কর্ণাটকে লেপার্ড ধরার জন্য ২৭ দিন ধরে অভিযান চালাচ্ছে ৩০০ মানুষ

ভারতের কর্ণাটকে একটি লেপার্ডকে ধরতে গত ২৭ দিন ধরে অভিযান চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
কর্ণাটকের উত্তরে জনবহুল বেলগাওম শহরে এক শ্রমিকের ওপর হামলা চালিয়ে গত ৫ আগস্ট প্রথমবারের মতো খবরে আসে লেপার্ডটি। সে যাত্রায় আহত হলেও সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় লোকটি।
এরপর শহরের একটি গলফ কোর্সে বেশ কয়েকবার এটিকে দেখা যায়। বর্তমানে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কর্ণাটকের বন বিভাগ লেপার্ডটি ধরে বনে ছাড়ার উদ্দেশ্যে জন্য ৩০০ মানুষকে নিয়োগ দিয়েছে। এদের মধ্যে আছে পশুচিকিৎসক, দক্ষ বন্দুকবাজ, ও অ্যানেসথেটিস্ট। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সাফল্য দেখা যায়নি।
গলফ কোর্সের আশেপাশে ২০টি ক্যামেরা ফাঁদ বসানো হয়েছে। কুকুর ও শূকরছানার টোপ ফেলে ১০টি লোহার খাঁচার ফাঁদও পাতা হয়েছে। খাঁচার ভেতরে মাদি লেপার্ডের বিষ্ঠা ও প্রস্রাব রাখা হয়েছে এটিকে আকর্ষণ করার জন্য।
৩০০ জনের ওই অনুসন্ধানী দল ৩০০ হেক্টর পরিমাণ জায়গা তিনবার পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খুঁজেও লেপার্ডটির টিকিটির দেখাও পায়নি।
তবে কর্ণাটকে ভারী বর্ষণের কারণেও অভিযানে বিঘ্ন ঘটেছে বলে জানিয়েছেন বেলগাওমের একজন বন কর্মকর্তা অ্যান্থনি এস মারিয়াপ্পা। ওই এলাকায় পর্যাপ্ত শিকার থাকায় লেপার্ডটি টোপের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি।
এ ঘটনার রেশ লেগেছে কর্ণাটকের রাজনীতিতেও। বিজেপিশাসিত রাজ্যটির বনমন্ত্রী উমেশ কাট্টিকে পদত্যাগ করে আহ্বান জানিয়েছে বিরোধী দল। তবে কাট্টি জানিয়েছেন, যদি তিনি পদত্যাগ করলে 'লেপার্ডটি ধরা পড়ে', তাহলে তিনি তা করবেন।
তবে সংরক্ষণবাদীরা বলছেন, লেপার্ডটিকে ধরার জন্য এত বড় অভিযান ও গণমাধ্যমের এত মনোযোগেে কারণে পরিস্থিতি হিতে বিপরীতে গড়াতে পারে।
লেপার্ড লাজুক প্রাণী। তবে বাসস্থান কমে যাওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে ভারতের গ্রাম ও শহরগুলোতে প্রাণীটির হানা দেওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
কর্ণাটকে বনের পরিমাণ বিশাল, এছাড়া এখানে অনেকগুলো বণ্যপ্রাণী অভয়ারণ্যও রয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যটিতে ১৭৮৩টি লেপার্ড রয়েছে।
সূত্র: বিবিসি