Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Tuesday
December 16, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
TUESDAY, DECEMBER 16, 2025
২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাজেটে খাদ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও ঘাটতি রোধের চেষ্টা থাকবে

অর্থনীতি

আবুল কাশেম
05 April, 2024, 02:10 pm
Last modified: 20 April, 2024, 02:01 pm

Related News

  • ‘পাতলা মানুষকে আরও ওজন কমাতে বলার’ মতো অবস্থা বাজেটের: অর্থসচিব
  • স্মার্ট এনআইডি প্রকল্পে আরও ৪২৯ কোটি টাকার বরাদ্দ চায় নির্বাচন কমিশন
  • চলতি বাজেট সংশোধন ও পরবর্তী বাজেট প্রণয়ন নির্বাচিত সরকারের জন্য রেখে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার
  • বাজেট ছাড়িয়েছিল দ্বিগুণ: ‘লগান’ চলচ্চিত্র প্রযোজনায় যে বিপাকে পড়েছিলেন আমির খান
  • বিক্ষোভের মাঝেই দায়িত্ব নিলেন ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী

২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাজেটে খাদ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও ঘাটতি রোধের চেষ্টা থাকবে

চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি প্রাথমিকভাবে জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ ধরা হয়েছিল। তবে সংশোধিত বাজেট সাত লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকায় নির্ধারণে ঘাটতি কমে জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসে। অর্থ মন্ত্রণালয় আগামী অর্থবছরে এ ঘাটতি জিডিপির সাড়ে ৪ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রত্যাশা করছে।
আবুল কাশেম
05 April, 2024, 02:10 pm
Last modified: 20 April, 2024, 02:01 pm

ইনফোগ্রাফিক: টিবিএস

সরকার আগামী বাজেটে খাদ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ঘাটতি রোধ, রাজস্ব আদায় বাড়ানো এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ ও কৃষকদের জন্য সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে সকলের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্য ঠিক করেছে।

বৈশ্বিক এবং স্থানীয় সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে ব্যয়সাশ্রয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) এক বৈঠকে ২০২৪–২৫ অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকার বাজেটের রূপরেখা চূড়ান্ত করেছে, যা জিডিপির ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ। জিডিপির অনুপাতে গত এক দশকে সবচেয়ে ছোট বাজেট হবে এটি।

আসন্ন জুন মাসের এ বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। এছাড়া বাজেটে মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৬ শতাংশে আটকে রাখার প্রাক্কলন করা হয়েছে। তবে বছরজুড়েই মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ ছুঁইছুঁই করছে। বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা প্রবৃদ্ধির এ লক্ষ্যমাত্রাকে উচ্চাকাঙ্ক্ষী হিসেবেই অভিহিত করেছেন।

'বাজেট মনিটরিং অ্যান্ড রিসোর্সেস কমিটি অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅর্ডিনেশন কাউন্সিল অন ফিসক্যাল, মানিটরি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রেট পলিসি'র বৈঠকে শীর্ষ নীতিনির্ধারকেরা বাজেটের খসড়া এ রূপরেখার অনুমোদন করেছেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

আগামী অর্থবছরের বাজেটে মোট আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি। এ আয়ের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য চার লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত ডিসেম্বরে ২০২৪–২৫ অর্থবছরের জন্য আট লাখ পাঁচ হাজার কোটি টাকা প্রাক্কলিত আকারের একটি বাজেট রূপরেখা তৈরি করেছিলেন। তবে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে চ্যালেঞ্জ এবং বাড়তি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কৃচ্ছ্রসাধন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার জন্য সরকারের নীতির কারণে বর্তমান অর্থমন্ত্রী বাজেটের আকার কমাতে চেয়েছেন।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে দেশে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ সময় খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থসচিব এবং অন্যান্য নীতিনির্ধারকরা স্বীকার করেছেন যে, জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনার চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে না।

বাজার অভিযান, বিশেষ ব্যবস্থায় ভারত থেকে পণ্য আমদানিসহ মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের একাধিক বৈঠকের পরও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অধরা থেকে গেছে।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'বিশ্বজুড়েই উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। তুরস্কে মূল্যস্ফীতির হার ৬০ শতাংশের বেশি। আমাদের এখনও ১০ শতাংশের কম আছে। আগামী অর্থবছরে আমরা যেকোনো মূল্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করছি।'

তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। একইসঙ্গে ব্যাংকঋণের সুদহারও বাড়ছে। ডলারের তুলনায় টাকার মূল্য স্থিতিশীল হয়েছে। ফলে মূল্যস্ফীতির হার কমবে।'

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নতুন অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বা রাজস্ব আদায় বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংক খাতসহ আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিভিন্ন কৌশল বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, যার সুফল আমরা পেতে শুরু করেছি।

খাদ্য মূল্যস্ফীতির আঘাত থেকে দরিদ্রদের সুরক্ষায় সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা সম্প্রসারণের পাশাপাশি এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হবে। টিসিবির মাধ্যমে বর্তমানে এক কোটি পরিবার যে কমমূল্যে খাদ্যপণ্য পাচ্ছে, সেখানে পরিবারসংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি পণ্যসংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এটি আগামী ৯ এপ্রিল চূড়ান্ত হতে পারে বলে বৈঠকে উপস্থিত সূত্র জানিয়েছে।

উচ্চাভিলাষী রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা

ব্যবসায়ীরা যখন গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট, ব্যাংকের সুদহার বৃদ্ধি, ডলারের বাড়তি দামের ফলে ব্যয় বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে অনেক শিল্প বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তখন আগামী অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়েছে।

চার লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্রাক্কলিত লক্ষ্যমাত্রা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে ১৬ শতাংশ বেশি। ২০২৩–২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে চার লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা।

অর্থ বিভাগের হিসেব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাতমাসে (জুলাই–জানুয়ারি) এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ এক লাখ ৯১ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকা।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) রাজস্ব আয়ের গতিধারা বিশ্লেষণ করে বলেছে, চলতি অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ দাঁড়াবে সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকায়।

বৃহস্পতিবার আরেকটি বৈঠকে অর্থমন্ত্রী ও এনবিআরের চেয়ারম্যানের সামনে ব্যবসা বন্ধ করা তথা 'এক্সিট পলিসি' চেয়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন [বিটিএমএ]-এর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, 'ডলার সংকট, গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটের কারণে ব্যবসা এখন নিভুনিভু হয়ে জ্বলছে। ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের ব্যবসায়ীদের জন্য এক্সিট পলিসি দিন।'

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন [বিকেএমইএ]-এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম রপ্তানি খাতের সংকট তুলে ধরে বলেন, 'সুদহার বাড়ছে, ডলার রেট বাড়ছে। এমন অবস্থায় এবার বহু কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের জন্য সেফ এক্সিট পলিসি দরকার।'

কোঅর্ডিনেশন কাউন্সিলের বৈঠকে এনবিআর রাজস্ব আদায় বাড়াতে বেশকিছু পরিকল্পনা তুলে ধরে। এর মধ্যে রয়েছে চলতি বছরের ৫০ লাখ টাকার বদলে আগামী অর্থবছর থেকে ১০ লাখ টাকা বা তার অধিক পরিমাণ ভ্যাটের জন্য ই-পেমেন্ট বা স্বয়ংক্রিয় চালান বাধ্যতামূলক করা।

জেলা পর্যায়ে ভ্যাট আদায় বাড়াতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৬০ হাজার ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম স্থাপনের পরিকল্পনা চলছে।

এনবিআর বলেছে, আয়কর আইন-২০২৩ বাস্তবায়ন করা হবে। নতুন করদাতা শনাক্তকরণে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি), নির্বাচন কমিশন এবং সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। অর্থাৎ, গাড়ির মালিক, অধিক বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী ব্যক্তি, নির্বাচনি প্রার্থীদের সম্পদ তালিকা ও সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্সপ্রাপ্তদের কাছ থেকে আয়কর আদায়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সরকারের পর্যাপ্ত রাজস্ব আহরণ না হওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে গ্যাস-বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন খাতের ভর্তুকি পরিশোধ করতে পারছে না সরকার। এ বছর সুদবাহী বন্ড ইস্যু করে স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর [আইপিপি] ছয় হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে এখনও বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো সরকারের কাছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।

এ ছাড়া সার আমদানির ভর্তুকির অর্থও বন্ড ছেড়ে পরিশোধ করেছে সরকার। সরকারের নিয়মিত ব্যয় মেটাতে গিয়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়েও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে ঋণ নিয়েছে সরকার। ফলে সরকারের ব্যাংকঋণের পরিমাণ বেড়ে গেছে।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে ঋণের সুদ পরিশোধে বরাদ্দ ছিল ৯৪ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা। তবে উচ্চ সুদে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার কারণে সংশোধিত বাজেটে তা এক লাখ পাঁচ হাজার ৩০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে সুদব্যয়ের জন্য অতিরিক্ত সাত হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।

ঘাটতি আরও কমাতে হবে

চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি প্রাথমিকভাবে জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ ধরা হয়েছিল। তবে সংশোধিত বাজেট সাত লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকায় নির্ধারণে ঘাটতি কমে জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসে। অর্থ মন্ত্রণালয় আগামী অর্থবছরে এ ঘাটতি জিডিপির সাড়ে ৪ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রত্যাশা করছে। বিদেশি ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতার কারণে সরকারকে ঋণের সহজপন্থা হিসেবে ব্যাংক থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতে হচ্ছে।

রপ্তানি ও রেমিটেন্স আয় দুমাস ধরে বাড়তে থাকায় বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকবে বলে সভায় আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। তবে প্রায় আট বিলিয়ন ডলার ঘাটতিতে থাকা ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট কবে ব্যালেন্সে ফিরবে, সে সম্পর্কে কোনো পূর্বাভাস দিতে পারেননি তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তা টিবিএসকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক বাজারে ঋণের সুদহার না কমা পর্যন্ত আর্থিক হিসেবে ঘাটতি কমবে না।

'আন্তর্জাতিক বাজারে ঋণের সুদহার কমলে এবং দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যবসায়িক আস্থা বাড়লে, ব্যবসায়ীরা বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ নিতে ঝুঁকবেন। তারা যখন ঋণ পরিশোধের তুলনায় বেশি পরিমাণ ঋণ নেবেন, তখন ধীরে ধীরে ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট পজটিভ [ইতিবাচক] হবে,' বাংলাদেশে ব্যাংকের বরাত দিয়ে বলেন তিনি।

অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে উল্লেখ করার মতো বড় কোনো উদ্যোগ থাকছে না। তবে ফ্রার্স্টট্র্যাক প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে সাপ্লাই সাইড ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার চেষ্টা থাকবে।

তারা মনে করছেন, কোভিড-১৯ মহামারি, ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ ও ডলার সংকটের কারণে গত কয়েক বছর বেসরকারিখাতে কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ আসেনি। ২০২৬ সালে এলডিসি-উত্তরণ হলে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা থেকে আগামী দুই বছরও বেসরকারি বিনিয়োগ খুব বেশি বাড়বে না।

কর্মকর্তারা বলেছেন, জ্বালানি তেল, গ্যাস এবং বিদ্যুতের দাম বারবার বাড়লেও আগামী আর্থিক বছরে এ খাতের জন্য ভর্তুকি বরাদ্দ কমবে না।

তারা বলছেন, আগামী অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি বাবদ যে বরাদ্দ থাকবে, তা মূলত চলতি অর্থবছরের ভতুর্কির বকেয়া পরিশোধে ব্যয় হবে। তাই ভর্তুকির পরিমাণ চলতি অর্থবছরের মতো আগামী অর্থবছরেও প্রায় ৮৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকতে পারে। সরকার ভর্তুকি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ ছাড়া আসন্ন বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা করা, স্মার্ট শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা এবং কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে।

Related Topics

টপ নিউজ

বাজেট ২০২৪-২৫ / বাজেট / খাদ্য মূল্যস্ফীতি / বাজেট প্রাক্কলন

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ছবি: সংগৃহীত
    ২১ জানুয়ারির মধ্যে বাজার থেকে কিটক্যাট চকলেটের লট অপসারণের নির্দেশ
  • ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: রয়টার্স
    শান্তি চুক্তির বিনিময়ে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করল ইউক্রেন
  • প্রতীকী ছবি: আনস্প্ল্যাশ
    এনইআইআর চালু হচ্ছে ১ জানুয়ারি, হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের সময় বাড়ল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত
  • অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও সাংবাদিক আনিস আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
    সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী শাওনসহ চারজনের নামে থানায় অভিযোগ
  • প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত
    ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন গ্যাসকূপে খনন কাজ শুরু, দিনে মিলবে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
  • ছবি: টিবিএস
    সাংবাদিক আনিস আলমগীর ৫ দিনের রিমান্ডে  

Related News

  • ‘পাতলা মানুষকে আরও ওজন কমাতে বলার’ মতো অবস্থা বাজেটের: অর্থসচিব
  • স্মার্ট এনআইডি প্রকল্পে আরও ৪২৯ কোটি টাকার বরাদ্দ চায় নির্বাচন কমিশন
  • চলতি বাজেট সংশোধন ও পরবর্তী বাজেট প্রণয়ন নির্বাচিত সরকারের জন্য রেখে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার
  • বাজেট ছাড়িয়েছিল দ্বিগুণ: ‘লগান’ চলচ্চিত্র প্রযোজনায় যে বিপাকে পড়েছিলেন আমির খান
  • বিক্ষোভের মাঝেই দায়িত্ব নিলেন ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী

Most Read

1
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

২১ জানুয়ারির মধ্যে বাজার থেকে কিটক্যাট চকলেটের লট অপসারণের নির্দেশ

2
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: রয়টার্স
আন্তর্জাতিক

শান্তি চুক্তির বিনিময়ে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করল ইউক্রেন

3
প্রতীকী ছবি: আনস্প্ল্যাশ
বাংলাদেশ

এনইআইআর চালু হচ্ছে ১ জানুয়ারি, হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের সময় বাড়ল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত

4
অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও সাংবাদিক আনিস আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী শাওনসহ চারজনের নামে থানায় অভিযোগ

5
প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন গ্যাসকূপে খনন কাজ শুরু, দিনে মিলবে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

6
ছবি: টিবিএস
বাংলাদেশ

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ৫ দিনের রিমান্ডে  

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net