রাশিয়ার সুখোই-৩৫ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে লড়াইয়ে পারবে না এফ-১৬: ইউক্রেনের বিমান বাহিনী

পশ্চিমা দেশগুলোর সরবরাহ করা মার্কিন যুদ্ধবিমান এফ-১৬-এর সঙ্গে রাশিয়ার সুখোই এসইউ-৩৫ মাল্টিরোল ফাইটারের সঙ্গে আকাশযুদ্ধে সম্পূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না। ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইগনাট এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওয়াশিংটন ২০২৩ সালের মাঝামাঝি কিয়েভে এফ-১৬ সরবরাহের অনুমোদন দেয় এবং ন্যাটো মিত্রদের জেট পাঠানো এবং ইউক্রেনীয় পাইলটদের প্রশিক্ষণের অনুমতি দেয়।
মঙ্গলবার ইউক্রেনীয় টিভি চ্যানেল নভোস্টি লাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউরি ইগনাট বলেন, "ইউক্রেন যে পরিবর্তনগুলো এনেছে তা নিয়ে বিমান যুদ্ধে একের পর এক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্ভব নয়। আমাদের একটি বিস্তারিত কৌশল গ্রহণ করা প্রয়োজন। কারণ রাশিয়ার সুখোই-৩৫ তুলনামূলকভাবে নতুন একটি জেট।"
তিনি আরও বলেন, "এছাড়াও রয়েছে স্থলভিত্তিক বিমান প্রতিরক্ষা, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যবস্থা এবং আদর্শভাবে একটি আকাশভিত্তিক রাডার। আমাদের বিমান এবং আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য অনবোর্ড রাডারও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস ও নরওয়ে ইউক্রেনকে ৮০টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে এর বেশিরভাগই পৌঁছাতে কয়েক বছর লাগবে। ২০২৪ সালে ইউক্রেন প্রায় ১৮টি বিমান পেয়েছিল, তবে আগস্টে একটি এফ-১৬ বিধ্বস্ত এবং একজন অভিজ্ঞ পাইলট ওই দুর্ঘটনায় নিহত হন।
বিমানটি ধ্বংসের সঠিক কারণ এখনো অস্পষ্ট। ঘটনার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বিমান বাহিনীর কমান্ডারকে বরখাস্ত করেন।
কিয়েভ আশা করেছিল যে এফ-১৬ যুদ্ধক্ষেত্রে 'গেম-চেঞ্জার' হবে, তবে পুরোনো রাডার সিস্টেম ও লিঙ্ক ১৬ কৌশলগত নেটওয়ার্কের অনুপস্থিতি এর কার্যকারিতা সীমিত করে ফেলেছে।
মস্কো ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এসব অস্ত্র যুদ্ধের গতিপথ বদলাতে না পারলেও সংঘাত দীর্ঘায়িত করছে। রাশিয়া এফ-১৬ সরবরাহকে উত্তেজনা বৃদ্ধির একটি পদক্ষেপ হিসেবেও অভিহিত করেছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক করে বলেছেন, এসব জেট যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাবে না। পাশাপাশি, যদি তৃতীয় কোনো দেশের বিমানঘাঁটি থেকে এসব বিমান উৎক্ষেপণ করা হয়, তবে মস্কো সেগুলোকে বৈধ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচনা করবে।