Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Tuesday
May 13, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
TUESDAY, MAY 13, 2025
পাঠ্যবইরে হিজড়া জনগোষ্ঠীর গল্প নিয়ে যে বিতর্ক

বাংলাদেশ

টিবিএস রিপোর্ট
24 January, 2024, 11:00 am
Last modified: 24 January, 2024, 04:14 pm

Related News

  • বিভিন্ন সংকটে গত ৬ বছরে ৬৭ হাজার নারী অভিবাসী দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন: ব্র্যাক
  • 'ফ্যাসিস্টের দোসর' এনসিটিবি চেয়ারম্যানসহ ২ কর্মকর্তাকে অপসারণের দাবি ছাত্রদলের
  • সুযোগ পেয়েও বাঁচার চেষ্টা নেই ব্যাটসম্যানের, প্রিমিয়ার লিগে এ কেমন আউট!
  • ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে ২১ মিলিয়ন ডলার, ট্রাম্পের যে দাবিতে ভারতে রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি
  • ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ অনিশ্চিত, ১০ কোটি বই ছাপানো বাকি

পাঠ্যবইরে হিজড়া জনগোষ্ঠীর গল্প নিয়ে যে বিতর্ক

অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজ ধোলাই করা হচ্ছে। এ সময় তিনি এই পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফ’ থেকে ‘শরীফা’ হওয়ার গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন। এ দৃশ্যের একটি ভিডিও মাহতাব তার নিজের ফেসবুকে আপলোড করেন। এরপর সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
টিবিএস রিপোর্ট
24 January, 2024, 11:00 am
Last modified: 24 January, 2024, 04:14 pm
ছবি: সংগৃহীত

নতুন কারিকুলামে সপ্তম শ্রেণির 'ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান' বইয়ে 'শরীফার গল্প' নামে একটি গল্প আছে। সেই গল্পের মূল চরিত্র শরীফা জন্মগতভাবে পুরুষ হলেও নিজেকে নারী বলে দাবি করে এবং তার আগের নাম পরিবর্তন করে 'শরীফা' নামে পরিচিত হতে থাকে। পরবর্তী সময়ে শরীফা হিজড়া সম্প্রদায়ের একজন হিসেবে জীবনযাপন করতে থাকে।

পাঠ্যবইয়ের এই গল্প নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শরীফার গল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ট্রান্সজেন্ডার ও সমকামিতা শেখানো হচ্ছে দাবি তুলে বইয়ের সেই পৃষ্ঠাগুলো ছিড়ে ফেলে প্রতিবাদ করেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব।

আসিফ মাহতাবের বই ছেড়ের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

এরই মধ্যে রোববার রাতে আসিফ মাহবতাবকে চাকরিচ্যুত করে তার বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর থেকে ফেসবুকে পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক আরও ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার শিক্ষক আসিফকে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালওয়ে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীদের একাংশ।

এদিকে পাঠ্যবইয়ে শরীফার গল্পে কোনো বিভ্রান্তি দেখা গেলে তা পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

গত শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে আয়োজিত 'বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ' শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেন শিক্ষক আসিফ মাহতাব।

অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজ ধোলাই করা হচ্ছে। এ সময় তিনি এই পাঠ্যবই থেকে 'শরীফ' থেকে 'শরীফা' হওয়ার গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন। এ দৃশ্যের একটি ভিডিও মাহতাব তার নিজের ফেসবুকে আপলোড করেন। এরপর সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

এরপর আসিফ মাহতাব রোববার রাতে তার ফেসবুকে লিখেন, 'আজকে আমি ব্র্যাকে রেগুলার ক্লাস নিয়েছি। আমাকে এইমাত্র ফোন করে জানানো হয়েছে যে, আমি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ক্লাস না নিতে যাই। আমি জানি না হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত তারা কেন নিল। আমাকে কোনো কারণ তারা দেয়নি।'

আসিফ মাহতাব বিজনেস স্ট্যার্ন্ডাডকে বলেন, 'অফিসিয়ালি ব্র্যাক থেকে আমাকে কোন চিঠি দেয়নি। প্রত্যেক সেমিস্টারে পার্ট টাইম ফ্যাকাল্টির চুক্তি শেষ হয়ে যায়, তারপর আবার রিনিউ হয়। রিনিউ পেপার পেতে দুই সপ্তাহ সময় লাগে। আমার সেমিস্টার শেষ হওয়ার পর আমাকে কোর্স ডেভলভমেন্টর কাজ, মিটিং করিয়েছে। একটা ক্লাসও নিয়েছি। রোববার রাত ১২টায় তারা আমাকে ফোন দিয়ে জানিয়েছে কন্টাক্ট রিনিউ করবে না। আমাকে কেন চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, সে বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।'

পাঠ্যবইয়ে হিজড়াদের কথা বলা হয়েছে, তাহলে কেন বিরোধিতা করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'লিখলাম উট কিন্তু ডেফিনেশন দিলাম বিড়ালের তাহলে তো হবে না। হিজড়ার কথা বলে সেখানে ট্রান্সজেন্ডারের কথা বলা হয়েছে, হিজড়াদের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। গল্পে আছে মনে মনে মেয়ে। মনে মনে কথাটা বলা হচ্ছে। একজন হিজড়া তো মনে মনে দাবি করে না সে মেয়ে বা ছেলে। তার ফিজিক্যাল ডিফরমিটির কারণে সেটি আলাদা। যে ছেলে কিন্তু মনে মনে নিজেকে মেয়ে ভাবে সে বিয়ে করবে কাকে, নিশ্চয় কোনো মেয়েকে। তাহলে তো সমাজে সমকামী ছড়াবে।'

বই ছেড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, 'সক্রেটিস একজন মেধাবী মানুষ ছিলেন। তাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। কারণ তিনি জনগণকে বোঝাতে চেয়েছিলেন। আমার মেধা দিয়ে কি করব যদি জনগণকে না বোঝাতে পারি। আমি কাজটা করেছি মানুষকে সচেতন করতে। হিজড়াদের অধিকার, ট্রান্সজেন্ডারের কথা বলে যে বাচ্চাদের মগজ ধোলাই করা হচ্ছে তাদের জীবন বাঁচানোর জন্য। মানুষকে সচেতন করার জন্য এটি করেছি এবং আমি এটাতে সফল।'

উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যাচার ছড়ানো হচ্ছে : এনসিটিবি

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য (শিক্ষাক্রম ইউনিট) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, 'হিজড়া জনগোষ্ঠী সমাজ, পরিবার থেকে বিচ্যুত হয়ে সংঘবদ্ধভাবে থাকে। কারণ সমাজে তাদের নিপীড়নের শিকার হতে হয়।  এটা যেহেতু একটি বায়োলজিক্যাল বিষয় এবং সৃষ্টির একটি বৈচিত্র্য, আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন তাদের মানবিক দৃষ্টিতে দেখে আমরা সেটি চেয়েছি। ওই অধ্যায়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়, গোষ্ঠীর কথা আছে। মানুষ হিসেবে তাদের আচরণ, সংস্কৃতির প্রতি শিক্ষার্থীরা যাতে শ্রদ্ধাশীল হয়। সেখানটায় ট্রান্সজেন্ডার বা লিঙ্গ পরিবর্তনের কথা নেই। কিন্তু সেসব নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। আমাদের বইতে ট্রান্সজেন্ডার শব্দটাই নাই। আমাদের ওখানে বলা হয়েছে, তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়া। তারপরও মিথ্যাভাবে বলা হচ্ছে আমরা ট্রান্সজেন্ডার বলছি, লিঙ্গ পরিবর্তনে উৎসাহিত করছি। এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।'

তিনি আরো বলেন, 'সিক্স সেভেনে বাচ্চাদের মধ্যে বয়ঃসন্ধি আসে। সেই সময় হিজড়ার বৈশিষ্ট্যগুলো ফুটে উঠে। আর তখনই তারা অ্যাবইউজের শিকার হয়। ওই বয়সের শিক্ষার্থীরা যদি জানে, তাহলে শ্রেণিকক্ষে হিজড়ার বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন তার সহপাঠীকে নিপীড়ন করবে না।'

এনসিটিবির জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জন কোর কমিটি সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. এম তারিক আহসান  টিবিএসকে বলেন, 'বইতে আসলে যেখানে তৃতীয় লিঙ্গের কথা বলা হয়েছে, সেখানে তাদের জীবনের চ্যালেঞ্জগুলো, সেখান থেকে উত্তরণের উপায়গুলোর বিষয়ে আমাদের ছেলে-মেয়েদের সচেতন করা, তাদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা- সে উদ্দেশে এটি দেওয়া।'

তিনি আরো বলেন, 'এই কারিকুলাম নিয়ে তো প্রপাগান্ডা নতুন না। গঠনমূলক সমালোচনা যত এসেছে তার চেয়ে প্রপাগান্ডা বেশি। তারই অংশ হিসেবে হিজড়াদের নিয়ে অধ্যায়টাকে ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে ইন্টারপ্রেট করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। বিষয়টিকে বিতর্কিত করে হিজড়া জনগোষ্ঠীকে আরো ভার্নারেবল করা হচ্ছে।'

পাঠ্যবইয়ে 'শরীফার গল্প' নিয়ে বিভ্রান্তি থাকলে সংশোধন হবে

'শরীফ থেকে শরীফার' গল্পের প্রতিক্রিয়া নিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সঙ্গে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'গল্পে যদি বিভ্রান্তি থাকে তাহলে সংশোধন করা হবে। এর আগে হেফাজতে ইসলামের প্রশ্ন ছিল, তাদের সঙ্গে আলোচনার পর সেই বিভ্রান্তি দূর হয়েছে। ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছিল, কিন্তু সেখানে তৃতীয় লিঙ্গের কথা আছে। এ বিষয়ে তো শিক্ষার্থীদের জানতে হবে। তৃতীয় লিঙ্গের বিষয়টি আইনগতভাবেই স্বীকৃত। তারা এ দেশের নাগরিক।'

তিনি আরও বলেন, 'একটা পক্ষ আছে যারা সব সময় ধর্মীয় ইস্যু তুলে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে থাকে। পাঠ্যক্রম এখন যা আছে, এর যদি দুর্বলতা থাকে তা পর্যালোচনা করা হবে। পরিবর্তন করা যাবে না এটা বলছি না, তবে যৌক্তিক কোনো পরিবর্তনের বিষয় থাকলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে।'

ছবি: সংগৃহীত

কি আছে বইয়ের ওই অংশে

খুশি আপা (শিক্ষক) ক্লাসে একজন অতিথিকে নিয়ে এলেন। তিনি বললেন, ইনি ছোটবেলায় তোমাদের স্কুলে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন। আজ এসেছেন নিজের স্কুলটা দেখতে। সুমন (শিক্ষার্থী) জানতে চাইল, আপনার নাম কী? তিনি বললেন, আমার নাম শরীফা আকতার। এরপর শরীফা তাঁর জীবনকাহিনি বলতে শুরু করেন।

শরীফা বললেন, যখন আমি তোমাদের স্কুলে পড়তাম, তখন আমার নাম ছিল শরীফ আহমেদ। আনুচিং (শিক্ষার্থী) অবাক হয়ে বলল, আপনি ছেলে থেকে মেয়ে হলেন কী করে? শরীফা বললেন, আমি তখনো যা ছিলাম, এখনো তা-ই আছি। নামটা কেবল বদলেছি। ওরা শরীফার কথা যেন ঠিকঠাক বুঝতে পারল না।

আনাই (শিক্ষার্থী) তাঁকে জিজ্ঞেস করল, আপনার বাড়ি কোথায়? শরীফা বললেন, আমার বাড়ি বেশ কাছে। কিন্তু আমি এখন দূরে থাকি। আনাই মাথা নেড়ে বলল, বুঝেছি, আমার পরিবার যেমন অন্য জায়গা থেকে এখানে এসেছে, আপনার পরিবারও তেমনি এখান থেকে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছে।

শরীফা বললেন, তা নয়। আমার পরিবার এখানেই আছে। আমি তাদের ছেড়ে দূরে গিয়ে অচেনা মানুষদের সঙ্গে থাকতে শুরু করেছি। এখন সেটাই আমার পরিবার। তাদের অবাক হতে দেখে শরীফা এবার নিজের জীবনের কথা বলতে শুরু করলেন।

ছোটবেলায় সবাই আমাকে ছেলে বলত। কিন্তু আমি নিজে একসময় বুঝলাম, আমার শরীরটা ছেলেদের মতো হলেও আমি মনে মনে একজন মেয়ে। আমি মেয়েদের মতো পোশাক পরতে ভালোবাসতাম। কিন্তু বাড়ির কেউ আমাকে পছন্দের পোশাক কিনে দিতে রাজি হতো না। বোনদের সাজবার জিনিস দিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে সাজতাম। ধরা পড়লে বকাঝকা, এমনকি মারও জুটত কপালে। মেয়েদের সঙ্গে খেলতেই আমার বেশি ইচ্ছে করত। কিন্তু মেয়েরা আমাকে খেলায় নিতে চাইত না। ছেলেদের সঙ্গে খেলতে গেলেও তারা আমার কথাবার্তা, চালচলন নিয়ে হাসাহাসি করত। স্কুলের সবাই, পাড়াপড়শি—এমনকি বাড়ির লোকজনও আমাকে ভীষণ অবহেলা করত। আমি কেন এ রকম, এ কথা ভেবে আমার নিজেরও খুব কষ্ট হতো, নিজেকে ভীষণ একা লাগত।

একদিন এমন একজনের সঙ্গে পরিচয় হলো, যাকে সমাজের সবাই মেয়ে বলে; কিন্তু সে নিজেকে ছেলে বলেই মনে করে। আমার মনে হলো, এই মানুষটাও আমার মতন। সে আমাকে বলল, আমরা নারী বা পুরুষ নই, আমরা হলাম তৃতীয় লিঙ্গ (থার্ড জেন্ডার)। সেই মানুষটা আমাকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে গেল, যেখানে নারী-পুরুষের বাইরে আরও নানা রকমের মানুষ আছেন। তাঁদের বলা হয় 'হিজড়া' জনগোষ্ঠী। তাঁদের সবাইকে দেখেশুনে রাখেন তাঁদের 'গুরু মা'। আমার সেখানে গিয়ে নিজেকে আর একলা লাগল না, মনে হলো না যে আমি সবার চেয়ে আলাদা। সেই মানুষগুলোর কাছেই থেকে গেলাম। এখানকার নিয়মকানুন, ভাষা, রীতিনীতি আমাদের বাড়ির চেয়ে অনেক আলাদা। আমরা সবার সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিয়ে একটা পরিবারের মতনই থাকি। বাড়ির লোকজনের জন্যও খুব মন খারাপ হয়। তাই মাঝে মাঝে বাড়িতেও যাই।

আজ থেকে ২০ বছর আগে বাড়ি ছেড়েছি। সেই থেকে আমি আমার নতুন বাড়ির লোকদের সঙ্গে শহরের বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে, নতুন শিশু আর নতুন বর-বউকে দোয়া-আশীর্বাদ করে পয়সা রোজগার করি। কখনো কখনো লোকের কাছে চেয়ে টাকা সংগ্রহ করি। আমাদেরও ইচ্ছে করে সমাজের আর দশটা স্বাভাবিক মানুষের মতো জীবন কাটাতে, পড়াশোনা, চাকরি-ব্যবসা করতে। এখনো বেশির ভাগ মানুষ আমাদের সঙ্গে মিশতে চায় না, যোগ্যতা থাকলেও কাজ দিতে চায় না। তবে আজকাল অনেক মানুষ আমাদের প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। ইদানীং আমাদের মতো অনেক মানুষ নিজ বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করছে। আমাদের মতো মানুষ পৃথিবীর সব দেশেই আছে। অনেক দেশেই তারা সমাজের বাকি মানুষের মতনই জীবন কাটায়। তবে আমাদের দেশের অবস্থারও বদল হচ্ছে। ২০১৩ সালে সরকার আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আমাদের জন্য কাজ করছে। শিক্ষার ব্যবস্থা করছে, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে। সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর প্রচেষ্টা নিচ্ছে। নজরুল ইসলাম ঋতু, শাম্মী রানী চৌধুরী, বিপুল বর্মণের মতো বাংলাদেশের হিজড়া জনগোষ্ঠীর অনেক মানুষ সমাজজীবনে এবং পেশাগত জীবনে সাফল্য পেয়েছেন।

Related Topics

টপ নিউজ

বিতর্ক / পাঠ্যবই / এনসিটিবি / ব্র্যাক / ট্রান্সজেন্ডার

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত: ভারত চেয়েছিল শক্তি দেখাতে, কিন্তু প্রকাশ পেল দুর্বলতা
  • লোকসান কাটিয়ে উঠতে ৯০০ কোটি টাকার সরকারি সহায়তা চাইছে ইন্টারকন্টিনেন্টাল
  • লোডশেডিং কমাতে আরও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল করবে সরকার: জ্বালানি উপদেষ্টা
  • সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ আ.লীগের বিরুদ্ধে সরকার যেসব ব্যবস্থা নিতে পারবে
  • হুন্ডির প্রভাব কমে যাওয়ায় ১০ মাসেই ২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্সের রেকর্ড
  • পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না, পুনর্গঠিত হচ্ছে র‌্যাব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

Related News

  • বিভিন্ন সংকটে গত ৬ বছরে ৬৭ হাজার নারী অভিবাসী দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন: ব্র্যাক
  • 'ফ্যাসিস্টের দোসর' এনসিটিবি চেয়ারম্যানসহ ২ কর্মকর্তাকে অপসারণের দাবি ছাত্রদলের
  • সুযোগ পেয়েও বাঁচার চেষ্টা নেই ব্যাটসম্যানের, প্রিমিয়ার লিগে এ কেমন আউট!
  • ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে ২১ মিলিয়ন ডলার, ট্রাম্পের যে দাবিতে ভারতে রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি
  • ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ অনিশ্চিত, ১০ কোটি বই ছাপানো বাকি

Most Read

1
মতামত

পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত: ভারত চেয়েছিল শক্তি দেখাতে, কিন্তু প্রকাশ পেল দুর্বলতা

2
বাংলাদেশ

লোকসান কাটিয়ে উঠতে ৯০০ কোটি টাকার সরকারি সহায়তা চাইছে ইন্টারকন্টিনেন্টাল

3
বাংলাদেশ

লোডশেডিং কমাতে আরও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল করবে সরকার: জ্বালানি উপদেষ্টা

4
বাংলাদেশ

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ আ.লীগের বিরুদ্ধে সরকার যেসব ব্যবস্থা নিতে পারবে

5
অর্থনীতি

হুন্ডির প্রভাব কমে যাওয়ায় ১০ মাসেই ২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্সের রেকর্ড

6
বাংলাদেশ

পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র থাকবে না, পুনর্গঠিত হচ্ছে র‌্যাব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net