ওমানে দুর্ঘটনায় নিহত ৭ বাংলাদেশির মরদেহ এই সপ্তাহেই দেশে আসতে পারে: শ্রম কাউন্সিলর

মধ্যপ্রাচ্যের ওমানের দুখুম সিদ্দা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সাত বাংলাদেশির মরদেহ চলতি সপ্তাহের মধ্যে দেশে আনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মো. রাফিউল ইসলাম।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তিনি মুঠোফোনে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে (টিবিএস)- এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় ওমানের দুখুম সিদ্দা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন সাত বাংলাদেশি।
তাদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায়। মাছ ধরার জন্য সাগরের উদ্দেশে বের হলে মধ্যপথে সড়ক দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের বাড়ি উপজেলার সারিকাইত ইউনিয়নে। তারা হলেন- আমিন মাঝি, মো. আরজু, মো. রকি, সাহাব উদ্দিন ও মো. বাবলু এবং মাইটভাঙা ইউনিয়নের মো. জুয়েল ও রহমতপুর ইউনিয়নের মো. রনি। তারা সবাই ওমানে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
শ্রম কাউন্সিলর মো. রাফিউল ইসলাম টিবিএসকে বলেন, 'গত বৃহস্পতিবার লাশগুলোর ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করেছে ওমান সরকার। এর মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। আশা করছি, আগামী রবিবার বা সোমবার শনাক্তকরণ পত্র পাব।'
তিনি বলেন, 'ইতোমধ্যে বাংলাদেশ বিমানের সঙ্গে কথা বলে কার্গো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আমাদের দিক থেকে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া এগিয়ে রাখা হয়েছে। যেন দ্রুততার সঙ্গে লাশ দেশে পাঠানো সম্ভব হয়।'
ওমান কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ পেতে হলে নিহতদের পরিবারের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, 'ওমানে মামলা পরিচালনা ক্ষমতা দূতাবাস কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে। যেহেতু তারা দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে বলা যায়, তাদের কোনো ভুল ছিল। এজন্য প্রায় ১৫ হাজার ওমানি রিয়েল পাবে। বাংলাদেশি টাকায় তা প্রায় ৪৮ লাখ টাকা।'
তিনি আরও বলেন, 'নিহতদের পরিবার না বুঝে অনেক সময় অন্য প্রবাসী বা একাধিক ব্যক্তিকে মামলার পরিচালনার ক্ষমতা দেন। তখন তারা ক্ষতিপূরণ পান, কিন্তু নিহতের পরিবারকে দেন না। এক্ষেত্রে আমাদেরও কিছু করার থাকে না।'