন্টে ১৫ বছরের কিস্তিতে ঋণ পরিশোধের প্রজ্ঞাপন জারি করার দাবিও জানায় সংগঠনটি।