মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে ৫ বাংলাদেশি আহত

মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে মঙ্গলবার (৬ জন) সারাদিনে বাংলাদেশের ৫ নাগরিক আহত হয়েছেন।
এর মধ্যে ঘুমধুম সীমান্তে একজন এবং উখিয়ার পালংখালী সীমান্তে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সীমান্তবর্তী এলাকার চার জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, পালংখালী ইউনিয়নের নলবনিয়া এলাকার আয়ুবুল ইসলাম, রহমতেরবিল এলাকার আনোয়ার হোসেন, পুটিবনিয়া এলাকার মোবারক হোসেন ও মো. কাল আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর আগে মঙ্গলবার বেলা ৪ টার দিকে তুমব্রু পশ্চিমকুল পাহাড় পাড়া থেকে আশ্রয় কেন্দ্র উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় সীমান্তের ওপার থেকে ছোড়া গুলিতে আহত হন মো. সৈয়দ আলম নামের একজন।
তিনি তুমব্রু পশ্চিমকুল পাহাড় পাড়ানিবাসী কাদের হোসেনের ছেলে।
আহত সৈয়দ আলম জানান, বাড়ি থেকে উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি প্রথমে একটি গাছে লেগে তার কপাল ঘেঁষে চলে যায়।
এর আগে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া ভারী মর্টার শেল বিস্ফোরিত হয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে দুজন নিহত হন।
সীমান্ত ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে আরাকান রাজ্যের সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠীর সংঘর্ষ চলছে।
গত তিন দিনের সংঘাতের সীমান্ত-লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায় গুলি বা মর্টার শেষ পড়লেও সোমবার দুপুরে মৃত্যুর ঘটনা পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে দিয়েছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন বলেন, "সীমান্ত পরিস্থিতি উত্তেজনাকর। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দা ঝুঁকিতে আছেন। প্রাথমিক অবস্থায় ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের মানুষকে নিরাপদে আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা কাজ করছেন।"
তিনি জানান, উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে। লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে স্থানীয় চেয়ারম্যান সহযোগিতা করছেন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আরও কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিয়ানমারের বিভিন্ন অংশে সরকারি সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়ছে।