জাতিসংঘে পাস হওয়া ‘বর্ধিত মানবিক বিরতির’ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইসরায়েলের

গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে বুধবার (১৫ নভেম্বর) 'পর্যাপ্ত সংখ্যক দিনের জন্য' উপত্যকাজুড়ে 'জরুরি এবং বর্ধিত মানবিক বিরতির' প্রস্তাব গৃহীত হয় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। তবে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান। খবর বিবিসির।
প্রস্তাবটি 'বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন এবং অর্থহীন' উল্লেখ করে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত বলেন, ইসরায়েল 'আন্তর্জাতিক আইন মেনে কাজ চালিয়ে যাবে'। একইসঙ্গে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কথা উল্লেখ না করায় তিনি এ প্রস্তাবের সমালোচনা করেন।
এদিকে, মাল্টার তোলা প্রস্তাবে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, রেড ক্রস ও অন্যান্য 'নিরপেক্ষ' মানবিক সংগঠনকে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ করে দিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক দিনের জন্য জরুরিভিত্তিতে 'বর্ধিত মানবিক বিরতি ও করিডর' খুলে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
একইসঙ্গে প্রস্তাবে হামাস ও অন্যান্য গোষ্ঠীর হাতে আটক সব জিম্মিদের অবিলম্বে এবং নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রস্তাবের পক্ষে নিরাপত্তা পরিষদের ১২ সদস্য দেশের ভোট পড়েছে। স্থায়ী সদস্যদের মধ্যে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং রাশিয়া।
যুক্তরাষ্ট্র ভোটে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকলেও জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে অনেকটা একমত হয়ে জানিয়েছেন, তিনি 'আতঙ্কিত যে, এই কাউন্সিলের কিছু সদস্য এখনও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসের বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানাতে পারছেন না'।
"তারা কেন ভয় পাচ্ছে?," প্রশ্ন রাখেন তিনি।
অন্যদিকে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জাতিসংঘের পরিচালক লুই চারবোনিউ এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এটি ইসরায়েল, হামাস এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠায় যে, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলার ক্ষেত্রে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।