গাজাগামী ফ্লোটিলায় ইসরায়েলি বাধা: প্রতিবাদে ইউরোপে সড়ক অবরোধ, দোকানপাট ভাঙচুর
ত্রাণ নিয়ে গাজা অভিমুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহর নিয়ে বিভিন্ন দেশের অধিকার কর্মীরা ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু ইসরায়েলি সেনারা সেগুলোতে অভিযান চালায়। এসময় সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ চার শতাধিক অধিকার কর্মীকে আটক করা হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করে এবং দোকানপাট ও রেস্তোরাঁ ভাঙচুর করে।
বিক্ষোভকারীরা স্পেনের বার্সেলোনার বিভিন্ন দোকান ও রেস্তোরাঁর জানালায় ভাঙচুর চালান এবং ইসরায়েল বিরোধী স্লোগান লিখে দেন।
ইতালিতে শিক্ষার্থীরা মিলানের স্টাতালে ও রোমের লা সাপিয়েঞ্জাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে নেন। বলোনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে গাড়ির টায়ার ফেলে পথ অবরোধ করা হয়। তুরিনে শত শত মানুষ শহরের রোড অবরোধ করে রাখেন বলে সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে।
অন্যদিকে, রোমে চিকিৎসক, নার্স, ফার্মাসিস্টসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা একটি ফ্ল্যাশ মব আয়োজন করেন। তারা টর্চলাইট ও মোবাইলের আলো জ্বেলে গাজায় নিহত এক হাজার ৬৭৭ জন স্বাস্থ্যকর্মীর নাম পড়ে শোনান। এ ছাড়া, গাজামুখী ত্রাণবাহী নৌবহরের সমর্থনে ইতালির ট্রেড ইউনিয়নগুলো সারাদেশে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এর অংশ হিসেবে মিছিল বা সমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে।
তবে ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এসব বিক্ষোভের সমালোচনা করেছেন।
এছাড়া ইউরোপজুড়ে ডাবলিন, প্যারিস, বার্লিন ও জেনেভায় হাজারো মানুষ তাদের ক্ষোভ জানাতে সড়কে নেমে আসেন। বুয়েনস আয়ার্স, মেক্সিকো সিটি এবং করাচিতেও বিক্ষোভ হয়েছে।
এদিকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে সাধারণ জনতা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগান দেন- 'ইসরায়েল গাজাকে নয়, মানবতাকেই হত্যার চেষ্টা করছে। নীরব থেকো না, বসে থেকো না, উঠে দাঁড়াও।'
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, গাজায় চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৬৬ হাজার ছাড়িয়েছে।
