ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো আফগানিস্তান, আরও হতাহতের আশঙ্কা

মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে আবারও কেঁপে উঠল আফগানিস্তান। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুরে পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে ৫ দশমিক ২ মাত্রার আফটারশক। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল জালালাবাদ শহর থেকে ৩৪ কিলোমিটার দূরে, মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে। ফলে এর কম্পন ভূপৃষ্ঠে তীব্রভাবে অনুভূত হয়।
এর আগে গত রোববার দেশটিতে ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে এক হাজার চারশ' জনের বেশি নিহত এবং তিন হাজারের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তালেবান সরকার। ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পের পর এখনও অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভূমিকম্পের পর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে উদ্ধারকাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ভূমিধসে সড়কপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ত্রাণ ও উদ্ধারকর্মীদের সেখানে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। দুর্গম এলাকায় আটকে পড়াদের উদ্ধারে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে।
নতুন এই আফটারশকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে উদ্ধার তৎপরতায় আরও জটিলতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক মহলের কাছে সহায়তা চেয়েছে তালেবান সরকার, যাদেরকে এখন পর্যন্ত কেবল রাশিয়াই আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। জাতিসংঘ জরুরি তহবিল ঘোষণা করেছে। যুক্তরাজ্য এক মিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার) সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ভারত কাবুলে এক হাজার তাঁবু সরবরাহ করেছে এবং কুনার প্রদেশে ১৫ টন খাদ্যসামগ্রী পৌঁছাতে সহায়তা করছে। চীন ও সুইজারল্যান্ডও সাহায্যের ঘোষণা দিয়েছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের সহায়তা জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) ও আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রার তুলনায় বর্তমান সহায়তা অপ্রতুল হওয়ায় বিপর্যস্ত মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়ছে।
ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ আফগানিস্তানে ছোট-বড় কম্পন প্রায়ই আঘাত হানে। তবে রোববারের ভূমিকম্প সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে অন্যতম শক্তিশালী ছিল, যা ব্যাপক প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছে।