হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে ‘সূর্য, চাঁদ আর তারা এক হলো’: সাবেক শান্তি আলোচক অ্যারন ডেভিড মিলার

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গাজা নিয়ে প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে—যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তিতে—ইসরায়েল ও হামাস সম্মত হয়।
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে দুই দশকের বেশি সময় ধরে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচক হিসেবে কাজ করা অ্যারন ডেভিড মিলার বলেছেন, 'সূর্য, চাঁদ আর তারা এক হলো।'
সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, হামাস এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। বিশেষ করে সংগঠনের ভেতরে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন—ব্রিগেড পর্যায়ের কমান্ডাররা—তারা জিম্মিদের প্রতি সেই মাত্রার গুরুত্ব দেখাচ্ছেন না, যা দেখাতেন সাবেক নেতা ইয়াহইয়া সিনওয়ার।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলের হাতে ২০২৪ সালের অক্টোবরে সিনওয়ার নিহত হন।
মিলার জানান, আরব দেশগুলোও একজোট হয়ে হামাসকে জিম্মি মুক্তিতে চাপ দিয়েছে। তিনি বলেন, 'কাতার, তুরস্ক ও অন্যান্য আরব রাষ্ট্র হামাসকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে যে জিম্মিরা আর কার্যকর সম্পদ নয়। এতে হামাস কিছুটা নমনীয় হতে বাধ্য হয়েছে। এক পর্যায়ে আরব দেশগুলো এমনভাবে একত্রিত হয়েছে, যা আগে দেখা যায়নি, ফলে হামাস কার্যত একঘরে হয়ে পড়ে—শুধু ইরানই তাদের একমাত্র নির্ভরযোগ্য মিত্র হিসেবে থাকে।'
এই প্রক্রিয়ার তৃতীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকা। মিলারের মতে, 'কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট—ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকান—কখনোই কোনো ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে এমন বিষয়ে চাপ দেননি, যা তার রাজনৈতিক অবস্থান ও নিরাপত্তার সংজ্ঞার জন্য অপরিহার্য মনে করা হয়। ট্রাম্পের চাপের কারণেই আমরা এখন এ আলোচনা করতে পারছি।'
তিনি আরও বলেন, চুক্তির সফলতা অনেকাংশে নির্ভর করবে ট্রাম্প কতটা অঙ্গীকারবদ্ধভাবে বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যেতে চান তার ওপর। 'এটা হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা ঠিক করবে আমরা দ্বিতীয় ধাপে যেতে পারব কি না।'