পরিস্থিতি এখন শান্ত, তবে অনিশ্চয়তা কাটেনি: কাঠমান্ডুতে আটকে পড়া বাংলাদেশি পর্যটক

নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও কারফিউর মধ্যে পর্যটন নগরী পোখারায় অবস্থানরত একজন বাংলাদেশি পর্যটক জানিয়েছেন, তারা আপাতত নিরাপদে থাকলেও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির প্রোডাকশন ইন্টার্ন সামিয়া তাবাসসুম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডেকে তার অভিজ্ঞতা জানান।
তিনি টিবিএসকে বলেন, 'আজ আমরা হোটেলেই অবস্থান করছি। বাইরে দোকানপাট বন্ধ, কারণ সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কারফিউ চলছে বলে শুনেছি।'
তিনি আরও জানান, তাদের বাংলাদেশ বিমানের ফিরতি ফ্লাইট নির্ধারিত ছিল বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায়। তবে ফ্লাইটটি নিশ্চিত হয়নি। সন্ধ্যার পর বা রাতের দিকে হয়তো জানা যাবে আগামীকালের অবস্থা কী হয়।
খাবারের বিষয়ে সামিয়া বলেন, 'হোটেলে থাকা-খাওয়ার সবকিছুই এখন পর্যন্ত ঠিক আছে। কোনো সমস্যা হয়নি। আমরা সকালে রেস্টুরেন্টে অর্ডার দিয়ে রাখি। পরে দোকান বন্ধ হয়ে গেলেও আমাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।'
রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি বর্ণনা করে তিনি বলেন, 'রাস্তা দিয়ে হাঁটতে গিয়ে দেখেছি বেশিরভাগ মানুষই পর্যটক। ভারত ও বাংলাদেশের অনেক পর্যটক এখানে আছেন।'
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, 'আজকে পরিবেশ শান্ত। আতঙ্ক নেই। সব কিছু আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে আসছে বলে মনে হচ্ছে।'
আন্দোলনের শুরুতে কোথায় ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ১৪ জন মিলে একটা ট্যুর গ্রুপের সাথে নেপালে ঘুরতে আসছি। যখন আসছি তখন শুনলাম ফেসবুক বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু এটা নিয়ে কোনো ঝামেলা বা আন্দোলন হবে, সেটা জানতাম না।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা যেদিন আসি ওইদিন কিছু হয়নি। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) আমরা পোখারা আসি। নয় ঘণ্টার জার্নি শেষে আসার সময় শুনলাম আন্দোলন হচ্ছে এবং মানুষ মারা গেছে। তখন একটু চিন্তিত হয়ে যাই। তবে পোখারায় পৌঁছানোর পর সবকিছু স্বাভাবিক ছিল। আমরা শপিং করেছি, খাওয়া-দাওয়া করেছি- কোনো সমস্যা হয়নি।'
মঙ্গলবারের (৯ সেপ্টেম্বর) অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, 'সকালে মোটামুটি স্বাভাবিক ছিল। আমরা বাইরে বসে ছিলাম, সব দোকান খোলা ছিল। কিন্তু দুপুরের পর থেকে সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় এবং আন্দোলন শুরু হয়। বিকেলে আমাদের কাছের একটা ভবনে আগুন দেওয়া হয়। তখন আমরা একটু ভয় পাই, সাথে যারা ছিল সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। মাঝখানে বৃষ্টি হওয়ায় আগুন নিভে যায়, এতে আমরা অনেকটা স্বস্তি পাই। আগুন নেভানোর কোনো ব্যবস্থা আমরা দেখতে পাইনি।