হ্যান্ডসেট বদলাবেন? বাড়ছে মোবাইল ফোনের দাম

পছন্দের ব্র্যান্ডের নতুন মডেল নিতে চাইছেন? একটু থামুন। কারণ, মোবাইল ফোনের দাম বাড়ছে।
আজ সোমবার (২ জুন) ঘোষিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার জাতীয় বাজেটে অন্তর্বর্তী সরকার মোবাইল ফোনের ওপর আরোপিত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাড়িয়েছে। যেখানে আগে কর হার ছিল ৫ শতাংশ ও সাড়ে ৭ শতাংশ, সেখানে এখন তা দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে সাড়ে ৭ শতাংশ ও ১০ শতাংশ।
শিল্প খাতের বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করছেন, মুদ্রার অবমূল্যায়ন ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির মতো চলমান অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে এই ভ্যাট বৃদ্ধির বাস্তবায়ন মোবাইল বিক্রির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। শেষমেশ এই বোঝাটাই গিয়ে পড়বে সাধারণ ভোক্তার কাঁধে।
মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারকদের ওপর ভ্যাটের চাপ গত তিন বছর ধরে লাগাতার বাড়ছে—যদিও তার আগে কিছুদিন এ খাত ছিল করমুক্ত।
সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) যে নিয়ম চালু করেছে, তাতে যারা স্থানীয়ভাবে অন্তত দুটি উপাদান তৈরি করছে, তাদের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট। আর যারা পুরোপুরি আমদানিকৃত যন্ত্রাংশ ব্যবহার করছে, তাদের ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট ধার্য ছিল। এবার দুই ক্ষেত্রেই আরও ২.৫ শতাংশ হারে ভ্যাট বাড়ছে।
ট্রান্সশন বাংলাদেশের সিইও রেজওয়ানুল হক (টেকনো, আইটেল ও ইনফিনিক্স ব্র্যান্ডের মূল প্রতিষ্ঠান ট্রান্সশন হোল্ডিংসের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান) দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'বর্তমানে দেশে মোবাইল ফোনের গ্রে মার্কেটের আকার প্রায় ৫০ শতাংশ। ভ্যাট বাড়ানো হলে, যদি গ্রে মার্কেটকে নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, তাহলে দাম আরও ব্যবধান তৈরি করবে—ফলে মানুষ বেআইনি পথে আমদানি হওয়া ফোনের দিকে ঝুঁকবে।'
তিনি আরও বলেন, 'ভ্যাটের এই অসাম্যর কারণে দেশে তৈরি হ্যান্ডসেটের দাম বেড়ে যাবে, আর গ্রে মার্কেট আরও ফুলে-ফেঁপে উঠবে।'
২০২৪ সালে দেশে স্মার্টফোন বিক্রি যেখানে ছিল প্রায় ৭.৯ মিলিয়ন ইউনিট, সেখানে রেজওয়ানুল হক আশঙ্কা করছেন, এ বছর সেই বিক্রি ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে—ভ্যাট বৃদ্ধি এবং অন্যান্য আর্থিক চাপে।