মোহাম্মদপুরে পোষা বিড়াল হত্যা: পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণ ২ ডিসেম্বর
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মনসুর নামের এক ব্যক্তির পোষা বিড়ালকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) বাদীপক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল হকের আদালত সাক্ষ্য গ্রহণের এই তারিখ ধার্য করেন।
আইনজীবী জাকির হোসেন জানান, গত ২৫ নভেম্বর এ মামলায় তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। এরপর আদালত আগামী ২ ডিসেম্বর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী ধার্য তারিখে এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত হবে।
মামলায় সাক্ষীরা হলেন পিপলস ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ারের পক্ষে নাফিসা নওরীন চৌধুরী, বিড়ালের মালিক মনসুর হাসান ও রাইয়ান ইউসুফ কাজী।
চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিপলস ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ারের পক্ষে নাফিসা নওরীন চৌধুরী বাদী হয়ে এ মামলার আবেদন করেন।
ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মোহাম্মদপুর থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।
পরবর্তীতে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ তদন্ত শেষে আসামি আকবর হোসেন শিবলুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর গত ১৪ জুলাই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে মোহাম্মদপুরের মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের নবম তলার বাসিন্দা মনসুরের বিড়ালটি হারিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায়, ওই ভবনেরই বাসিন্দা আসামি আকবর হোসেন শিবলু বিড়ালটিকে ফুটবলের মতো এলোপাতাড়ি লাথি মারছেন।
আসামির লাথির আঘাতে বিড়ালটির নিথর দেহ পড়ে থাকার পরও মৃত্যু নিশ্চিত করতে তিনি বিড়ালটির ওপর পা দিয়ে পাড়া দেন।
ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে একজন সাক্ষী তৎক্ষণাৎ করণীয় বুঝতে না পেরে বাদীকে বিষয়টি জানান। সাক্ষীগণ ও সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে আসামি ইচ্ছাকৃতভাবে বিড়ালটিকে নিষ্ঠুর কায়দায় হত্যা করেছেন বলে নিশ্চিত হন বাদী।
এরপর তিনি মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদনও করা হয়েছিল।
প্রাণী হত্যার বিচার বাংলাদেশে নতুন নয়। এর আগে ২০১৭ সালে রাজধানীর রামপুরার বাগিচারটেক এলাকায় দুটি কুকুর ও ১৪টি কুকুরছানাকে জীবন্ত কবর দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় পরের বছরের ১০ মে ঢাকার একটি আদালত আসামিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।
