ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পশ্চিমাদের আবারো পারমাণবিক হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন

পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের একটি মাইলফলক চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে, রাশিয়া নতুন কৌশলগত অস্ত্রসজ্জা মোতায়েন করেছে বলেও জানান। পশ্চিমা বিশ্বকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেছেন, রাশিয়া তার পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষাও আবার শুরু করতে পারে। খবর রয়টার্সের
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের এক বছর পূর্ণ হবে, তার আগেই এমন হুঁশিয়ারি দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
কিউবার মিসাইল সংকটের পর বর্তমানেই রাশিয়ার সাথে সবচেয়ে বিপজ্জনক মুখোমুখি অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা দুনিয়া। ইউক্রেন- রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে ছায়াযুদ্ধ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি ইউক্রেন সফর করেও গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি- বাংলাদেশ সময়) পুতিন বলেন, রাশিয়া এই যুদ্ধে তার সব লক্ষ্য অর্জন করবে।
পশ্চিমারা রাশিয়াকে ধবংস করার চেষ্টায় লিপ্ত এ অভিযোগ করে তিনি বলেন, 'পশ্চিমের অভিজাতরা তাদের উদ্দেশ্য আর গোপন করছে না। কিন্তু, তাদের এটা অনুধাবন করতে হবে যে, যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়াকে হারানো অসম্ভব'।
পুতিনের ভাষণে সময় উপস্থিত ছিলেন তার দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক হর্তাকর্তারা।
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন যুদ্ধকে বিশ্বযুদ্ধে পরিণত করতে চাইছে এমন সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি বলেন, রাশিয়া নতুন 'স্টার্ট চুক্তি'তে অংশগ্রহণ বন্ধ করবে।
নতুন স্টার্ট' চুক্তি হচ্ছে, ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে সম্পাদিত সর্বশেষ সবচেয়ে বড় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি। ২০১০ সালে এ চুক্তি সই করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তার রুশ সমকক্ষ দিমিত্রি মেদভেদেভ। চুক্তির অধীনে, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র কতগুলো কৌশলগত পারমাণবিক ওয়ারহেড মোতায়েন করতে পারবে তার সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। ২০২৬ সালে এই চুক্তির মেয়াদোত্তীর্ণ হবে।
কিন্তু, তার আগেই পুতিন রাশিয়াকে প্রত্যাহারের কথা জানালেন। তিনি বলেন, 'আমি আজ বাধ্য হয়েই ঘোষণা করছি যে রাশিয়া ট্র্যাটেজিক আর্মস রিডাকশন ট্রিটিতে অংশগ্রহণ বন্ধ করছে'।
এসময় পুতিন দাবি করেন যে, ওয়াশিংটনে কতিপয় নীতিনির্ধারক পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। একারণে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং পারমাণবিক শিল্পকেও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
তবে তিনি বলেন, অবশ্যই আমরা প্রথমে পরীক্ষা চালাব না। কিন্তু, যদি আমেরিকা করে, তাহলে আমরাও করব।