ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া

ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ আজ সৌদি আরবে বৈঠকে বসছেন। খবর বিবিসির।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর এটিই দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বলে মনে করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার বিষয়ে সম্মত হওয়ার পর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৈঠক আজ সৌদি আরবের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা নাগাদ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি হবে 'প্রাথমিক পদক্ষেপ'—যার মাধ্যমে রাশিয়া সত্যিই শান্তি আলোচনায় আগ্রহী কি না, তা যাচাই করা হবে। তবে এটি আনুষ্ঠানিক শান্তি আলোচনা শুরু হওয়ার ইঙ্গিত নয়। অন্যদিকে, রাশিয়া বলছে, আলোচনার মূল লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্ক পুনঃস্থাপন।
তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই বৈঠকে ইউক্রেনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে হওয়া কোনো শান্তি চুক্তি তারা স্বীকৃতি দেবে না।
এছাড়া, কোনো ইউরোপীয় কর্মকর্তাও বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন না। যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা গতকাল প্যারিসে জরুরি বৈঠক করেছেন এবং স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাদের ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত নয়।
যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা গতকাল ইউক্রেন ইস্যুতে এক জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন। তবে আলোচনার বিস্তারিত জানা যায়নি। বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইউরোপীয় দেশগুলো যুদ্ধবিরতির পর ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো নিয়ে বিভক্ত অবস্থানে রয়েছে।
সোমবার রাতে এক্স-এ (সাবেক টুইটার) ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ লিখেছেন, 'শান্তিচুক্তির সঙ্গে অবশ্যই ইউক্রেনের জন্য শক্তিশালী ও বিশ্বাসযোগ্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা থাকতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, আমরা ইউরোপীয় দেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের সঙ্গে মিলে এই বিষয়ে কাজ করব। এটাই মূল বিষয়।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মাখোঁর সঙ্গে ফোনালাপ ছিল সৌহার্দ্যপূর্ণ। অন্যদিকে, জেলেনস্কি বলেছেন, তারা একমত হয়েছেন যে ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা 'শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য' হতে হবে।