সংবাদ উপস্থাপককে গ্রেপ্তার নিয়ে ভারতে কংগ্রেস ও বিজেপি শাসিত দুই রাজ্যের পুলিশের বিরোধ

ভারতের বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধীকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল বেসরকারি টেলিভিশন নেটওয়ার্ক - জি টিভি নিউজ। এরপর তারা ভুল স্বীকার করে ক্ষমাপ্রার্থনাও করে। এই ঘটনার একদিন পর আজ মঙ্গলবার (৫ জুলাই) চ্যানেলটির সংবাদ উপস্থাপক রোহিত রঞ্জনকে দিল্লিতে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতের হেফাজত নিয়ে দুই রাজ্যের পুলিশ বিরোধেও জড়িয়ে পড়ে।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ছত্তিশগড় রাজ্য পুলিশের একটি টিম দিল্লিতে রোহিত রঞ্জনকে গ্রেপ্তার করতে তার বাসায় যায়। এসময় তাদের বাধা দেয় উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা গাজীয়াবাদ জেলা পুলিশের অপর একটি দল। তারা রোহিতকে নিজেদের হেফাজতে বলতে গেলে ছিনিয়েই নিয়ে যায়।
ছত্তিশগড় রাজ্যের শাসকদল রাহুল গান্ধীর সর্বভারতীয় কংগ্রেস। আর উত্তরপ্রদেশে বিজেপির শাসন। মঙ্গলবার সকালে ধারণ করা এক ভিডিওচিত্রে এ দুই রাজ্যের পুলিশকে রোহিতের হেফাজত নিয়ে ধস্তাধস্তি করতে দেখা গেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, ছত্তিশগড় রাজ্য পুলিশ দুয়ারে হাজির হতেই টুইটে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ট্যাগ করে সেখানকার পুলিশ বিভাগের প্রতি জরুরি সাহায্যের বার্তা পাঠান রোহিত রঞ্জন। তখন সময় ভোর সাড়ে পাঁচটা। টুইটে তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় পুলিশকে না জানিয়েই তাকে গ্রেপ্তার করতে এসেছে ছত্তিশগড় পুলিশ।
সঙ্গে সঙ্গেই তার সাহায্যে গাজীয়াবাদ পুলিশ এসে হাজির হয়, এবং ছত্তিশগড়ের টিমকে বাধা দেয়। গ্রেপ্তারে বাধাদানের পর গাজীয়াবাদ পুলিশ এই সাংবাদিককে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। বর্তমানে রোহিত উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন, সেখানে তার বিরুদ্ধে অপেক্ষাকৃত লঘু অভিযোগ আনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্য একটি বিষয়ে রাহুল গান্ধীর একটি বিবৃতিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেন রোহিত। তিনি এটিকে সংবাদ পরিবেশনের সময় একটি বহুল আলোচিত খুনের ঘটনায় রাহুলের মন্তব্য হিসেবে ভিডিও ফুটেজে যোগ করেন। এ ঘটনার পর পর কংগ্রস-শাসিত রাজস্থান ও ছত্তিশগড় রাজ্যে রোহিতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
সূত্র: এনডিটিভি