Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Saturday
October 04, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SATURDAY, OCTOBER 04, 2025
গাজায় 'অবিলম্বে' বোমা হামলা বন্ধ করতে ইসরায়েলকে ট্রাম্পের নির্দেশ, জিম্মিদের মুক্তি দিতে রাজি হামাস

আন্তর্জাতিক

আল জাজিরা, সিএনএন ও রয়টার্স
04 October, 2025, 10:00 am
Last modified: 04 October, 2025, 12:41 pm

Related News

  • গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আটকের নিন্দা জানাল বাংলাদেশ
  • গাজাগামী ফ্লোটিলায় ইসরায়েলি বাধা: প্রতিবাদে ইউরোপে সড়ক অবরোধ, দোকানপাট ভাঙচুর
  • গাজা অভিমুখী ফ্লোটিলা বহরের শেষ নৌযানও আটক করল ইসরায়েল
  • গাজায় গণহত্যার দায়ে ইসরায়েলকে ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করতে উয়েফার প্রতি বিশেষজ্ঞদের আহ্বান
  • গাজা যুদ্ধ অবসানে ট্রাম্পের প্রস্তাব: ‘শিগগিরই’ জবাব দেবে হামাস

গাজায় 'অবিলম্বে' বোমা হামলা বন্ধ করতে ইসরায়েলকে ট্রাম্পের নির্দেশ, জিম্মিদের মুক্তি দিতে রাজি হামাস

ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনায় বলা হয়, উভয় পক্ষ এই প্রস্তাবে সম্মত হলে যুদ্ধ অবিলম্বে শেষ হবে। জিম্মি মুক্তির প্রস্তুতির জন্য এই সময়ে বিমান হামলাসহ সব ধরনের সামরিক অভিযান স্থগিত থাকবে এবং প্রত্যাহারের শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধক্ষেত্র অপরিবর্তিত থাকবে।
আল জাজিরা, সিএনএন ও রয়টার্স
04 October, 2025, 10:00 am
Last modified: 04 October, 2025, 12:41 pm

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবিলম্বে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করার জন্য শুক্রবার ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছেন। হামাস জিম্মি মুক্তি দিতে এবং যুদ্ধ শেষ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত কিছু শর্ত মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এই নির্দেশ দেন তিনি। তবে নিরাপত্তা ও অস্ত্র ত্যাগের মতো জটিল বিষয় এখনও সমাধান হয়নি।

ইসরায়েল সরকার জানিয়েছে তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ 'অবিলম্বে বাস্তবায়ন' করতে প্রস্তুত। শনিবার ভোরে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়। দীর্ঘদিনের ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর এটি যুদ্ধবিরতির দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন পর্যবেক্ষকরা।

হামাসের প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল জানিয়েছে তারা পরিকল্পনার প্রথম ধাপ অবিলম্বে বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে; এই ধাপে সকল বন্দিকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।

ইসরায়েলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আমরা প্রেসিডেন্ট ও তার দলের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতায় কাজ চালিয়ে যাব। যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ইসরায়েলের নির্ধারিত নীতিমালা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।'

তবে ট্রাম্পের যে দাবি ছিল—'গাজায় অবিলম্বে বোমা হামলা বন্ধ করতে হবে'—তার বিষয়ে ইসরায়েল কোনো মন্তব্য করেনি। বন্দিদের মুক্তির সময়সীমা নিয়েও কোনো ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি।

হামাস জানিয়েছে তারা অবিলম্বে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত; আলোচনায় বন্দি বিনিময়ের বিস্তারিত বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে তারা গাজার শাসনভার 'স্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (প্রযুক্তিবিদদের নিয়ে গঠিত) কাছে, যেটি জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে হবে এবং আরব ও ইসলামি সমর্থনের ওপর নির্ভরশীল থাকবে' হস্তান্তর করতে প্রস্তুত।

ট্রাম্পের প্রস্তাবের জবাবটি মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে— এ তথ্য সিএনএন সংগ্রহ করেছে।

এর আগে শুক্রবার ট্রাম্প হামাসকে রোববার সন্ধ্যার মধ্যে সাড়া দেওয়ার আলটিমেটাম দেন। হামাসের ঘোষণার পর তিনি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানান। ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লিখেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন হামাস 'দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য প্রস্তুত'। একইসঙ্গে তিনি ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানান গাজায় বিমান হামলা বন্ধ করে জিম্মিদের মুক্তির উদ্যোগ নিতে।

ট্রাম্প বলেন, 'ইসরায়েলকে অবশ্যই অবিলম্বে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে হবে, যাতে আমরা জিম্মিদের নিরাপদে এবং দ্রুত বের করে আনতে পারি। এখনই এটি করার মতো পরিস্থিতি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা ইতোমধ্যেই বিস্তারিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি।'

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ট্রাম্পের ওই দাবির বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেনি।

হামাসের বিবৃতির পর— কিন্তু ইসরায়েলের বিবৃতির আগে— ট্রুথ সোশ্যালে প্রকাশিত এক ভিডিওতে ট্রাম্প দিনটিকে 'একটি বড় দিন' বলে অভিহিত করেন; তবে সতর্ক করে বলেন, 'শেষ পর্যন্ত বিষয়টি কীভাবে দাঁড়ায়, তা আমরা দেখব। আমাদের বিষয়টিকে সুনির্দিষ্টভাবে চূড়ান্ত করতে হবে।'

ট্রাম্পের প্রস্তাবে গাজার ক্ষমতা ত্যাগের চুক্তি এবং অবশিষ্ট ৪৮ জন জিম্মিকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দেওয়ার দাবি ছিল। তবে এই দুই বিষয়ে সীমাবদ্ধতা বিবেচনা করায় তা হামাসকে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

হামাস দুইটি শর্ত মেনে নিলে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব এগোনোর পথ তৈরি হবে— এ প্রস্তাবের আন্তর্জাতিক সমর্থনও রয়েছে, বিশেষ করে যখন যুদ্ধ বন্ধের দাবি জোরালো হয়ে উঠেছে। তবু কাতার, মিশর ও তুরস্কের চাপ থাকা সত্ত্বেও হামাস প্রস্তাব চূড়ান্তভাবে গ্রহণ করবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।

হামাসের জবাবে নিরস্ত্রীকরণ বা অস্ত্র সমর্পণের প্রসঙ্গ নেই— অর্থাৎ ট্রাম্পের প্রস্তাবের সেই গুরুত্বপূর্ণ শর্তটি হামাস বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে। একইভাবে হামাসের জবাবে আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধান কমিটির কথাও নেই; ট্রাম্প ওই কমিটির নাম দিয়েছিলেন 'বোর্ড অব পিস' এবং কমিটি গাজা শাসনব্যবস্থা তদারক করার দায়িত্বে থাকবে বলে বলা হয়েছিল।

হামাস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে উল্লিখিত গাজার ভবিষ্যৎ ও ফিলিস্তিনি জনগণের মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলো ভবিষ্যতে আলোচনা করা হবে। সংগঠনটি বলেছে তারা একটি 'সমন্বিত জাতীয় ফিলিস্তিনি কাঠামোতে' থাকবে এবং 'পূর্ণ দায়িত্বশীলতার সঙ্গে' ভূমিকা রাখবে। এই দাবি সরাসরি ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে, যেখানে বলা হয়েছিল হামাস ও গাজার অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে কোনোভাবেই—'সরাসরি বা পরোক্ষভাবে'—গাজার প্রশাসনে যুক্ত করা যাবে না।

গত সোমবার হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ২০ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেছিলেন ট্রাম্প। নেতানিয়াহু তখন জানিয়েছিলেন তিনি ওই কাঠামোর সঙ্গে একমত। ট্রাম্প সেই দিন থেকেই হামাসের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় ছিলেন।

শুক্রবার ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, যদি হামাস রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রস্তাবে সম্মতি না জানায়, তবে 'অভূতপূর্ব নরক নেমে আসবে'।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এত অল্প সময়ে সমঝোতা হওয়া কঠিন বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে মধ্যস্থতাকারীরা আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে, যা প্রস্তাবের মূল ফাঁকগুলো পূরণে সহায়তা করবে।

গাজায় চলমান যুদ্ধসংক্রান্ত আলোচনায় মিশর অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ। মিশর হামাসের প্রতিক্রিয়াকে 'ইতিবাচক অগ্রগতি' হিসেবে অভিহিত করেছে। মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'মিশর আশা করে এই ইতিবাচক অগ্রগতি সব পক্ষকে দায়িত্বশীলতার পর্যায়ে উন্নীত করবে, যাতে তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ হয় এবং যুদ্ধের অবসান ঘটায়।'

মধ্যস্থতাকারী কাতারও হামাসের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে কাতার জানিয়েছে তারা মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একযোগে কাজ শুরু করেছে, আলোচনাগুলো চূড়ান্ত করে যুদ্ধের অবসান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে।

হামাসের প্রতিক্রিয়ার পর ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ বলেছেন, অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি ও যুদ্ধের ইতি টানার জন্য এটি এক 'অভূতপূর্ব সুযোগ'। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে লাপিদ ইসরায়েলি সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন আলোচনায় যোগ দিতে, যাতে ২০ দফা প্রস্তাবটি চূড়ান্ত করা যায়। তিনি আরও জানিয়েছেন তিনি ট্রাম্প প্রশাসনকে জানিয়েছেন নেতানিয়াহুর একটি চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য রাজনৈতিক সমর্থন রয়েছে।

লাপিদ বারবার বলেছেন তিনি নেতানিয়াহুকে রাজনৈতিক নিরাপত্তা জাল দিতে প্রস্তুত, যাতে জিম্মি বিনিময়ের চুক্তি সম্ভব হয়। তবে তিনি নেতানিয়াহুর সঙ্গে এমন একটি চুক্তি কেমন হবে—তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা এড়িয়ে গেছেন।

ট্রাম্পের ২০-দফা পরিকল্পনায় যা যা থাকছে

  • গাজাকে একটি উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে, যা প্রতিবেশীদের জন্য কোনো হুমকি তৈরি করবে না।
  • গাজার জনগণের কল্যাণে উপত্যকাটি পুনর্গঠন করা হবে, যারা ইতোমধ্যে যথেষ্ট দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
  • উভয় পক্ষ এই প্রস্তাবে সম্মত হলে যুদ্ধ অবিলম্বে শেষ হবে। জিম্মি মুক্তির প্রস্তুতির জন্য এই সময়ে বিমান ও কামান হামলাসহ সব ধরনের সামরিক অভিযান স্থগিত থাকবে এবং প্রত্যাহারের শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধক্ষেত্র অপরিবর্তিত থাকবে।
  • ইসরায়েল প্রকাশ্যে এই চুক্তিতে সম্মতি জানানোর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত ও মৃত সব জিম্মিকে ফেরত দিতে হবে।
  • সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার পর ইসরায়েল যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ২৫০ জন বন্দীসহ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর আটক ১ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে, যার মধ্যে সব নারী ও শিশু অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রত্যেক মৃত ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহের বিনিময়ে ইসরায়েল ১৫ জন মৃত ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দেবে।
  • সব জিম্মিকে ফেরত পাঠানোর পর হামাসের যেসব সদস্য শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবেন এবং অস্ত্র সমর্পণ করবেন, তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হবে। হামাসের যেসব সদস্য গাজা ত্যাগ করতে চাইবেন, তাদের জন্য নিরাপদ প্রস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে।
  • চুক্তিতে সম্মতি জানানোর পরপরই গাজা উপত্যকায় সর্বাত্মক ত্রাণসহায়তা পাঠানো হবে। ন্যূনতম সহায়তার পরিমাণ হবে ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারির চুক্তি অনুসারে, যার মধ্যে অবকাঠামো (পানি, বিদ্যুৎ, পয়োনিষ্কাশন) পুনর্বাসন, হাসপাতাল ও বেকারি চালু এবং ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে রাস্তা খোলার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
  • জাতিসংঘ, এর বিভিন্ন সংস্থা, রেড ক্রিসেন্ট এবং বিবদমান কোনো পক্ষের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উভয় পক্ষের কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়াই গাজা উপত্যকায় ত্রাণ ও সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম চলবে। ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত চুক্তির অধীনে যে পদ্ধতিতে রাফাহ ক্রসিং পরিচালিত হতো, সেই একই পদ্ধতিতে ক্রসিংটি উভয় দিকে খুলে দেওয়া হবে।
  • গাজা একটি অস্থায়ী অন্তর্বর্তীকালীন টেকনোক্র্যাট ও অরাজনৈতিক ফিলিস্তিনি কমিটির অধীনে পরিচালিত হবে। এই কমিটি গাজার জনগণের জন্য দৈনন্দিন সরকারি পরিষেবা ও পৌরসভা পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে। যোগ্য ফিলিস্তিনি এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এই কমিটি গঠিত হবে। এর কার্যক্রম তদারকি করবে 'বোর্ড অব পিস' নামে একটি নতুন আন্তর্জাতিক অন্তর্বর্তীকালীন সংস্থা। এই সংস্থার প্রধান ও চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকবেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর অন্য সদস্যদের মধ্যে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারসহ আরও কয়েকজন রাষ্ট্রপ্রধানের নাম ঘোষণা করা হবে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সংস্কার কর্মসূচি সম্পন্ন না করা পর্যন্ত এই সংস্থাটিই গাজার পুনর্গঠনের জন্য কাঠামো নির্ধারণ ও তহবিল পরিচালনা করবে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সংস্কার শেষ করে যখন নিরাপদে ও কার্যকরভাবে গাজার নিয়ন্ত্রণ ফিরে নিতে সক্ষম হবে, তখনই তাদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।
  • মধ্যপ্রাচ্যের আধুনিক ও সফল শহরগুলো গড়ে তোলার পেছনে অবদান রাখা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি প্যানেল গঠন করা হবে, যারা গাজার পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করবে। এই পরিকল্পনা গাজায় নিরাপত্তা ও সুশাসনের এমন একটি কাঠামো তৈরি করবে, যা বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারে। এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান, সুযোগ এবং ভবিষ্যতের জন্য আশা তৈরি করা হবে। এ ছাড়া একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে, যেখানে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে অগ্রাধিকারমূলক শুল্ক ও প্রবেশাধিকারের হার নির্ধারণ করা হবে। 
  • কাউকে গাজা ছাড়তে বাধ্য করা হবে না। যারা চলে যেতে চাইবে, তারা স্বাধীনভাবে যেতে এবং ফিরে আসতে পারবে। বরং গাজাবাসীকে সেখানে থাকতে উৎসাহিত করা হবে এবং একটি উন্নত গাজা নির্মাণের সুযোগ দেওয়া হবে।
  • হামাস বা অন্য কোনো গোষ্ঠী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গাজার শাসনব্যবস্থায় কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না। সুড়ঙ্গ এবং অস্ত্র উৎপাদন কারখানাসহ সব ধরনের সামরিক ও সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস করা হবে এবং পুনরায় নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না। স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের তত্ত্বাবধানে গাজাকে নিরস্ত্রীকরণ করা হবে। এর মধ্যে অস্ত্র নিষ্ক্রিয়করণ এবং আন্তর্জাতিকভাবে অর্থায়নকৃত 'বাই-ব্যাক' (অস্ত্র কিনে নেওয়া) কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। 'নতুন গাজা' একটি সমৃদ্ধ অর্থনীতি গড়ে তুলতে এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
  • আঞ্চলিক অংশীদাররা একটি গ্যারান্টি প্রদান করবে, যা নিশ্চিত করবে যে হামাস এবং অন্যান্য গোষ্ঠীগুলো তাদের বাধ্যবাধকতা মেনে চলবে এবং 'নতুন গাজা' তার প্রতিবেশী বা নিজের জনগণের জন্য কোনো হুমকি তৈরি করবে না।
  • যুক্তরাষ্ট্র আরব ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে মিলে একটি অস্থায়ী 'আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী' (আইএসএফ) গড়ে তুলবে, যা অবিলম্বে গাজায় মোতায়েন করা হবে। এই বাহিনীর কাজ হবে গাজায় যাচাই-বাছাই করা ফিলিস্তিনি পুলিশ বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দেওয়া। এ ক্ষেত্রে জর্ডান ও মিশরের সঙ্গে পরামর্শ করা হবে, কারণ এই দেশগুলোর এ ধরনের কাজে ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই বাহিনীই হবে গাজার দীর্ঘমেয়াদি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার সমাধান।
  • নবগঠিত ফিলিস্তিনি পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে মিলে আইএসএফ ইসরায়েল ও মিশরের সীমান্ত এলাকা সুরক্ষিত করতে কাজ করবে। এর মূল উদ্দেশ্য হবে গাজায় অস্ত্রের প্রবেশ ঠেকানো এবং উপত্যকা পুনর্গঠনের জন্য নির্বিঘ্নে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা। এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় কোনো ধরনের সংঘাত এড়াতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো একটি সমন্বিত কৌশলে সম্মত হবে।
  • ইসরায়েল গাজা দখল বা অধিগ্রহণ করবে না। আইএসএফ যখন গাজায় নিয়ন্ত্রণ ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করতে শুরু করবে, তখন ইসরায়েলি বাহিনী পর্যায়ক্রমে নিজেদের প্রত্যাহার করবে। এই প্রত্যাহার প্রক্রিয়াটি নিরস্ত্রীকরণের মানদণ্ড, নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা এবং সময়সীমার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হবে। এ বিষয়ে ইসরায়েলি বাহিনী, আইএসএফ, গ্যারান্টি প্রদানকারী দেশগুলো এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি চুক্তি হবে। এর চূড়ান্ত লক্ষ্য হবে এমন একটি নিরাপদ গাজা প্রতিষ্ঠা করা, যা ইসরায়েল, মিশর বা তার নিজের নাগরিকদের জন্য আর কোনো হুমকি তৈরি করবে না।
  • অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের দখলকৃত এলাকাগুলো ধাপে ধাপে আইএসএফের কাছে হস্তান্তর করবে। এই প্রক্রিয়া চলতে থাকবে যতক্ষণ না তারা গাজা থেকে পুরোপুরি নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়। তবে, নতুন করে কোনো সন্ত্রাসী হামলার হুমকি থেকে গাজা পুরোপুরি সুরক্ষিত না হওয়া পর্যন্ত একটি নির্দিষ্ট নিরাপত্তা সীমানায় তাদের উপস্থিতি বজায় থাকবে।
  • যদি হামাস এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেরি করে বা প্রত্যাখ্যান করে, তবে বর্ধিত ত্রাণ কার্যক্রমসহ ওপরের সব পদক্ষেপ শুধু সেইসব 'সন্ত্রাসমুক্ত' এলাকায় বাস্তবায়ন করা হবে, যেগুলো ইসরায়েলি বাহিনী আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনীর (আইএসএফ) কাছে হস্তান্তর করবে।
  • ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মানসিকতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য একটি আন্তঃধর্মীয় সংলাপ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। এই সংলাপের ভিত্তি হবে সহনশীলতা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মূল্যবোধ, যেখানে শান্তির সুফলগুলোর ওপর জোর দেওয়া হবে।
  • গাজার পুনর্গঠন এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সংস্কার কর্মসূচি আন্তরিকভাবে বাস্তবায়িত হলে, ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য পথ তৈরি হতে পারে। হোয়াইট হাউস এটিকে ফিলিস্তিনি জনগণের আকাঙ্ক্ষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
  • চূড়ান্তভাবে, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ সহাবস্থানের জন্য একটি রাজনৈতিক দিগন্ত নির্ধারণে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংলাপের আয়োজন করবে।

Related Topics

টপ নিউজ

গাজা / ডোনাল্ড ট্রাম্প / শান্তি পরিকল্পনা / ইসরায়েল / হামাস

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • ইলাস্ট্রেশন: টিবিএস
    বাংলাদেশি ওয়াচ মেকার: দেশের প্রথম হাতঘড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান
  • ইসলামী ব্যাংকের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যাকড 
    ইসলামী ব্যাংকের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যাকড 
  • ছবি: আর্কাইভ ফটোস
    ভীষণ অলস, আনাড়ি সেনাপতি আর বিড়াল-বিদ্বেষী; হিটলারের যে দিকগুলো এখনো বলা হয়নি
  • ছবি: সংগৃহীত
    মিরপুরে চালক-হেলপারকে মারধর, যাত্রীদের নামিয়ে বাসে আগুন
  • ছবি : সংগৃহীত
    বই সংগ্রহের নেশা: ঠিক কতগুলো বইকে অসংখ্য কিংবা অনেক বেশি বলা যেতে পারে?
  • ছবি: রয়টার্স
    ট্রাম্পকে পাল্টা জবাব পুতিনের, বললেন ন্যাটো কি ‘কাগুজে বাঘ’?

Related News

  • গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আটকের নিন্দা জানাল বাংলাদেশ
  • গাজাগামী ফ্লোটিলায় ইসরায়েলি বাধা: প্রতিবাদে ইউরোপে সড়ক অবরোধ, দোকানপাট ভাঙচুর
  • গাজা অভিমুখী ফ্লোটিলা বহরের শেষ নৌযানও আটক করল ইসরায়েল
  • গাজায় গণহত্যার দায়ে ইসরায়েলকে ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করতে উয়েফার প্রতি বিশেষজ্ঞদের আহ্বান
  • গাজা যুদ্ধ অবসানে ট্রাম্পের প্রস্তাব: ‘শিগগিরই’ জবাব দেবে হামাস

Most Read

1
ইলাস্ট্রেশন: টিবিএস
ফিচার

বাংলাদেশি ওয়াচ মেকার: দেশের প্রথম হাতঘড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান

2
ইসলামী ব্যাংকের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যাকড 
বাংলাদেশ

ইসলামী ব্যাংকের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যাকড 

3
ছবি: আর্কাইভ ফটোস
আন্তর্জাতিক

ভীষণ অলস, আনাড়ি সেনাপতি আর বিড়াল-বিদ্বেষী; হিটলারের যে দিকগুলো এখনো বলা হয়নি

4
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ

মিরপুরে চালক-হেলপারকে মারধর, যাত্রীদের নামিয়ে বাসে আগুন

5
ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক

বই সংগ্রহের নেশা: ঠিক কতগুলো বইকে অসংখ্য কিংবা অনেক বেশি বলা যেতে পারে?

6
ছবি: রয়টার্স
আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পকে পাল্টা জবাব পুতিনের, বললেন ন্যাটো কি ‘কাগুজে বাঘ’?

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net