রাজধানীর ৮৯ পূজামণ্ডপ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, বড় ধরনের নাশকতার শঙ্কা নেই: ডিএমপি

পূজা ঘিরে বড় ধরনের নাশকতার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তবে রাজধানীর ২৫৯টি পূজামণ্ডপের মধ্যে ৮৯টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে সেখানে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পূজার নিরাপত্তা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'এবারের দুর্গাপূজা ঘিরে বড় ধরণের কোনও নাশকতার শঙ্কা নেই। তবুও কিছু পূজামণ্ডপকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব মণ্ডপে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ, সিটিটিসি, সাইবার ইউনিট, বোম ডিস্পোজাল ইউনিট ও সোয়াট সদস্যরা নিরাপত্তা দেবেন।'
তিনি আরও বলেন, 'রাজধানীর প্রতিটি পূজামণ্ডপকে নিরাপত্তা দিতে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। এবার চার স্তরে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপির গোয়েন্দা সদস্যসহ বিশেষ ইউনিটগুলো নিয়োজিত থাকবে।'
ডিএমপি কমিশনার জানান, মণ্ডপগুলোর শ্রেণিভেদে প্রত্যেকটিতে পুলিশ ও আনসার মিলিয়ে ন্যূনতম ১১ জন থেকে ৫০ জন পর্যন্ত নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন রয়েছে। চেকপোস্টের বাইরে পূজা কেন্দ্রিক প্রায় ২২০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। প্রতিমা বিসর্জনের দিন পৃথক কনভয় পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শোভাযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে অতিরিক্ত আরও প্রায় ২৪০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। পলাশীর মোড়, রায় সাহেববাজার ও ওয়াইজঘাটে তিনটি অস্থায়ী ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, উৎসবকে সবার কাছে উৎসবমুখর পরিবেশে রাখতে প্রতিটি পূজামণ্ডপকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া পুলিশের পাশাপাশি পূজা উদযাপন কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরাও দায়িত্ব পালন করবেন।
মন্দির ও প্রতিমার নিরাপত্তায় পূজা উদযাপন কমিটির প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'ভক্তরা রাতে মন্দির থেকে চলে যাওয়ার পর থেকে ভোরে ফের আসার আগ পর্যন্ত অন্তত দুইজন স্বেচ্ছাসেবককে দায়িত্বে থাকতে হবে, যাতে কোনও অপ্রত্যাশিত ঘটনা না ঘটে।'