জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ এনসিপি নেতা সারোয়ার তুষারের

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–এর নেতা সারোয়ার তুষার বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি স্পষ্টভাবে উল্লেখ না করে সরকার ও কমিশন প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে নিজের ফেসবুক একাউন্টে করা এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি লিখেছেন, 'এনসিপি একটা সহজ ও স্পষ্ট দাবি জানিয়েছিল। জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায় বাস্তবায়ন পদ্ধতির উল্লেখ থাকতে হবে। অর্থাৎ, কীভাবে আপনি জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবেন, কীভাবে আইনি ও সাংবিধানিক ভিত্তি নিশ্চিত করা হবে– এর উল্লেখ সনদে থাকতে হবে।'
পোস্টে তুষার বলেন, 'জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে এ ব্যাপারে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ > গণভোট > আগামী সংসদের দ্বৈত ক্ষমতা [কনস্টিটিউয়েন্ট পাওয়ার (গাঠনিক ক্ষমতা) + আইন প্রণয়নী ক্ষমতা]- এই প্রক্রিয়ায় সনদ বাস্তবায়ন হবে। এতে সকল রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। তাহলে এটা সনদে উল্লেখ থাকতে সমস্যা কোথায়?'
তিনি আরও লিখেছেন, 'সমস্যা হলো প্রতারণা করার খাসলত। এটা উল্লেখ না রাখতে চাওয়ার কারণ হলো পরবর্তীতে বলা হবে ওই মৌখিক ঐকমত্যের কোনো গুরুত্ব নাই, সাংবিধানিক পথের (যার অর্থ করা হয় পার্লামেন্টের কাছে সংবিধান সংশোধনের এখতিয়ার প্রদান) বাইরে যাওয়ার সুযোগ নাই ইত্যাদি। এই মতলবের কারণেই ঐকমত্যে আসা বিষয়েও সনদে উল্লেখ রাখতে গড়িমসি করা হয়েছে।'
তুষার অভিযোগ করেন, 'কমিশন ও সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এখন আর সনদ সংশোধনের সুযোগ নাই। অথচ আজ যখন আহতরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবি জানাল (মাসিক ভাতা, চিকিৎসা, আইনি সুরক্ষা ও নিরাপত্তা), তখন চাপে পড়ে সাথে সাথে সনদের টেক্সটের ৫ নং ধারা সংশোধন করা হলো। কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ ক্ষমাও চাইলেন।'
তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'এখন কীভাবে সনদের টেক্সট সংশোধন করা গেল? আর বাস্তবায়ন পদ্ধতির উল্লেখের যৌক্তিক দাবিকে কীভাবে অগ্রাহ্য করা গেল? কার/কাদের নির্দেশে? এগুলোই এখনকার প্রতাপশালী রাজনীতি।'
তার ভাষায়, "কিংস পার্টি, কিংস পার্টি' বলে চিৎকার না করে কমিশন ও সরকারের অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক কারা- চোখ-কান খুলে তা বোঝার চেষ্টা করা দরকার।'
পোস্টের শেষে সারোয়ার তুষার বলেন, 'উদ্ভূত পরিস্থিতির সকল দায় সরকারের। এনসিপির সহনশীলতা ও সহযোগিতার মনোভাবকে দুর্বলতা ভেবে বসবেন না।'