ডেইলি স্টার কার্যালয়ের সামনে নিউ এজের সম্পাদক নুরুল কবীরকে হেনস্তা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ চলাকালে ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নুরুল কবিরকে হেনস্তা ও ধাক্কাধাক্কি করেছে একদল ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারী। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে ডেইলি স্টার কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সহকর্মীরা জানান, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে দেশের শীর্ষ দুই দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ডেইলি স্টার কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার সময় প্রধান সড়কে একদল বিক্ষোভকারী তার পথ রোধ করে।
ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সেনাসদস্যরা নুরুল কবীরকে উত্তেজিত জনতার মধ্য দিয়ে নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীরা তাদের সঙ্গেও বিরূপ আচরণ করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভকারীরা সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নুরুল কবিরকে মৌখিকভাবে হেনস্তা করে এবং তার ওপর শারীরিকভাবে চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় কেউ কেউ তাকে 'আওয়ামী লীগের সহযোগী' হিসেবেও আখ্যায়িত করে।
বেশ কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তির পর নিরাপত্তা কর্মীদের হস্তক্ষেপে তিনি ডেইলি স্টার কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করতে সক্ষম হন এবং পত্রিকাটির কর্মীদের খোঁজখবর নেন। জ্যেষ্ঠ এই সাংবাদিককে হেনস্তার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
বিবিসি বাংলাকে নুরুল কবীর বলেন, 'যেহেতু দু'টি পত্রিকা অফিসে হামলার ঘটনা ঘটছে, সম্পাদক পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ববোধের জায়গা থেকেই আমি সেখানে গিয়েছিলাম খোঁজ খবর নিতে। তখন কিছু তরুণ, যারা হয়তো আমাকে চেনেন না, তারা আমার ওপর হামলা করেন'।
ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ভবন এবং ফার্মগেট এলাকায় ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা চালায় একদল বিক্ষুব্ধ জনতা। তারা ভবন দুটিতে ভাঙচুর চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
