৪৮ ঘণ্টা গ্যাস নেই পাকিস্তানের শিল্পাঞ্চলে, উৎপাদন বন্ধ

গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে গ্যাসের চাপ না থাকায় রপ্তানিমুখী ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের করাচির সাইট (সিন্ধ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেডিং এস্টেট) শিল্প এলাকার শিল্পপতিরা।
করাচির শিল্পগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের বিষয়টির প্রতি মনোযোগ দেয়ার জন্য পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ও পেট্রোলিয়াম প্রতিমন্ত্রী মুসাদিক মালিকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাইট অ্যাসোসিয়েশন অভ ইন্ডাস্ট্রির (এসএআই) প্রেসিডেন্ট আবদুল রশিদ।
রশিদ বলেন, 'দুই সপ্তাহ ধরেই গ্যাসের চাপ কম ছিল, কিন্তু গত দুদিন ধরে চাপ একেবারে শূন্যে নেমে এসেছে।'
জ্বালানির অভাবে সাইট শিল্পাঞ্চলে জ্বালানি গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক শিল্পপতি তাদের ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে এ শিল্প এলাকায় বন্ধ হয়ে গেছে উৎপাদন কার্যক্রম।
রশিদ বলেন, 'শিল্পগুলো যদি পূর্ণ চাপে গ্যাস না পায়, তাহলে রপ্তানি আদেশ পূর্ণ করা সম্ভব হবে না। এই পরিস্থিতিতে রপ্তানিমুখী ইউনিটগুলো দেশের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা আনার অবস্থায় থাকবে না।'
পাকিস্তানের প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এসএসজিসি সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক ভারী বৃষ্টির কারণে গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়, ফলে করাচির বিভিন্ন অংশে ঠিকমতো সরবরাহ দেয়া যায়নি।
টপলাইন সিকিউরিটিজের সিনিয়র রিসার্চ অ্যানালিস্ট সানি কুমার বলেন, 'পাকিস্তানের সংকটের অন্যতম প্রধান কারণ হলো মাত্রাতিরিক্ত জ্বালানি আমদানি।'
২০১১-১২ অর্থবছরে পাকিস্তানের নিজস্ব গ্যাস দৈনিক উৎপাদন ছিল ৪,২৫৯ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফ)। ২০২১-২২ অর্থবছরে তা কমে ৩,৩৮৮ এমএমসিএফে নেমে আসে।
২০২১-২২ অর্থবছরে দেশটি ৫ বিলিয়ন ডলারের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করে।
বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের কারণে পাকিস্তান সরকার আমদানি কমাতে চাইছিল। কিন্তু গ্যাসের ঘাটতির ফলে শিল্প বন্ধ হয়ে গেলে কেবল যে রপ্তানিই ব্যাহত হবে তা নয়, বিপুলসংখ্যক মানুষও চাকরি হারাবে।
- সূত্র: দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন