চট্টগ্রামকে হারিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের রেকর্ড

প্লে-অফের দৌড় থেকে আগেই ছিটকে গেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। বাকি থাকা ম্যাচগুলো জিতে ভালোভাবে এবারের বিপিএল মিশন শেষ করার লক্ষ্য ছিল দলটির। কিন্তু এই মিশনেও তারা ব্যর্থ। বাদ পড়ার পরের দিন মাঠে নেমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হারলো তারা। দুর্বার ছন্দে থাকা কুমিল্লা টানা সাত জয়ের রেকর্ডে ফরচুন বরিশালের রেকর্ড ছুঁলো। আগের আসরে টানা সাত ম্যাচ (মাঝে একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়) জেতে তারা, যা বিপিএলের ইতিহাসের টানা ম্যাচ জেতার রেকর্ড ছিল।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। চলতি বিপিএলে এটা কুমিল্লার টানা সপ্তম জয়। অথচ তারাই প্রথম তিন ম্যাচে হেরেছিল। ওই তিন হারের পর কেবল জিতেই চলেছে বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ১০ ম্যাচে ৭ জেয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তিন নম্বরে ইমরুল কায়েসের দল। ১০ ম্যাচে ২ জয় পাওয়া চট্টগ্রাম তালিকার তলানির দল।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। পাকিস্তানি উসমান খান ও আফিফ হোসেন ধ্রুবর হাফ সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ১৫৬ রান তোলে তারা। জবাবে ম্যাচসেরা মোহাম্মদ রিজওয়ান ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যাটে ৬ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় কুমিল্লা।
মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নামা কুমিল্লার হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন রিজওয়ান। পাকিস্তানি এই ওপেনার ৪৭ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬১ রান করেন। মোসাদ্দেক ২৭ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন। এ ছাড়া সৈকত আলী ১৫, ইমরুল ১৫ ও জাকের আলী ১০* রান করেন। চট্টগ্রামের মৃতুঞ্জয় চৌধুরী ও জিয়াউর রহমান ২টি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিং করা চট্টগ্রামকে সবচেয়ে বেশি সময় পথ দেখান আফিফ। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৪৯ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৬ রান করেন। উসমান ৪১ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫২ রানের ইনিংস খেলেন। এ ছাড়া অধিনায়ক শুভাগত হোম ১২ ও দারউস রাসুলি অপরাজিত ২১ রান করেন। কুমিল্লার তানভীর ইসলাম ও হাসান আলী ২টি করে উইকেট পান।