Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Saturday
May 17, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SATURDAY, MAY 17, 2025
কিছু মানুষ অল্প ঘুমিয়ে কীভাবে সুস্থ থাকে?

ফিচার

স্মিথসনিয়ান ম্যাগাজিন
31 December, 2024, 01:45 pm
Last modified: 31 December, 2024, 01:57 pm

Related News

  • চট্টগ্রামে প্লাস্টিক বর্জ্যের ৭৩ শতাংশ রিসাইক্লিং হচ্ছে: কর্মশালায় বক্তারা 
  • রেড মিট কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ২০২৮ সালে আসছে বাংলা ভাষার ঐতিহাসিক অভিধান ‘শব্দকল্প'
  • ‘ওলো’ নামে অদৃশ্য নতুন রঙ আবিষ্কারের দাবি মার্কিন বিজ্ঞানীদের
  • ২০২৩ সালে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার কর ফাঁকি: সিপিডি

কিছু মানুষ অল্প ঘুমিয়ে কীভাবে সুস্থ থাকে?

স্বাভাবিকভাবে এ স্বল্প-ঘুমানো ব্যক্তিদের ন্যাচারাল শর্ট স্লিপারস বলা হয়। তারা রাতে মাত্র চার থেকে ছয় ঘণ্টা ঘুমিয়েই সারাদিন কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত শক্তি অর্জন করে ফেলেন।
স্মিথসনিয়ান ম্যাগাজিন
31 December, 2024, 01:45 pm
Last modified: 31 December, 2024, 01:57 pm
শর্ট স্লিপারসদের জেনেটিক বৈশিষ্ট্যই এমন। ছবি: পাবলিক ডোমেইন।

আমরা সবাই শুনেছি রাতে সাত থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানো কতটা জরুরি। এমন উপদেশ এতই প্রচার পেয়েছে যে এটি অনেকটা অমোঘ নিয়মে পরিণত হয়েছে। বলা হয়, এ সময়ের চেয়ে কম ঘুমালে স্বল্প বা দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে। যেমন- স্মৃতিশক্তির সমস্যা, বিপাকে সমস্যা, হতাশা, ডিমনেশিয়া, হৃদ্‌রোগ এবং দুর্বল ইমিউন সিস্টেম।

তবে সম্প্রতি গবেষকরা দেখছেন, কিছু মানুষ যারা নিয়মিতভাবে কম ঘুমিয়েও তাদের শরীর বা মনের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।

স্বাভাবিকভাবে এ স্বল্প-ঘুমানো ব্যক্তিদের ন্যাচারাল শর্ট স্লিপারস বলা হয়। এদের জেনেটিক বৈশিষ্ট্যই এমন। তাদের রাতে মাত্র চার থেকে ছয় ঘণ্টা ঘুমেই পর্যাপ্ত বিশ্রাম পান। এ জেনেটিক বৈশিষ্ট্যধারীরা প্রমাণ করেন যে, ঘুমের পরিমাণের চেয়ে ঘুমের গুণগত মান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে এসব ব্যক্তিদের জেনেটিক বৈশিষ্ট্য আলাদা করা গেলে গবেষকরা ঘুমের প্রকৃতি সম্পর্কে আরও বৈজ্ঞানিক তথ্য আবিষ্কার করতে পারবেন।

"মূল বিষয় হলো, ঘুম কী বা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ  তা আমরা এখনও জানি না। এটি অবিশ্বাস্য, কারণ একজন সাধারণ মানুষ তার জীবনের এক-তৃতীয়াংশ সময় ঘুমিয়ে কাটায়" বলে জানিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (সান ফ্রান্সিসকো) একজন স্নায়ুবিজ্ঞানী লুই পটাচেক।

একসময় বিজ্ঞানীরা মনে করতেন ঘুম কেবল বিশ্রামের একটি সময়, যেমন কম্পিউটার বন্ধ রাখা হয় পরবর্তী দিনের কাজের প্রস্তুতির জন্য। কিন্তু বৈদ্যুতিক বাল্বের আবিষ্কারক থমাস এডিসন ঘুমকে গুহাবাসী যুগ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া বলে ব্যঙ্গ করেছেন। তার মতে ঘুম হলো সময়ের অপচয়। তিনি দাবি করেছিলেন, রাতে তিনি চার ঘণ্টার বেশি ঘুমান না। তার উদ্ভাবিত ইনক্যান্ডেসেন্ট লাইটবাল্ব অন্যদের মধ্যেও ঘুমের সময় সংক্ষিপ্ত করার প্রবণতা বাড়িয়েছিল।

আজকের দিনে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রতি রাতে পাঁচ ঘণ্টারও কম ঘুমাচ্ছেন।

তবে আধুনিক ঘুম গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে ঘুম একটি সক্রিয় ও জটিল প্রক্রিয়া, যা আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে সংক্ষিপ্ত করতে চাই না। গবেষকরা মনে করেন যে ঘুমের সময় আমাদের দেহ ও মস্তিষ্ক শক্তির মজুদ পুনরায় পূরণ করে, বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ দূর করে, সাইনাপ্সগুলো ছাঁটাই করে এবং স্মৃতিকে সংহত করে। এর ফলে, দীর্ঘমেয়াদি ঘুমের অভাব গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

আমরা ঘুম ও ঘুমের অভাব সম্পর্কে যা কিছু জানি তার বেশিরভাগই ১৯৭০-এর দশকে হাঙ্গেরিয়ান-সুইস গবেষক আলেকজান্ডার বোরবেলির প্রস্তাবিত মডেল থেকে এসেছে। তার দ্বি-প্রক্রিয়া মডেলটিতে ঘুমের সময় এবং স্থায়িত্ব নিয়ন্ত্রণে দুটি পৃথক সিস্টেম- সারকাডিয়ান ছন্দ ও ঘুম হোমিও স্ট্যাসিসের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সারকাডিয়ান ছন্দ মানব দেহের ২৪ ঘণ্টার ঘুম ও জাগরণের চক্র নিয়ন্ত্রণ করে, যা আলো ও অন্ধকারের মতো বাহ্যিক সংকেতকে পরিচালিত হয়। অন্যদিকে, ঘুম হোমিও স্ট্যাসিস অভ্যন্তরীণ চাপ দ্বারা চালিত হয়, যা জাগ্রত অবস্থায় বৃদ্ধি পায় এবং ঘুমের সময় হ্রাস পায়, ক্ষুধার মতো উঠানামা করে।

তবে এ ধরনের প্যাটার্নে বৈচিত্র্য রয়েছে। এ বিষয়ে লুইস পটাচেক বলেন, "আমরা সবসময় জানি যে কিছু মানুষ সকালে বেশি সক্রিয় থাকে আবার কিছু মানুষ রাতে বেশি সক্রিয় থাকে। তবে বেশিরভাগ মানুষ এর মাঝামাঝি অবস্থানে থাকেন। একইভাবে কিছু মানুষ কম ঘুমান আবার কিছু মানুষ লম্বা সময় ধরে ঘুমান। তবে এক্ষেত্রেও বেশিরভাগ মানুষ মাঝামাঝি অবস্থানে থাকেন।"

তবে লুইস পটাচেক ও তার সহকর্মী ইং-হুই ফুয়ের এ ধারণা পাল্টে যায় যখন এমন এক নারীর সঙ্গে পরিচিত হন, যিনি ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠাকে অভিশাপ মনে করেন। ওই নারী স্বাভাবিকভাবেই গভীর রাতে জেগে উঠতেন। তার নাতনিরাও উত্তরাধিকারসূত্রে একই অভ্যাস পেয়েছেন। তাদের এমন ভোরে ওঠার অভ্যাস বা মর্নিং লার্কের জন্য দায়ী জেনেটিক মিউটেশন চিহ্নিত করেছেন গবেষকরা। পটাচেক ও ফুয়ের এ গবেষণা প্রকাশিত হওয়ার পর ভোরে জেগে ওঠা হাজার হাজার মানুষ তাদের অভ্যাসের কথা জানাতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।

এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে ফু এমন একটি পরিবারের সঙ্গে পরিচিত হন যাদের ঘুমের ধরণ সাধারণের ঘুমের ধরনের চেয়ে একেবারে ভিন্ন। এ পরিবারটির খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস হলেও তারা ঘুমাতে যেতেন দেরিতে। আর মাত্র ছয় ঘণ্টা ঘুমেই তারা সতেজ অনুভব করতেন। তারাই ছিলেন প্রথম পরিবার যাদের মধ্যে ন্যাচারাল শর্ট স্লিপের অস্তিত খুঁজে পান গবেষকরা। তাদের এ জিনগত বৈশিষ্ট্য তারা উত্তরাধিকারসূত্রেই পেয়েছেন বলে জানান তারা। ফু ও পটাচেক তাদের এ কম ঘুমের কারণ হিসেবে তাদের দেহের ডিইসি-২ নামক জিনের মিউটেশনকে দায়ী করেন।

এ গবেষকরা ডিইসি-২ মিউটেশনকে ইঁদুরের জিনে প্রবেশ করান এবং দেখতে পান যে, ইঁদুরগুলো তার সঙ্গীদের তুলনায় কম ঘুমাচ্ছে। এছাড়া তারা আবিষ্কার করেন যে এই জিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো মস্তিষ্কের একটি হরমোন ওরেক্সিন-এর স্তর নিয়ন্ত্রণ করা, যা জাগ্রত অবস্থার উন্নতি ঘটায়। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ওরেক্সিনের অভাব হলো নারকোলেপসি রোগের প্রধান কারণ। এটি সাধারণত দিনে অতিরিক্ত ঘুমের কারণে হয়ে থাকে। তবে, স্বল্প ঘুমের মানুষের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, তাদের মধ্যে ওরেক্সিন উৎপাদন অন্যদের তুলনায় বেশি।

এসব বিষয় গবেষণা করতে গিয়ে গবেষকরা স্বল্প ঘুমের সঙ্গে সম্পর্কিত এমন সাতটি জিন চিহ্নিত করেন। একটি পরিবারের তিন প্রজন্মের মধ্যে তারা এডিআরবি ১ নামে একটি জিনের মিউটেশন খুঁজে পেয়েছেন। এই জিনটি মস্তিষ্কের ডরসাল পনস নামক অংশে অত্যন্ত সক্রিয়, যা ঘুম নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গবেষকরা যখন একটি বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে ইঁদুরের মস্তিষ্কের এই অংশকে সক্রিয় করেন, তখন দেখা যায় এডিআরবি ১ মিউটেশনের ইঁদুরটি সহজেই ঘুম থেকে জেগে উঠছে এবং দীর্ঘ সময় জেগে থাকছে।

মর্নিং লার্ক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী আরেক বাবা-ছেলের জিনে এনপিএসআর ১ মিউটেশন পাওয়া গেছে। এ মিউটেশনের ইঁদুরও অন্য ইঁদুরগুলোর তুলনায় কম ঘুমাচ্ছে এবং স্বাভাবিকভাবে স্বল্প ঘুমের কারণে স্মৃতিশক্তিজনিত কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দেয়নি।

ঘুমের টু-প্রসেস মডেল। ছবি: নোএবল ম্যাগাজিন।

গবেষক দলটি আরও দুটি ভিন্ন মিউটেশন খুঁজে পেয়েছেন যার একটির নাম হলো জিআরএম ১। এ মিউটেশন যুক্ত ইঁদুরগুলোও কম ঘুমিয়েছে এবং কম ঘুমানোর ফলে তাদের দেহে কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা যায়নি।

প্রাকৃতিকভাবে কম ঘুমানো মানুষদের ওপর গবেষণা চালিয়ে যা পাওয়া গেল তার উপর ভিত্তি করে গবেষকরা মনে করছেন এবার পুরোনো টু-প্রসেস মডেলটি আপডেট করার সময় এসেছে। পিটাচেক সেই তৃতীয় প্রভাবের কাজ করছেন।

নতুন মডেলটি এরকম হতে পারে- সকালে সার্কাডিয়ান ক্লক আমাদের জানাবে দিন শুরু করার সময় হয়েছে এবং স্লিপ হোমিও স্ট্যাসিস আমাদের জানাবে, আমরা যথেষ্ট ঘুমিয়েছি এবং এখন আমাদের বিছানা থেকে উঠতে হবে। এরপর তৃতীয় উপাদানটি আমাদের কাজ করতে, সঙ্গী খুঁজতে বা খাবার সংগ্রহ করতে সাহায্য করবে। রাতে এ প্রক্রিয়াটি বিপরীত দিকে চলবে অর্থাৎ শরীরকে ঘুমানোর জন্য প্রস্তুত করবে।

এটি মনে হতে পারে যে, কম ঘুমানো মানুষদের মধ্যে এমন একটি শক্তিশালী চালনা রয়েছে যা তাদের অন্যদের মতো প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াগুলি উপেক্ষা করতে সাহায্য করে। অথবা, তাদের মস্তিষ্ক এমনভাবে তৈরি হতে পারে যে, তারা কম ঘুমে আরও বেশি কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে।

খুব ভালো ঘুম

নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সার্কাডিয়ান এবং স্লিপ মেডিসিন সেন্টারের পরিচালক ফিলিস জি বলেন, "বিষয়টা এমন নয় যে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানোর কিছু জাদুকরী ব্যাপার আছে। অনেক কম ঘুমানো মানুষের মস্তিষ্ক আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে। হয়ত তাদের ঘুমের তরঙ্গ খুব ক্ষীণ, কিংবা তাদের মস্তিষ্কে বেশি সেরেব্রোস্পাইনাল তরল উৎপন্ন হয় নাকি তাদের মেটাবলিক রেট কি আলাদা যা তাদের দ্রুত ঘুমাতে ও জাগতে সাহায্য করে।

এ বিষয়ে ফু বলেন, "এটা সবই ঘুমের এফিসিয়েন্সির ব্যাপার বলে আমি মনে করি। যে কাজ তাদের শরীর ঘুমের মাধ্যমে করতে চায়, তারা তা কম সময়ে সম্পন্ন করতে সক্ষম।"

ফু এবং পটাচেকের সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো বলছে, প্রাকৃতিকভাবে কম ঘুমানো ব্যক্তিরা সম্ভবত তাদের মস্তিষ্কে বিষাক্ত সঞ্চিত পদার্থগুলি অপসারণে আরও কার্যকর। গবেষকরা কম ঘুমানো জিন যুক্ত ইঁদুরের সাথে আলঝেইমার প্রবণ জিনযুক্ত ইঁদুরগুলোর তুলনামূলক পরীক্ষা চালানো হয়। আলঝেইমারে আক্রান্ত ইঁদুরগুলোর মধ্যে অস্বাভাবিক প্রোটিন বা অ্যামিলয়েড প্লাক ও টাউ ট্যাংল জমা হয়েছিল। এগুলো মানুষের মধ্যে ডিমনেশিয়ার চিহ্ন হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু হাইব্রিড ইঁদুরগুলোর মধ্যে এসব ট্যাংল এবং প্লাক কম তৈরি হয়েছিল।

ফু ধারণা করছেন, তিনি যদি হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিস বা কম ঘুমের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য রোগের মডেলে একই ধরনের গবেষণা চালান, তবে সেখানেও একই ফল পাবেন।

গভীর ঘুমের রহস্য

এখনো স্পষ্ট নয় যে, কম ঘুমের জন্য দায়ী জিনগুলো কীভাবে মানুষের ওপর খারাপ ঘুমের নেতিবাচক প্রভাব থেকে রক্ষা করে অথবা এসব জিনের মিউটেশন কীভাবে ঘুমকে আরও কার্যকর করে তোলে। উত্তর জানতে, ফু এবং পটাচেক তাদের যৌথ গবেষণাগারে কম ঘুমানো ব্যক্তিদের নিয়ে এসে তাদের ঘুমানোর সময় মস্তিষ্কের তরঙ্গ পরিমাপ করতে শুরু করেছিলেন। যদিও কোভিড-১৯ মহামারি তাদের ঘুমের গবেষণাকে বাধাগ্রস্ত করেছিল, কিন্তু তারা তা আবার ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনার জন্য উদগ্রীব।

তাদের মতে, ঘুমের দৈর্ঘ্য, বেশিরভাগ আচরণের মতো, একটি বেল কার্ভ অনুসরণ করে। কম ঘুমানো ব্যক্তিরা এই কার্ভের এক প্রান্তে থাকে, আর দীর্ঘ সময় ঘুমানোর ব্যক্তিরা অন্য প্রান্তে। ফু এক ধরনের জিন মিউটেশন খুঁজে পেয়েছেন যা দীর্ঘ ঘুমের সাথে সম্পর্কিত, কিন্তু দীর্ঘ ঘুমানো ব্যক্তিদের বিষয়ে জানা চ্যালেঞ্জিং, কারণ তাদের সময়সূচি সমাজের স্বাভাবিক নিয়ম এবং চাহিদার সঙ্গে মেলে না। দীর্ঘ সময় ঘুমানো ব্যক্তিরা স্কুল বা কাজে যাওয়ার জন্য প্রায় সব সময়ই সকালে উঠতে বাধ্য হন। এর ফলে তাদের মধ্যে ঘুমের অভাব তৈরি হয় এবং এটি বিষণ্নতা ও অন্যান্য রোগের কারণ হতে পারে।

তবে যদিও ঘুমের একটি শক্তিশালী জেনেটিক উপাদান রয়েছে, এটি পরিবেশের দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। ভাল ঘুম সম্পর্কে জানা জরুরি কারণে এর ফলে আরও অনেক মানুষ দীর্ঘ এবং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে সক্ষম হবে।

উদাহরণস্বরূপ, জির ল্যাব গভীর ঘুমের ধীর তরঙ্গকে বাড়ানোর জন্য অ্যাকুস্টিক স্টিমুলেশন ব্যবহারের পরীক্ষা করেছে, যা স্মৃতি প্রক্রিয়াকরণ উন্নত করতে সাহায্য করে এবং সম্ভবত শর্ট স্লিপারদের সাফল্যের একটি গোপন রহস্য। একটি গবেষণায়, শিক্ষার্থীদের ঘুমের সময় পিঙ্ক নইস যা একদমই সাধারণ শব্দের চেয়ে নরম এবং আরও প্রাকৃতিক একটি শব্দ বাজানো হয়েছিল। পরদিন, সেই শিক্ষার্থীরা আরও দ্রুত শিখাতে পারছিল এবং বেশি মনে রাখতে পারছিল। জি বলেন, "আমরা স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে পারি, তবে আমরা তাদের ঘুমের সময় বাড়াচ্ছি বা প্রয়োজন কমাচ্ছি না। তবে আমি মনে করি আরও অনেক কিছু শেখার বাকি আছে।"

এখন পর্যন্ত গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন, মানুষের প্রয়োজন অনুসারে ঘুমানোর দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। তাই পটাচেক এখনও বিরক্ত হন যখন তিনি শুনেন, "সবার রাতে আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।" তিনি বলেন, "বিষয়টি অনেকটা জনসংখ্যার সবার উচ্চতা ৫ ফুট ১০ হওয়া উচিত বলার মতো। এটা জেনেটিক্সের কাজ নয়।"

Related Topics

টপ নিউজ

ঘুম / কম ঘুমানো / গবেষণা / সুস্থতা / ঘুমের প্রয়োজনীয়তা

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেনযাত্রা, কিন্তু শেষ করতে পারেনি কেউই 
  • ট্রাম্প বললেন কেউ পালায়নি, অথচ আলকাট্রাজ থেকে পালানো তিন বন্দির রহস্য এখনও অজানা!
  • ভারতে পারমাণবিক উপাদান ‘চুরির ঘটনায়’ আইএইএ-র তদন্ত চায় পাকিস্তান
  • উড্ডয়নের সময় খুলে পড়ে গেল বিমানের চাকা, ৭১ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় নিরাপদে অবতরণ
  • রেমিট্যান্স ফি-বিনিময় হারের অস্থিরতায় যেভাবে ২০২৪ সালে বাংলাদেশি শ্রমিকেরা ১.৩ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছেন
  • রুশ হামলা ঠেকাতে গিয়ে আরেকটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান হারাল ইউক্রেন

Related News

  • চট্টগ্রামে প্লাস্টিক বর্জ্যের ৭৩ শতাংশ রিসাইক্লিং হচ্ছে: কর্মশালায় বক্তারা 
  • রেড মিট কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ২০২৮ সালে আসছে বাংলা ভাষার ঐতিহাসিক অভিধান ‘শব্দকল্প'
  • ‘ওলো’ নামে অদৃশ্য নতুন রঙ আবিষ্কারের দাবি মার্কিন বিজ্ঞানীদের
  • ২০২৩ সালে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার কর ফাঁকি: সিপিডি

Most Read

1
আন্তর্জাতিক

বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেনযাত্রা, কিন্তু শেষ করতে পারেনি কেউই 

2
আন্তর্জাতিক

ট্রাম্প বললেন কেউ পালায়নি, অথচ আলকাট্রাজ থেকে পালানো তিন বন্দির রহস্য এখনও অজানা!

3
আন্তর্জাতিক

ভারতে পারমাণবিক উপাদান ‘চুরির ঘটনায়’ আইএইএ-র তদন্ত চায় পাকিস্তান

4
বাংলাদেশ

উড্ডয়নের সময় খুলে পড়ে গেল বিমানের চাকা, ৭১ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় নিরাপদে অবতরণ

5
অর্থনীতি

রেমিট্যান্স ফি-বিনিময় হারের অস্থিরতায় যেভাবে ২০২৪ সালে বাংলাদেশি শ্রমিকেরা ১.৩ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছেন

6
আন্তর্জাতিক

রুশ হামলা ঠেকাতে গিয়ে আরেকটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান হারাল ইউক্রেন

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net