দুর্গাপূজায় নাশকতা রুখতে নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান ফখরুলের

দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র বা নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, সমমনা দল এবং সাধারণ জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
ফখরুল বলেন, 'আর কয়েকদিনের মধ্যেই হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে দুর্গাপূজা সফলভাবে উদযাপনের জন্য হিন্দু জনগোষ্ঠীর মানুষরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন। একটি জাতিগোষ্ঠীর যেকোনো ধর্মীয় উৎসব অন্য সম্প্রদায়ের মধ্যেও আনন্দ ও শুভেচ্ছাবোধ জাগ্রত করে।'
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে যুগ যুগ ধরে মহিমান্বিত মর্যাদায় দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়ে আসছে। তবে কখনো কখনো স্বার্থান্বেষী মহল হীন স্বার্থে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করতে চক্রান্ত চালায়। এ ধরনের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক বিভাজন ঘটিয়ে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা হয়। আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে সতর্ক থেকে এসব হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল ঐতিহ্য বহন করে এসেছে। আমাদের সেই ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কেউ যেন চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র বা নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য বিএনপি নেতাকর্মী, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, সমমনা দল ও জনগণকে সজাগ থাকতে আহ্বান জানাচ্ছি। যাতে শান্তি ও সহাবস্থানের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হতে পারে।'
তিনি আরও আহ্বান জানান, সারাদেশের পুজামণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিএনপি নেতাকর্মীদের 'অতন্দ্র প্রহরীর' মতো কাজ করতে। পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে সমান স্বচ্ছন্দে, উৎসাহে ও নিরাপত্তায় পূজার আনন্দ ভাগ করে নিতে পারেন, সেজন্য অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়কেও সহযোগিতার আহ্বান জানান ফখরুল।