Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Monday
December 22, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
MONDAY, DECEMBER 22, 2025
'আমেরিকার তেল, জমি ও সম্পদ চুরি করেছে ভেনেজুয়েলা'—ট্রাম্পের দাবির নেপথ্যে যত ইতিহাস

আন্তর্জাতিক

ওয়াশিংটন পোস্ট
22 December, 2025, 11:25 am
Last modified: 22 December, 2025, 11:29 am

Related News

  • যুক্তরাষ্ট্র সফরে ট্রাম্পের কাছে ইরানে হামলার নতুন পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন নেতানিয়াহু
  • বছরজুড়ে নিজেদের শক্তির প্রমাণ দিল চীন; আর তাতে নিজের অজান্তেই ‘সাহায্য’ করলেন ট্রাম্প
  • ঢাকায় নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন
  • হাদির মৃত্যু: মধ্যরাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
  • ‘তুমি কে আমি কে, হাদি হাদি’ স্লোগানে শাহবাগ অবরোধ

'আমেরিকার তেল, জমি ও সম্পদ চুরি করেছে ভেনেজুয়েলা'—ট্রাম্পের দাবির নেপথ্যে যত ইতিহাস

ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আগে ‘চুরি করা’ সব তেল, জমি ও অন্যান্য সম্পদ যুক্তরাষ্ট্রকে ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত এই অবরোধ বহাল থাকবে।
ওয়াশিংটন পোস্ট
22 December, 2025, 11:25 am
Last modified: 22 December, 2025, 11:29 am
ভেনিজুয়েলায় আসা এবং সেখান থেকে ছেড়ে যাওয়া তেলের ট্যাঙ্কারগুলোর ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া অবরোধের আদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন সরকারি সমর্থকরা। ছবি: রয়টার্স

১৯৭৬ সালে তেলসমৃদ্ধ ভেনেজুয়েলার সরকার দেশের পেট্রোলিয়াম শিল্পের নিয়ন্ত্রণ নেয়। সে সময় মার্কিন দানবীয় প্রতিষ্ঠান এক্সনমোবিলের বিভিন্ন প্রকল্পসহ শত শত বেসরকারি ব্যবসা এবং বিদেশি মালিকানাধীন সম্পদ জাতীয়করণ করা হয়।

পরবর্তীতে ২০০৭ সালে ভেনিজুয়েলার সমাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তক হুগো চাভেজ ওরিনোকো বেল্টের শেষ বেসরকারি তেল প্রকল্পগুলোও সরকারের অধীনে নিয়ে আসেন। উল্লেখ্য যে, ওরিনোকো বেল্টেই দেশটির সবচেয়ে বড় তেলের ভাণ্ডার অবস্থিত।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ সপ্তাহে বলেন, মার্কিন তেল কোম্পানিগুলোর সম্পদ অধিগ্রহণের ঘটনাই ভেনেজুয়েলায় আসা–যাওয়া করা তেলবাহী ট্যাংকারগুলোর ওপর 'সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক অবরোধ' আরোপের যৌক্তিকতা তৈরি করেছে। এই অবরোধ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই কার্যকর থাকবে।

ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আগে 'চুরি করা' সব তেল, জমি ও অন্যান্য সম্পদ যুক্তরাষ্ট্রকে ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত এই অবরোধ বহাল থাকবে।

ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, 'ওরা আর এটা করতে পারবে না। আমাদের সেখানে অনেক তেল ছিল। আপনারা জানেন, তারা আমাদের কোম্পানিগুলোকে বের করে দিয়েছে, আর আমরা সেটা ফেরত চাই।'

কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমাণিত অপরিশোধিত তেলের মজুতের দেশ ভেনেজুয়েলায় মার্কিন কোম্পানিগুলোর কখনোই তেল বা জমির মালিকানা ছিল না, এবং দেশটির কর্তৃপক্ষও তাদের দেশ থেকে বের করে দেয়নি।

ডেনভার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেনেজুয়েলান অর্থনীতিবিদ ফ্রান্সিসকো রদ্রিগেজ বলেন, 'ভেনেজুয়েলা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে তেল ও জমি চুরি করেছে—ট্রাম্পের এই দাবি ভিত্তিহীন।'

জাতীয়করণ ছিল ডান ও বাম—উভয় ধারার সরকারের কয়েক দশকব্যাপী প্রচেষ্টার চূড়ান্ত পরিণতি, যার লক্ষ্য ছিল এমন একটি শিল্পকে সরকারি নিয়ন্ত্রণে আনা, যা আগের এক নেতা প্রায় পুরোপুরি ছেড়ে দিয়েছিলেন।

ডানপন্থী শক্তিমান নেতা হুয়ান ভিসেন্তে গোমেজ—যিনি ১৯০৮ সাল থেকে ১৯৩৫ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা শাসন করা এক সামরিক স্বৈরশাসক ছিলেন। তিনি এমন সব ছাড়পত্র দিয়েছিলেন, যার ফলে তিনটি বিদেশি তেল কোম্পানি ভেনেজুয়েলার বাজারের ৯৮ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে নেয়। এর ফলে দেশটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদক ও সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারকে পরিণত হয়। দেশের মোট রপ্তানির ৯০ শতাংশেরও বেশি ছিল তেলনির্ভর।

গোমেজের উত্তরসূরিরা দেশের অর্থনীতির ওপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন। প্রেসিডেন্ট ইসাইয়াস মেদিনা আঙ্গারিতার শাসনামলে ১৯৪৩ সালে এমন একটি আইন অনুমোদন করা হয়, যার ফলে বিদেশি তেল কোম্পানিগুলোকে তাদের মুনাফার অর্ধেক সরকারকে দিতে বাধ্য করা হয়।

১৯৫৮ সালে ডেমোক্র্যাটিক অ্যাকশন, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিকান ইউনিয়ন এবং ইন্ডিপেনডেন্ট পলিটিক্যাল ইলেক্টোরাল অর্গানাইজেশন কমিটির মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি নিশ্চিত করে যে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো তেল আয়ের অংশ পাবে।

১৯৭৫ সালে যখন ভেনেজুয়েলার আইনপ্রণেতারা জাতীয়করণসংক্রান্ত আইন নিয়ে আলোচনা শুরু করেন, তখন, রদ্রিগেজের ভাষায়, বিষয়টি 'লেখা ছিল দেওয়ালে'—অর্থাৎ পরিণতি তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

রদ্রিগেজ বলেন, 'ভেনেজুয়েলা এই জাতীয়করণ প্রক্রিয়াকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাবে—এতে বাধা দেওয়ার মতো কেউ ছিল না। আর যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ ছিল ভেনেজুয়েলাকে তেলের সরবরাহকারী হিসেবে ধরে রাখা—তাও তুলনামূলকভাবে সস্তা তেলের—ভেনেজুয়েলায় উৎপাদন ধসে পড়ুক, এমনটা তারা চায়নি।' ফলে এই পরিবর্তন ছিল 'তুলনামূলকভাবে বিতর্কহীন'।

গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী প্রেসিডেন্ট কার্লোস আন্দ্রেস পেরেজ ওই বছরের আগস্টে বিলটিতে স্বাক্ষর করে একে আইনে পরিণত করেন। ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পেত্রোলেওস দে ভেনেজুয়েলা এসএ (পিডিভিএসএ) তেল অনুসন্ধান, উৎপাদন, পরিশোধন ও রপ্তানির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়।

অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব অর্জনের লক্ষ্যে জ্বালানি সম্পদের নিয়ন্ত্রণ—প্রধানত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে—ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে যে সম্পদ-জাতীয়তাবাদের ঢেউ শুরু হয়েছিল, তাতে ভেনেজুয়েলা মেক্সিকো, ব্রাজিল ও সৌদি আরবের পথ অনুসরণ করে।

এই প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মার্কিন তেল কোম্পানিগুলো। এর মধ্যে ছিল এক্সন ও মোবিল—যারা ১৯৯৯ সালে একীভূত হয়—এবং গালফ অয়েল, যা ১৯৮৪ সালে শেভরনে পরিণত হয়। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বৃহৎ কোম্পানি শেলও এর প্রভাব থেকে বাদ পড়েনি। ওই সময়ের সংবাদ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ভেনেজুয়েলায় অপরিশোধিত তেল উৎপাদনের ৭০ শতাংশের বেশি নিয়ন্ত্রণে রাখা এসব কোম্পানি প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ হারায়। তবে ক্ষতিপূরণ হিসেবে তারা প্রত্যেকে মাত্র ১ বিলিয়ন ডলার পায়।

তবে রদ্রিগেজের ভাষ্য অনুযায়ী, কোম্পানিগুলো বেশি অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দাবি করেনি এবং তারা মনে করেছিল, 'এ বিষয়টি আরও চাপ দেওয়ার কোনো মানে নেই।' সে সময়, অর্থাৎ ১৯৭৬ সালে, এমন কোনো ব্যবস্থাও ছিল না, যার মাধ্যমে কোম্পানিগুলো এসব মামলা আদালতে নিয়ে যেতে পারত।

(১৯৯১ সালে ভেনেজুয়েলা ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ চুক্তির মাধ্যমে এমন একটি আইনি পথ তৈরি হয়, যা বিনিয়োগকারীদের অন্যায্য আচরণের অভিযোগে কোনো বিদেশি সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করার সুযোগ দেয়। এসব মামলা সাধারণ আদালতের বদলে বেসরকারি সালিশি ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তি হয়।)

২০০৭ সালের জানুয়ারিতে হুগো শাভেজ প্রাকৃতিক গ্যাস শিল্প জাতীয়করণের আহ্বান জানান। এটি ছিল তেলসম্পদ পুনর্বণ্টন এবং দারিদ্র্যপীড়িত দেশটিকে একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরের তার পরিকল্পনার অংশ।

ভেনেজুয়েলার ওরিনোকো বেল্টে পিডিভিএসএ যখন তেল কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ নেয়, তখন এক্সনমোবিল ও কনোকোফিলিপস নতুন চুক্তির শর্তে একমত হতে ব্যর্থ হয়। এরপর তারা সালিশি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৪০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করে।

নতুন চুক্তির শর্তে শেভরন ও স্পেনের মালিকানাধীন রেপসোলসহ কয়েকটি তেল কোম্পানি ভেনেজুয়েলায় কার্যক্রম চালু রাখে। শেভরনই একমাত্র মার্কিন কোম্পানি, যা এখনো সেখানে পরিচালনা করছে।

২০১২ সালে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স এক্সনমোবিলকে ৯০ কোটি ৮০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়, যা ভেনেজুয়েলা যে ১০০ কোটি ডলার প্রস্তাব করেছিল, তার চেয়েও কম। ২০১৮ সালে ট্রাইব্যুনাল কনোকোফিলিপসকে ২০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়। বিশ্বব্যাংকের অধীনস্থ ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর সেটেলমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্ট ডিসপিউটস ২০১৪ সালে এক্সনমোবিলকে ১৬০ কোটি ডলার এবং ২০১৯ সালে কনোকোফিলিপসকে ৮৭০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ প্রদান করে।

ভেনেজুয়েলা এখনও সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করেনি। দেশটির অর্থনীতি চরম মুদ্রাস্ফীতি, সরকারি দুর্নীতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে সংকটে রয়েছে। হুগো শাভেজের উত্তরসূরী প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর শাসনামলে ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানি, যা এক সময় দিনে ৩০ থেকে ৪০ লাখ ব্যারেল ছিল, বর্তমানে আনুমানিক দিনে মাত্র ৯ লাখ ব্যারেল। এর বেশির ভাগ তেল যায় চীনে।

ট্রাম্প প্রশাসন মাদুরোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে, তিনি তেলের আয়ের টাকা মাদক পাচার ও অন্যান্য অপরাধে ব্যবহার করছেন। তবে মাদুরো এই দাবিকে 'যুদ্ধপ্ররোচনা' হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

ট্রাম্পের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি উপদেষ্টা স্টিফেন মিলার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে লিখেছেন, "আমেরিকানদের ঘাম, মেধা এবং কঠোর পরিশ্রমেই ভেনিজুয়েলার তেল শিল্প গড়ে উঠেছিল। এর স্বৈরাচারী জবরদখল ছিল আমেরিকার সম্পদ ও সম্পত্তির নথিবদ্ধ ইতিহাসের বৃহত্তম চুরির ঘটনা।"

অন্যদিকে, রদ্রিগেজ মন্তব্য করেছেন যে, (ট্রাম্প) প্রশাসনের এই অবস্থানের "আসলে কোনো যৌক্তিক ভিত্তি নেই।"

রদ্রিগেজ বলেন, "এটি এক ধরনের অদ্ভুত যুক্তি। বিষয়টি অনেকটা এমন—আপনি আমার কাছে কিছু টাকা পান। আমরা দুজনেই আদালতে গেলাম। আদালত রায় দিল, 'তুমি আমাকে এই টাকা পরিশোধ করো।' আপনি আমাকে টাকা দেওয়া শুরুও করলেন। কিন্তু এরপর আমি—গায়ের জোরে বা নিষেধাজ্ঞার বেড়াজাল চাপিয়ে দিয়ে—আপনার পক্ষে সেই পাওনা পরিশোধ করা অসম্ভব করে তুললাম। আর তারপর উল্টো আমিই আপনার বিরুদ্ধে আমার সম্পদ চুরি করার অভিযোগ আনলাম।"

গত ১০ ডিসেম্বর মার্কিন বাহিনী 'স্কিপার' নামে তেল বোঝাই একটি বিশাল ট্যাঙ্কার আটক করে। জাহাজটি গায়ানার ভুয়া পতাকা ব্যবহার করে চলছিল এবং এর ওপর আগে থেকেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ছিল। ভেনিজুয়েলা থেকে এশিয়ার দিকে যাওয়ার পথে একে জব্দ করা হয়। এরপর গত শনিবার মার্কিন বাহিনী আরও একটি জাহাজ পথে আটক করেছে।

ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির তেল বিভাগের সাবেক প্রধান নিল অ্যাটকিনসন বলেছেন যে, এই অবরোধ যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে তা ভেনিজুয়েলা সরকারের অর্থনীতিকে পুরোপুরি অচল বা পঙ্গু করে দেবে। কারণ দেশটির রাষ্ট্রীয় কোষাগার মূলত তেল রপ্তানি থেকে আসা আয়ের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।

তিনি আরও বলেন, "স্বল্প মেয়াদে ভেনিজুয়েলার জন্য এর প্রভাব হবে অত্যন্ত গুরুতর; কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এই প্রভাব এক মহাবিপর্যয় ডেকে আনবে।"

নিল অ্যাটকিনসনের হিসাব অনুযায়ী, ভেনিজুয়েলা প্রতিদিন বিদেশে তেল রপ্তানির জন্য মাত্র হাতেগোনা কয়েকটি ট্যাঙ্কারের ওপর নির্ভর করে। তিনি বলেন, এ ধরনের ৩০টি ট্যাঙ্কার অবরোধ করা হলে তা দেশটির অর্থনীতির ওপর "পঙ্গু করে দেওয়ার মতো" মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

তবে ট্রাম্পের এই অবরোধ মূলত কেবল সেই 'ডার্ক ফ্লিট' বা ছায়া জাহাজ বহরের ওপর কার্যকর হবে যেগুলোর ওপর তিনি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। এই জাহাজগুলোর বেশিরভাগই ভুয়া নিবন্ধনের আড়ালে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ইরানি তেল পরিবহন করে থাকে। 'স্কিপার'-এর মতো এ ধরনের কতগুলো জাহাজ ভেনিজুয়েলাও ব্যবহার করছে এবং সেগুলোকে থামানো হতে পারে কি না, তা এখনও অস্পষ্ট।

তবে নিল অ্যাটকিনসন মনে করেন, এই অবরোধের কারণে বিশ্ব তেলের বাজারে বড় কোনো প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই; কারণ বর্তমানে তেলের বৈশ্বিক চাহিদা অপেক্ষা সরবরাহ অনেক বেশি। তিনি বলেন, "আপনি যদি ভেনিজুয়েলার তেল শিল্পকে বিপর্যস্ত করতে চান, তবে বিশ্ববাজারে তেলের দামের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব না ফেলেই তা করার জন্য এটিই উপযুক্ত সময়।"

এমনকি ভেনিজুয়েলার তেলের বৃহত্তম আমদানিকারক চীনের ওপরও এর প্রভাব হবে নগণ্য। কারণ চীনের মোট আমদানিকৃত তেলের মাত্র সামান্য একটি অংশ আসে ভেনিজুয়েলা থেকে। অ্যাটকিনসন আরও বলেন, "চীনারা চূড়ান্তভাবে বাস্তববাদী। তারা সহজেই ভেনিজুয়েলার তেলের এই ঘাটতি অন্য কোনো উৎস থেকে পূরণ করে নিতে পারবে।"

Related Topics

টপ নিউজ

ভেনেজুয়েলা / তেল / সম্পদ / জমি / চুরি / যুক্তরাষ্ট্র / মার্কিন কোম্পানি / মার্কিন প্রেসিডেন্ট / ডোনাল্ড ট্রাম্প / তেল ট্যাংকার / অবরোধ

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ফাইল ছবি: সংগৃহীত
    হাদি হত্যাকাণ্ড: মূল অভিযুক্তের ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন
  • ছবি: সংগৃহীত
    আইপিএলে মুস্তাফিজকে ৯.২ কোটি রুপিতে দলে ভেড়ানোয় ত্রিপুরার মহারাজার ক্ষোভ
  • ইনফোগ্রাফিক্স: টিবিএস
    সরকারি চিনিকল বাঁচানো—এটা কি আদৌ সম্ভব?
  • ছবি: সংগৃহীত
    মতাদর্শে মিল থাকলেও শিবিরের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীসংস্থা
  • ছবি: সংগৃহীত
    শেখ পরিবারের নামে ৫ স্থাপনা পরিবর্তনের দাবি: ভোটের পর ফেলানী হলের প্রস্তাব পরিবর্তন ডাকসুর
  • ছবি: রয়টার্স
    অবতরণের সময় বিমান উল্টে আগুন, মৃত্যুর মুখ থেকে যেভাবে অলৌকিকভাবে বেঁচে ফিরলেন সব যাত্রী

Related News

  • যুক্তরাষ্ট্র সফরে ট্রাম্পের কাছে ইরানে হামলার নতুন পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন নেতানিয়াহু
  • বছরজুড়ে নিজেদের শক্তির প্রমাণ দিল চীন; আর তাতে নিজের অজান্তেই ‘সাহায্য’ করলেন ট্রাম্প
  • ঢাকায় নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন
  • হাদির মৃত্যু: মধ্যরাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
  • ‘তুমি কে আমি কে, হাদি হাদি’ স্লোগানে শাহবাগ অবরোধ

Most Read

1
ফাইল ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

হাদি হত্যাকাণ্ড: মূল অভিযুক্তের ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন

2
ছবি: সংগৃহীত
খেলা

আইপিএলে মুস্তাফিজকে ৯.২ কোটি রুপিতে দলে ভেড়ানোয় ত্রিপুরার মহারাজার ক্ষোভ

3
ইনফোগ্রাফিক্স: টিবিএস
অর্থনীতি

সরকারি চিনিকল বাঁচানো—এটা কি আদৌ সম্ভব?

4
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

মতাদর্শে মিল থাকলেও শিবিরের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীসংস্থা

5
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

শেখ পরিবারের নামে ৫ স্থাপনা পরিবর্তনের দাবি: ভোটের পর ফেলানী হলের প্রস্তাব পরিবর্তন ডাকসুর

6
ছবি: রয়টার্স
আন্তর্জাতিক

অবতরণের সময় বিমান উল্টে আগুন, মৃত্যুর মুখ থেকে যেভাবে অলৌকিকভাবে বেঁচে ফিরলেন সব যাত্রী

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net