জীবিত ২০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস

গাজায় অবশিষ্ট ১৩ জন জীবিত জিম্মিকে রেড ক্রস কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দিয়েছে হামাস। এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। রেড ক্রসের কর্মকর্তারা তাদের গাজা হয়ে ইসরায়েলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
এছাড়া, নিহত ২৮ জন ইসরায়েলি বন্দির মরদেহও ফেরত দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। যদিও সঠিক সময় এখনো নির্ধারিত হয়নি।
আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) তেল আবিবের এক স্কয়ারে জড়ো হওয়া বন্দিদের পরিবার ও বন্ধুরা ইসরায়েলি টেলিভিশনে খবরটি শুনে আনন্দে উল্লাসে ফেটে পড়েন। দেশজুড়ে হাজারো মানুষ বড় পর্দায় বন্দি বিনিময়ের দৃশ্য দেখেন।
এর আগে, স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় গাজা থেকে প্রথম পর্যায়ে ৭ ইসরায়েলি জিম্মিকে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) কাছে হস্তান্তর করে হামাস। জিম্মিদের গ্রহণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসরায়েল প্রতীরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এ নিয়ে মোট ২০ জন জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস।
জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি এবং ১,৭০০-এর বেশি আটককৃতকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।
সকালে আইডিএফ-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা থেকে ফিরে আসা সাত জিম্মিকে "বর্তমানে আইডিএফ ও আইএসএ [ইস্রায়েল সিকিউরিটি এজেন্সি] বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ইসরায়েলে ফেরত আনা হচ্ছে'।
এতে আরও বলা হয়, ইসরায়েলে পৌঁছালে তাদের 'প্রাথমিক মেডিক্যাল পরীক্ষা' করা হবে।
আইডিএফ আরও জানিয়েছে, তারা 'অতিরিক্ত জিম্মিদের গ্রহণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে, যাদের পরে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে'।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ সকালে মুক্তি পাওয়া প্রথম সাত জিম্মির নাম নিশ্চিত করেছে। তারা হলেন— গালি বারমান, মাতান আংগ্রেস্ট, জিভ বারমান, আলোন ওহেল, এইটান আব্রাহাম মর, ওমরি মিরান, গাই গিলবোয়া-ডালাল।
মন্ত্রণালয় থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টের মাধ্যমে নামগুলো প্রকাশ করা হয়েছে। জিম্মিদের ছবি দিয়ে পোস্টের ক্যাপশন হিসেবে লেখা হয়েছে: 'ওয়েলকাম হোম' [বাড়িতে স্বাগতম]।