হামাসকে 'শেষ সতর্কবার্তা' দেওয়ার পর ‘শিগগিরই’ গাজা চুক্তি করতে চান ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, গাজা নিয়ে একটি চুক্তি শিগগিরই হতে পারে। এর মাধ্যমে হামাসের হাতে আটক সব জিম্মি মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে তিনি জানান, তিনি ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে 'শেষ সতর্কবার্তা' দিয়েছেন।
রোববার নিউইয়র্ক সফর শেষে ওয়াশিংটনে ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি জানান, বিমানে বসেই এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, 'আমরা এমন একটি সমাধান খুঁজছি, যা খুব ভালো হতে পারে। অচিরেই আপনারা এ বিষয়ে শুনবেন। আমরা চেষ্টা করছি এটি শেষ করার, জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার।' তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
এর আগে, ট্রাম্প হামাসকে তার শর্ত মেনে নিতে সতর্ক করেন। তবে তিনি শর্তগুলোর ব্যাখ্যা দেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম 'ট্রুথ সোশ্যাল'-এ তিনি লেখেন, 'ইসরায়েলিরা আমার শর্ত মেনে নিয়েছে। এখন হামাসেরও মেনে নেওয়ার সময় এসেছে। আমি হামাসকে সতর্ক করেছি, না মানলে পরিণতি ভোগ করতে হবে। এটি আমার শেষ সতর্কবার্তা, এরপর আর কোনো সতর্কবার্তা থাকবে না।'
পরে হামাস জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে কিছু প্রস্তাব তারা পেয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির লক্ষ্যে সেই প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে সম্ভাব্য চুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।
হামাস জানায়, তারা সব জিম্মি মুক্তির আলোচনায় প্রস্তুত। তবে শর্ত হিসেবে তারা দাবি করেছে 'যুদ্ধের অবসান ও ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণভাবে গাজা থেকে সরে যাওয়ার স্পষ্ট ঘোষণা'।
সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, তিনি মনে করেন সব জিম্মিই ফিরে আসবে। তিনি বলেন, 'আমরা সবাইকে ফিরে পাবো।' তবে তিনি উল্লেখ করেন, কেউ কেউ হয়তো ইতোমধ্যে মারা গেছেন। সে ক্ষেত্রে তাদের মরদেহ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হবে।
শনিবার ইসরায়েলের এন১২ নিউজ জানায়, হামাসের কাছে নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প। প্রস্তাব অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনেই অবশিষ্ট ৪৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এর বিনিময়ে ইসরায়েলে বন্দী হাজারো ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে হবে। পাশাপাশি যুদ্ধবিরতির সময় যুদ্ধের স্থায়ী অবসান নিয়ে আলোচনা চলবে।
একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেন, ট্রাম্পের প্রস্তাব তারা 'গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন।' তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।