দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েডের টিকাদান কার্যক্রম শুরু, চলবে মাসব্যাপী

দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। আজ রোববার (১২ অক্টোবর) থেকে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম। এসময় ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলে প্রায় ১২ লাখ ৯৪ হাজার ৬৯ জন শিশুকে টিকা দেওয়া হবে।
আজ সকালে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে টাইফয়েডের টিকাদান ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন।
ডিএনসিসি'র আওতাধীন এলাকার ২১৮১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাত লাখ ৬০ হাজার ৭৯০ জন ছাত্র-ছাত্রী ও কমিউনিটি পর্যায়ে ৬৫৬ টি ইপিআই কেন্দ্রসমূহে প্রায় পাঁচ লাখ ৩৩ হাজার ২৭৯ জন শিশুকে টিকা দেওয়া হবে।

ডিএনসিসি'র আওতাধীন এলাকার ২১৮১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০২ টি ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলের ৫৪,৬৬৮ জন, ২১ টি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড স্কুলের ৫৬,৪৬৫ জন ও ৫১০ টি মাদ্রাসার ৩,০৪,৩১৬ জন ছাত্র-ছাত্রীদের টিকা প্রদান করা হবে। টিকা কার্যক্রমে প্রতিদিন ৭১২ জন ভ্যাকসিনেটর ও ৯৭২ জন স্বেচ্ছাসেবী অংশগ্রহণ করবে।
১২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১০ কর্মদিবসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিশুদের দেওয়া হবে।

অপরদিকে ১৩ অক্টোবর হতে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রসমূহে এবং ০১ নভেম্বর হতে ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ইং পর্যন্ত স্যাটেলাইট/আউটরিচ ইপিআই কেন্দ্রসমূহে টিকা দেওয়া হবে।
টিকাদান ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পরিচালনা করা হবে এবং প্রতিটি টিম এ ২ জন ভ্যাকসিনেটর ও ৩ জন ভলান্টিয়ার কাজ করবে।

নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিদিন ৭২ হাজার শিশু ও ছাত্র-ছাত্রীকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে।
ডিএনসিসি'র এ কার্যক্রম এ কেন্দ্রীয় ও অঞ্চল পর্যায়ের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক সুপারভিশন ও মনিটরিং করবেন।
টিকাদান কার্যক্রম সমন্বয়ে নগর ভবন, ডিএনসিসি পর্যায়ে একটি মনিটরিং সেল এবং মাঠ পর্যায়ের জন্য একটি ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে। এ কার্যক্রম এ জরুরি প্রয়োজনে ডিএনসিসি'র ৫ টি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা হবে।
আজ ১৪৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৭২ হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হবে।