সিইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধিদল
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ের নেতৃত্বে ৭ সদস্য প্রতিনিধিদল। দলে আছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি ও সাবেক এমপি এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ।
বুধবার দুপুর ১২ টা ১০ মিনিটে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে চার নির্বাচন কমিশনার বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন।
সূত্রমতে, ইতিমধ্যে জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট আয়োজন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হয়েছে। সংসদ নির্বাচনের দিন একসঙ্গে গণভোট করার প্রস্তাবনাও যেমন রয়েছে, তেমনি জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটেরও প্রস্তাব রয়েছে। এসব নিয়েও আলোচনা হতে পারে বৈঠকে।
আগামী বছর রমজানের আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এ নিয়ে ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের সঙ্গে চলতি মাসে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার কথা রয়েছে।
ইসলামী ব্যাংকসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা করা নিয়ে বিএনপির আপত্তির মধ্যে ইসির সঙ্গে বৈঠক করছে জামায়াত।
'বিতর্কিত' ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে দুরে রাখার বিষয়ে বিএনপির আপত্তির পর জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদলটি নির্বাচন কমিশনের বসল।
পাঁচ দিন আগে বিএনপির প্রতিনিধিদল ইসির সঙ্গে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের বিষয়ে বৈঠক করে 'বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ' কর্মকর্তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছে। এ সময় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, কোনোভাবে যেন বিতর্কিতদের ভোটের দায়িত্ব দেওয়া না হয়।
ওই বৈঠকে জানানো হয়, নির্বাচনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা তথা প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বমহলের নিকট চিহ্নিত এমন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া যাবে না। যেমন ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, ইবনে সিনা ইত্যাদি।
এরপর জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল এক বিবৃতিতে 'সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচনী দায়িত্ব না দেওয়ার বিএনপি'র অযৌক্তিক আহ্বানে' উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
২৬ অক্টোবর বিবৃতিতে মিয়া গোলাম গোলাম পরওয়ার বলেন, 'গত ২৩ অক্টোবর দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচন কমিশনের প্রতি ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও ইবনে সিনা হাসপাতালসহ বিভিন্ন সেবামূলক ও অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নির্বাচনী দায়িত্ব না দেওয়ার যে আহ্বান জানিয়েছে, তাতে আমি উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমরা মনে করি, এই দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অযৌক্তিক ও সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। এর পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ নেই ।'
এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন এবং তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই বলে দাবি করেন তিনি।
এবার নির্বাচন কমিশনে গিয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরছে জামায়াত।
প্রসঙ্গত, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার থাকেন ভোটের দায়িত্বে, যাদের সংখ্যা প্রায় ৯-১০ লাখ।
