ফিলিস্তিনিরা আর না, গাজার নিয়ন্ত্রণ থাকবে ইসরায়েলের হাতে: ডানপন্থি রাজনীতিবিদ

কট্টর ডানপন্থি ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ সিমচা রথম্যান বলেছেন, যুদ্ধ শেষে গাজাকে কোনোভাবেই ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) নিয়ন্ত্রণে দেওয়া যাবে না।
রথম্যান বলেন, '[ফিলিস্তিনি] কর্তৃপক্ষ তাদের উসকানিমূলক "শিক্ষাব্যবস্থার" অধীনে পরের প্রজন্মকে ঘৃণ্য খুনি হিসেবে গড়ে তুলছে।' ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ইহুদিদের হত্যাকারীদের বেতন দেয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে রথম্যান লেখেন, 'অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি করবেন না! একমাত্র ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণ ও [গাজা] উপত্যকার পরিপূর্ণ অসামরিকীকরণই নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে পারে।'
পিএ প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গাজায় ফিরতে পারে, এমন ইঙ্গিত দেওয়ার পরই এ মন্তব্য করলেন রথম্যান।
তবে সোমবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল 'অনির্দিষ্টকালের' জন্য গাজার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিজের হাতে রাখতে পারে। সংবাদমাধ্যম এবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যুদ্ধ শেষ হলে গাজার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে ইসরায়েল।
নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েলের হাতে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য গাজার সব ধরনের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে। আমাদের হাতে নিরাপত্তার দায়িত্ব না থাকায় ইসরায়েলে অকল্পনীয় মাত্রায় হামলা চালিয়ে আসছে হামাস।
তিনি বলেন, জিম্মিদের মুক্তি ছাড়া গাজায় কোনোরকমের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে না। এজন্য কৌশলগত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আমরা গাজার বিভিন্ন এলাকায় সাময়িক যুদ্ধাবস্থা শিথিল করেছি। আমরা তাদের সামগ্রিক পরিস্থিতি লক্ষ্য করছি। সেজন্য সেখানে জরুরি পণ্য ও মানবিক সহায়তা পাঠাচ্ছি, যাতে করে তারা আমাদের জিম্মিদের মুক্তি দেয়।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস। এতে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি ইসরায়েলি প্রাণ যায়। জবাবে ওই দিন থেকেই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়ে।
ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গত এক মাসে গাজায় নারী-শিশুসহ ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। স্কুল, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবির, অ্যাম্বুলেন্স বহর—কি ছুই রেহাই পাচ্ছে না ইসরায়েলি হামলা থেকে।