এটা দুঃখজনক, খুবই হতাশ হয়েছি: জাভেদ ওমর

করোনাভাইরাসের প্রকোপে আর সবার মতো ঘরবন্দি জাভেদ ওমর বেলিমও। ঘরবন্দি থাকলেও স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে সময়টা মন্দ কাটছিল না বাংলাদেশের সাবেক এই ওপেনারের। কিন্তু সোমবার রাতে হঠাৎই উত্তাল জাভেদ ওমরের মন। পারলে তখনই ছুটে যান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি)। রাতেই যে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের খবর সংবাদমাধ্যমে দেখে নেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জাভেদ ওমর। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, টুর্নামেন্ট চলাকালীন দলীয় তথ্য ফাঁস করেছেন তিনি। এ জন্য নাকি ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড থেকে জাভেদ ওমরকে দূরে রাখতে অনুরোধও করেছে আইসিসি। এমন খবর পড়ে জাভেদ ওমরের ঘুম হারাম। সারা রাত ঘুমাতে পারেননি।
সকাল হতেই ফোনে কলের সিরিয়াল। কী বলবেন বুঝতে পারছিলেন না জাভেদ ওমর। বাংলাদেশের সাবেক এই ক্রিকেটার অপেক্ষা করছিলেন বিসিবির মন্তব্যের জন্য। বেলা ১২টার দিকে গিয়ে স্বস্তি মেলে তার। বিসিবি থেকে জাভেদ ওমরকে জানানো হয়, এমন খবরের সত্যতা নেই। আইসিসি থেকে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসেনি। কিন্তু এমন খবর গায়ে কালি লেপ্টে দিল, এ নিয়ে যারপরনাই হতাশ জাভেদ ওমর।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডেকে জাভেদ ওমর বলেন, 'এমন হলে বিসিবি তো আমাকে জানাবে। সেখানে প্রধান নির্বাহী বলছে, 'জাভেদ ভাই আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।' তার কাছেই তো রিপোর্ট আসার কথা। সে কিছুই জানে না, আমি-আপনি বা বোর্ড পরিচালকরা কীভাবে জানব! এটা খুবই দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক। এটার কোনো ভিত্তি নেই, চুল পরিমাণও না। সামান্যতম প্রমাণও তো থাকতে হবে এমন বলার আগে। এমন খবর দেখে প্রচন্ড খুবই হয়েছি।'
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর কাছ থেকে জাভেদ ওমর জানতে পারেন, তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসেনি। সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, 'প্রধান নির্বাহী এ ব্যাপারে অবগত নন। তিনি আমাকে ফোন করে বলেন এমন কোনো নির্দেশনা তারা পাননি। আমার বিরুদ্ধে আইসিসির কোনো অভিযোগ করেনি। আর আমি তো জানি, আমি কী করেছি। এটা চুল পরিমাণও সত্য নয়।'
জাতীয় দলের হয়ে ৪০ টেস্ট ও ৫৯ ওয়ানডে খেলা জাভেদ ওমরের কণ্ঠে সীমাহীন হতাশা ঝরল। তিনি বলেন, 'ক্রিকেট বোর্ড বলেছে এটার কোনো ভিত্তি নেই, তাহলে এখানে আর কিছুই থাকে না। তারা কোনো অভিযোগ পায়নি, কোনো নির্দেশনা পায়নি। বিষয়টা তো পরিস্কার। আমাদের বোর্ডের কেউই এটা জানে না, তার মানেই এটা ভিত্তিহীন। ব্যাপারটা এখানেই শেষ। তবে অবশ্যই এটা আমার জন্য সম্মানহানী এবং হতাশার।'
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পরিস্কার করে দেয়ায় বিষয়টি আর বড় করতে চান না জাভেদ ওমর, 'বোর্ড বিষয়টা পরিস্কার করেছে। বোর্ড থেকে আমাকে বলে দেওয়া হয়েছিল, আমি যেন কোনো বক্তব্য না দিই। আমি খুব চিন্তায় ছিলাম। অনেক ফোন আসছিল। কিন্তু সেভাবে কথা বলতে পারিনি। বোর্ডের বক্তব্যের পর আমার জন্য কিছুটা রিলিফ হয়েছে। অল্পতেই মিটে যাওয়ায় এই বিষয়টা আমি আর বাড়াতে চাই না।'