বিসিবি সভাপতির কাছে দুর্নীতির তদন্ত দাবি সাবেক পরিচালকদের

বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার দিনই সংস্থাটিতে ১২ বছর ধরে হওয়া দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেছিলেন ফারুক আহমেদ। দুর্নীতি কমানোর ঘোষণা দেওয়ার কদিন পর বোর্ড সভা করে স্বাধীন অডিট ফার্ম নিয়োগের কথা জানান জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন, তবে এর মাঝেই তার সঙ্গে দেখা করে বিসিবিতে হওয়া দুর্নীতির তদন্ত দাবি করেছেন সাবেক পরিচালকরা। বৈঠক শেষে জোরপূর্বক পদত্যাগ করানোর বিষয়েও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন একজন।
বিসিবির এসব সাবেক পরিচালক সংগঠক হিসেবে কাজ করে গেলেও দীর্ঘদিন বোর্ড থেকে দূরে আছেন। ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করেছেন, এমন পরিচালকদের একটি প্রতিনিধি দল আজ দুপুরে বিসিবি কার্যালয়ে আসে। তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিসিবি সভাপতি ফারুক। এই বৈঠকে বিসিবির নতুন পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীও ছিলেন।
বৈঠকে সাবেক পরিচালকদের মতামত শুনেছেন বিসিবি সভাপতি। এর মধ্যে অন্যতম ছিল দুর্নীতির তদন্ত দাবি। এ সময় সাবেক পরিচালকদের নিজের পরিকল্পনার কথাও জানান ফারুক। বৈঠকে ছিলেন সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করা শাহ নুরুল কবির শাহীন, সাবেক পরিচালক কাজী মহিউদ্দিন বুলবুল, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান, শফিকুল ইসলাম, শহিদুজ্জামান শহীদ, কাইয়ুম চৌধুরী, মো. জাহিদ হোসেন, আসাদুজ্জামান ও ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের সদস্য আবদুল মজিদ।
বৈঠক শেষে বিসিবির ১৭ বছরের দুর্নীতির তদন্তের দাবির কথা জানান সাবেক পরিচালক কাইয়ুম চৌধুরী। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'ক্রিকেট বোর্ডে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে গত ১৭ বছরে। আমরা নির্বাচিত একটা বোর্ড ছিলাম, আমাদের জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো হয়েছিল। এরপর যারাই দায়িত্বে ছিলেন, ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। আমরা বর্তমান সভাপতির কাছে বলে এসেছি, বোর্ডের দুর্নীতির একটা পত্র প্রকাশের জন্য। কীভাবে এতো দুর্নীতি হলো, তার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।'
শাহ নুরুল কবির শাহীন বলেন, 'ক্রিকেট খেলেছি, ক্রিকেট সংগঠক ছিলাম, এখনও আছি। ক্রিকেটের মায়া আমরা ত্যাগ করতে পারব না। আমরা বিসিবি প্রধানকে সব ধরনের সহযোগিতা করার কথা জানিয়ে গেলাম।' মহিউদ্দিন বুলবুলের বক্তব্যও এমনই, 'একটা সময় আমাদের ক্রিকেট বোর্ড থেকে চলে যেতে হয়েছিল। কিন্তু যেহেতু আমরা সংগঠক, সে জন্যই ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এ বোর্ডকে সমর্থন জানাতে এসেছি। ভবিষ্যতে খেলার উন্নয়নে আমাদের সমর্থন থাকবে।'