নাগরি লিপির উইকিপিডিয়া: হারিয়ে যাওয়া লিপির পুনর্জাগরণ?

ভাষা ও লোকসংস্কৃতি গবেষক আশরাফুল করিম জানালেন, পৃথিবীতে সিলেটি নাগরি ভাষাই একমাত্র ভাষা, যার লিপি আছে কিন্তু চর্চা নেই।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক এবং সিলেটি নাগরি লিপি গবেষক আশরাফুলের ভাষ্যে, মুখ থেকে হারিয়ে গেলেও লেখালেখিতে এই ভাষার প্রয়োগ ছিল অনেক বছর। নবীন-প্রবীণরা মিলেই এই চর্চা অব্যাহত রেখেছিলেন। বিশেষ করে সাহিত্য লেখার কাজে এই ভাষার ব্যবহার ছিল সবচেয়ে বেশি।
এছাড়া নাগরি লিপি ছিল বৃহত্তর সিলেট, করিমগঞ্জ, আসাম, ত্রিপুরা এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলের পরিচিত এক লিপি। এই লিপিতে লেখা হতো নানা ধরনের পুঁথি, সাহিত্যের রচনা, এমনকি ধর্মীয় গ্রন্থও।
কিন্তু সময়ের প্রবাহে এটি প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। বর্তমানে নাগরি লিপির সাহিত্যচর্চা প্রায় নেই বললেই চলে। অথচ একটা সময় পর্যন্ত এটি ছিল স্বমহিমায় উদ্ভাসিত, বহুল ব্যবহৃত এবং জনজীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
কেবল মুখ থেকে নয়, লেখার পাতা থেকেও নাগরি লিপি এখন বিলুপ্ত হওয়ার পথে।
কিন্তু কথায় আছে, দেশি ভাষার প্রতি টান মানুষের আজীবনের। কারও কারও দাবি, মনুষ্যজাতির সবচেয়ে দামী জিনিসের একটি হলো নিজ ভাষা, মায়ের ভাষা। কোনো জাতিগোষ্ঠীর সমস্ত কিছুর সঙ্গে তাই ভাষা কঠিনভাবে সম্পৃক্ত।
ভাষা ভালোবাসার সুর, প্রাণের সুর। সে মধুর সুরে অনায়াসেই বলে ফেলা যায় মনের গোপনে লুকিয়ে রাখা সমস্ত কল্পকথা। অথচ এত ভালোবাসার ভাষাও হারিয়ে যায় একদিন—লেখা থেকে, মুখ থেকে।
তবে কেউ কেউ আবার মর্ম বোঝেন। আগলে রাখেন নিজের ভাষাটিকে। জীবিত রাখার, চর্চায় রাখার প্রয়াস জারি রাখেন।
সে চেষ্টারই অংশ হিসেবে সম্প্রতি প্রকাশ পেল সিলটি নাগরি ভাষার উইকিপিডিয়া।
ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখে উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব ট্রাস্টি এবং ভাষা কমিটি 'সিলেটি উইকিপিডিয়া'র প্রস্তাব অনুমোদন করে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে এই উইকিপিডিয়া সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

দীর্ঘ পথ পেরিয়ে...
তবে এই প্রক্রিয়া আজকের নয়। প্রায় ৯-১০ বছরের চেষ্টায় আজকের উইকিপিডিয়া।
এটির প্রস্তাবনা প্রথম জমা দেওয়া হয়েছিল ২০১৪ সালের জুন মাসে, যা পরবর্তীতে ইনকিউবেটর পৃষ্ঠায় রূপান্তরিত হয়। দীর্ঘ প্রচেষ্টা ও অপেক্ষার পর অবশেষে সিলেটি ভাষাভাষীরা তাদের নিজস্ব ভাষায় উইকিপিডিয়া ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন।
গবেষক আশরাফুল করিম মনে করেন, নাগরি লিপিতে লেখা এই সংস্করণটি সিলেটি ভাষার সমৃদ্ধি ও প্রচারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
মূলত সিলেটি নাগরি লিপির বিকাশ শুরু হয়েছিল ১৫ শতক থেকে। এরপর এর চর্চা বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে চলতে থাকে। বিশেষ করে বৃহত্তর সিলেট, বৃহত্তর ময়মনসিংহ, আসাম, ত্রিপুরা—নানান জায়গায় এই ভাষার ব্যবহার ছিল।
কিন্তু ধীরে ধীরে সেটি কমতে শুরু করে। একসময় মুখে চর্চার বিষয়টি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি নাগরি লিপি সম্পর্কে এখনকার বড়রাও তেমন একটা জানেন না। এই লিপির চর্চা ও ব্যবহার নেই অনেক বছর ধরে।
তাই প্রায় হারিয়ে যেতে বসা এই লিপিকে পুনরায় প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়ার একটি উত্তম প্রচেষ্টা সিলেটি নাগরি ভাষার উইকিপিডিয়া বললে বোধ করি ভুল হবে না।
অবশ্য একটা সময় পর্যন্ত এই নাগরি লিপিতেই লেখা হয়েছে প্রচুর বই। বলা হয়, এই সংখ্যা নাকি দুই শতাধিকেরও বেশি ছিল। পুঁথি সাহিত্যের পাশাপাশি শিল্পীরা গান লিখেছেন, নানা সাহিত্যকর্ম রচনা করেছেন।
গৃহস্থালি সরঞ্জামের সাথে মিল রেখে বর্ণমালা
আশরাফুল করিমের কাছে জানতে চাইলাম—ঠিক কবে বা কার মাধ্যমে এই ভাষার সৃষ্টি?
"এ নিয়ে অবশ্য নানা মতভেদ লক্ষ্য করা যায়। তবে আমার ধারণামতে, এই ভাষার শুরুটা হয় শাহজালাল (রহ.)-এর সিলেটে আসাকে কেন্দ্র করে।
উনি যখন আসলেন, তখন সিলেট হিন্দু-অধ্যুষিত এলাকা ছিল। তিনি যখন ইসলামের মর্মবানী প্রচার করতে শুরু করলেন, তখন প্রতিবন্ধতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন।
সিলেটে যারা হিন্দু ধর্মের, তারা আরবি-ফারসি মিশ্রিত বাংলা পছন্দ করত না। আর মুসলমানরা বাংলা—তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, বাংলা হিন্দুয়ানী ভাষা। কারণ, বাংলা ভাষায় সংস্কৃত শব্দ বেশি ছিল।
সে সময়ে শাহজালালের ৩৬০ সঙ্গীর মধ্যে হয়তো কতিপয় ব্যক্তি ছিলেন যাদের ভাষা নিয়ে ভালো ধারণা ও জ্ঞান ছিল। হয়তো তিনি তাদের দায়িত্ব দেন এমন একটা ভাষা আবিষ্কার করতে, যা হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে ব্যবহার করা যাবে, যাতে উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচার চালানো যায়।
এই লিপি এতই সহজ ছিল যে মাত্র দুই বা দেড় দিনে শেখা যেত। তাছাড়া মানুষের বোধগম্য করার জন্য গৃহস্থালি সরঞ্জামের সাথে মিল রেখে বর্ণমালা আবিষ্কার হয়,"—বলেন নাগরি ভাষার গবেষক আশরাফুল করিম।
তবে কোনো কোনো গবেষক মনে করেন, ষোড়শ ও সপ্তদশ শতকে এ অঞ্চলে আফগান উপনিবেশ স্থাপিত হয়। তখনই নাগরি লিপির উৎপত্তি ঘটে।
আবার আরেক পক্ষের মতে, ব্রিটিশ শাসনের শুরুর দিকে এ লিপির উদ্ভব।

সহজ ও স্বতন্ত্র ভাষা
আশরাফুল করিম আরও জানান, বাংলায় সবচেয়ে বেশি সমস্যা তৈরি করত অধিক সংখ্যক যুক্তব্যঞ্জন। এই সংখ্যা প্রায় ২০০-র ওপরে। অন্যদিকে, নাগরি লিপিতে সেটি কেবল ১৬টি।
অর্থাৎ, বাংলা থেকে এই ভাষাকে কীভাবে সহজ করা যায়—সেই চেষ্টাও ছিল। যেমন, নাগরি লিপিতে দীর্ঘ ই-কারের ব্যবহার নেই, আছে শুধু হ্রস্ব ই-কার।
"নাগরি লিপি যারা আবিষ্কার করেছেন, তাদের হয়তো এই ধারণা ছিল যে বাংলায় এই ব্যাপারগুলো জটিলতা তৈরি করেছে। তাই তারা সেসব পরিহার করেছেন,"—বলেন আশরাফুল করিম।
তিনি মনে করেন, এটি কোনো উপভাষা নয়, আবার বাংলা ভাষার বিকল্পও নয়—বরং স্বতন্ত্র একটি ভাষা। আর এর চর্চা চলেছে প্রায় ৫০০ থেকে ৭০০ বছর পর্যন্ত।
আবার অনেক গবেষকের মতে, ১৫০০ সালের দিক থেকে ১৮০০ সাল এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত এই ধারার চর্চা অব্যাহত ছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে সিলেটের বন্দরবাজারে নাগরি লিপির একটি প্রেস ছিল। আরেকটি ছিল কলকাতায়। সিলেটের প্রেসটি যুদ্ধের সময় নষ্ট হয়ে গেলে তা আর চালু হয়নি।
তখনো সন্ধ্যাবেলায় মানুষ উঠোনে বসে পুঁথিপাঠ শুনত। লাইলি-মজনু, শিরি-ফরহাদ, ইউসুফ-জুলেখার মতো কাহিনিগুলো পাঠ করা হতো বেশ আয়োজন করে।
এসব কিচ্ছা-কাহিনিও নাগরি লিপিতে লেখা হয়েছিল, তবে সেসব পুঁথি এখনো আবিষ্কৃত হয়নি।
পুনর্জাগরণের সম্ভাবনা হতে পারে উইকিপিডিয়া
যদিও প্রথম দিকে নাগরি লিপির চর্চা ছিল ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে, পরবর্তীতে এই লিপিতে প্রেমের কাহিনি, পুরাণিক কাহিনি, পুঁথি রচিত হয়েছে।
একটা সময় পর্যন্ত মানুষ নাগরি লিপির পুঁথিপাঠ শুনত প্রবল আগ্রহ নিয়ে।
এই আগ্রহ মানুষের মধ্যে আবার ফিরিয়ে আনতে নতুন চালুকৃত উইকিপিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা গবেষক আশরাফুল করিমের।
তিনি বলেন, "নাগরি লিপির জন্য উইকিপিডিয়ার মতো প্ল্যাটফর্ম হতে পারে এক নতুন দরজা। প্রযুক্তি ও তথ্যভিত্তিক জগতে নাগরি লিপিকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে তরুণ প্রজন্ম নতুন আগ্রহে লিপিটির প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে। এতে নতুন লেখক তৈরি হবে, নতুন সাহিত্য রচিত হবে। ইতোমধ্যে অনেক তরুণ লেখক আগ্রহ দেখিয়েছেন নাগরি লিপিতে সাহিত্যচর্চায় অংশ নিতে। অনেক নবীন ও প্রবীণ নাগরিকও চান, এই ঐতিহ্যবাহী লিপিটি ফিরে আসুক তাদের চর্চায়।"
সিলেটি নাগরি ভাষায় উইকিপিডিয়া চালু হওয়ায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা ও সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
তার ভাষ্যে, এই উইকিপিডিয়া ভাষার সংরক্ষণ, নতুন প্রজন্মকে এটি শেখা ও ব্যবহারের সুযোগ করে দেবে। সিলেটি জনগোষ্ঠীর নিজস্ব সংস্কৃতি, ইতিহাস, সাহিত্য ও ঐতিহ্য সম্পর্কে তথ্য সংরক্ষণ ও প্রচার সহজ হবে।
এতে করে স্থানীয় গবেষকদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
এছাড়া ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতেও এটি ভূমিকা রাখবে—যেমন, অনেক সিলেটি ভাষাভাষী, বিশেষ করে প্রবীণ জনগোষ্ঠী, বাংলা বা ইংরেজিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। সিলেটি নাগরি উইকিপিডিয়া তাদের জন্য ইন্টারনেটে তথ্য পাওয়াকে সহজ করবে।
আবার ভাষাবিদ, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য সিলেটি নাগরি নিয়ে গবেষণার নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে। এটি ভাষার আধুনিকীকরণ ও এর ব্যবহারিক দিকগুলোর উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা আশরাফুল করিমের।

দুই তরুণের চেষ্টায় নাগরি লিপির নিজস্ব কীবোর্ড তৈরি
তবে আজকের এই যাত্রায় আরও দুজনের কথা সমানভাবে উল্লেখযোগ্য। মূলত তাদের হাত ধরেই নাগরি লিপি চর্চার পথ আরও সুপ্রশস্ত হয়।
প্রায় এক যুগেরও আগে দুই যুবকের উদ্যোগে এই লিপি পেয়েছে একটি পূর্ণাঙ্গ নিজস্ব কীবোর্ড। আবার ২০২৪ সালে তারা আরও একটি অ্যাপ তৈরি করেন, যার নাম সিলোটি.অ্যাপ।
সিলেটের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমদ শাওন ও নুরুল ইসলামের হাত ধরেই এই যাত্রার সূচনা হয়।
তাদের তৈরি 'Syloti Nagri Keyboard' (সিলটি নাগরী কীবোর্ড) একটি অ্যান্ড্রয়েড কীবোর্ড হিসেবে স্থান করে নেয় গুগল প্লে স্টোরে।
মূলত ঐতিহ্য রক্ষার উদ্দেশ্যে এই উদ্ভাবনের পথে হাঁটেন সাব্বির ও নুরুল। তাদের ভাষ্যে, এই লিপির অনেক অক্ষর বিলুপ্তপ্রায়। ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচিয়ে সিলেটের এই স্বতন্ত্র ভাষাকে ফুটিয়ে তোলাই ছিল তাদের প্রধান লক্ষ্য।
তারা নিজেরাও এই ভাষা নিয়ে প্রথমে তেমন জানতেন না। নাগরি কীবোর্ড তৈরির আগে সিলটি ভাষা ও এর লিপি সম্পর্কে পড়াশোনা করেন সাব্বির ও নুরুল।
কীবোর্ড তৈরির কাজে সহযোগিতা করেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আখলাক উজ্জামান আশিক। এরপর ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তারা এটি গুগল প্লে স্টোরে উন্মুক্ত করেন।
বর্তমানে কীবোর্ডটিতে ইংরেজি, নাগরি এবং বাংলা-টু-নাগরি লে-আউট রয়েছে। সাব্বির ও নুরুল জানান, ভবিষ্যতে তারা বাংলা এবং ফোনেটিক লে-আউট যুক্ত করবেন।
হয়তো তাদের হাত ধরেই হারিয়ে যাওয়া সিলটি ভাষা ফিরে পাবে এর লিখিত রূপ।
নাগরি কীবোর্ড এবং সিলোটি.অ্যাপ-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা সাব্বির বলেন, "আমরা যখন আমাদের কীবোর্ডটি তৈরি করি, তখন খুব ভালো রেসপন্স পাই। মানুষের প্রচুর সাড়া আসতে থাকে।"
তিনি নাগরি কীবোর্ড তৈরি করেন ২০১৭ সালে এবং সিলোটি.অ্যাপ তৈরি করেন ২০২৪ সালের শেষের দিকে।
বর্তমানে সিলোটি.অ্যাপ-এর সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ থেকে ১৫ হাজার, অন্যদিকে কীবোর্ডের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি। অনেকে নিয়মিত এটি ব্যবহার করেন এবং রেজিস্টার করেন।
"আমরা চাইতাম, শুধু আঞ্চলিক ভাষা হিসেবে নয়, সবাই যেন এই ভাষাটিকে একটি স্বতন্ত্র ভাষা হিসেবে জানতে পারে। চেয়েছিলাম সবাই জানুক এটি নিয়ে, সবার কাছে পরিচিতি পাক। আর এখন যখন উইকিপিডিয়া হবার খবর জানলাম, অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে," বলছিলেন সাব্বির।
গবেষক আশরাফুল করিমের মতো, সাব্বিরও মনে করেন উইকিপিডিয়ার মাধ্যমে নাগরি লিপির নতুন করে পুনর্জাগরণ সম্ভব।
"মানুষ এখন অনেক কিছু জানবে। আবার তাদের প্রদানকৃত তথ্য দ্বারা উইকিপিডিয়াও সমৃদ্ধ হবে। ফলে পরবর্তী প্রজন্ম অনেক কিছু জানতে পারবে।
যেমন– নাগরি লিপিতে লেখা অনেক পুঁথি কালের আবর্তনে হারিয়ে গেছে। এখন এই প্রজন্মের কেউ যদি সেগুলো খুঁজে পায়, তবে তারা চাইলেই উইকিপিডিয়ায় যুক্ত করতে পারবে।
এতে করে এসব সাহিত্য সাধারণ মানুষের আওতায় চলে আসবে"—বলেন সাব্বির।
ছবি: আসমা সুলতানা প্রভা