মিশন ইমপসিবলে জলন্ত প্যারাস্যুটে ১৬ বার লাফ দিয়ে গিনেস রেকর্ড গড়লেন টম ক্রুজ

১৯৯৬ সালে 'মিশন ইম্পসিবল' সিরিজ শুরু হওয়ার পর থেকেই দর্শকদের মুগ্ধ করে আসছেন টম ক্রুজ। বিশ্ববিখ্যাত এই অ্যাকশন সিরিজের শেষ কিস্তি 'মিশন ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং' ছবির জন্য এবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লেখালেন তিনি।
অস্কারে চারবার মনোনয়ন পাওয়া এই হলিউড তারকা ছবিটির একটি স্টান্ট দৃশ্যে জ্বলন্ত প্যারাসুট নিয়ে ১৬ বার হেলিকপ্টার থেকে ঝাঁপ দিয়ে গড়েছেন 'জ্বলন্ত প্যারাসুট নিয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক লাফ দেওয়া ব্যক্তির'-এর বিশ্বরেকর্ড।
ছবির এই দৃশ্যগুলো ধারণ করা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ড্র্যাকেন্সবার্গ এলাকায়। প্রতিবারই হেলিকপ্টারে করে প্রায় ৭৫ হাজার ফুট ওপরে উঠে টম জ্বালানিসিক্ত প্যারাসুটে আগুন লাগিয়ে ঝাঁপ দেন। মাঝআকাশে সেটি কেটে দিয়ে নিরাপদে অবতরণের জন্য খুলে ফেলেন বিকল্প প্যারাসুট।
স্টান্টটি বাস্তবায়নের আগে ক্রুজ ও তার স্টান্ট দল কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রস্তুতি নেন। কিছু দৃশ্যে তাঁর শরীরে ৫০ পাউন্ড ওজনের স্নোরি ক্যামেরা রিগ (অভিনেতার শরীরের সঙ্গে যুক্ত বিশেষ ধরনের ক্যামেরা) ব্যবহার করা হয়, যাতে কাছ থেকে আগুন লাগা অবস্থায় ঝাঁপের দৃশ্য ধারণ করা যায়।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের প্রধান সম্পাদক ক্রেইগ গ্লেনডে এক বিবৃতিতে বলেন, 'টম কেবল পর্দায় নয়, বাস্তবেও একজন অ্যাকশন হিরো। নিজের সীমা পেরিয়ে যাওয়ার মনোভাবই তাঁকে আলাদা করেছে। তাঁর সাহসিকতাকে স্বীকৃতি দিতে পেরে আমরা গর্বিত।'
পরে শুটিংয়ের পেছনের দৃশ্য নিয়ে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ১৬টি ঝাঁপই বাস্তবে সম্পন্ন করেন ক্রুজ। দৃশ্যগুলো বোঝানোর সময় ঠাট্টার ছলে তিনি বলেন, 'আমরা অনেক সচেতনভাবে কাজ করছি। আমি বলছি না ঝুঁকি নিতে... আমরা তো কখনোই ঝুঁকি নিই না, এ তো জানা কথা।'
'মিশন ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং' পরিচালনা করেছেন ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারি। এরিক জেন্ড্রেসেনের সঙ্গে মিলে তিনি এর চিত্রনাট্যও লিখেছেন। এ কিস্তিতে টম ক্রুজ ফিরেছেন তার চিরচেনা ইথান হান্ট চরিত্রে।
এ ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন সাইমন পেগ, ভিং রেমস, ভেনেসা কিরবি, হেইলি অ্যাটওয়েল, এসাই মোরালেস, শিয়া উইঘাম, গ্রেগ টারজান ডেভিস এবং পম ক্লেমেন্টিয়েফ। নতুন মুখ হিসেবে আছেন 'টেড লাসো' খ্যাত হ্যানা ওয়াডিংহাম, নিক অফারম্যান, লুসি তুলুগারজুক, ক্যাটি ও'ব্রায়ান, ট্রামেল টিলম্যান এবং স্টিফেন ওইয়াং।