প্রথমবারের মতো নির্বাচন কর্মকর্তা সম্মেলন আয়োজন

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রথমবারের মতো 'নির্বাচন কর্মকর্তা' সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শনিবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে বেলা ১১টায় এ সম্মেলন শুরু হয়।
সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনসহ চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি সচিব উপস্থিত হয়েছেন। বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিইসিওএ) এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের জন্য 'ইলেকশন কমিশন সার্ভিস' চালুর বিষয়ে আইন সংশোধনে সরকারের সম্মতি পাওয়ার পর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিইসিওএ) আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, "অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো নির্বাচন কর্মকর্তা সম্মেলন হচ্ছে। এতে সারাদেশের আট শতাধিক প্রথম শ্রেণির নিজস্ব কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনে নিজেদের কথা যেমন উপস্থাপন করা হবে, তেমনি আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সবাই ইসির দিকনির্দেশনাও পাবেন।"
তিনি আরও জানান, কর্মকর্তারা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু শুরু থেকেই জনবলের ঘাটতি ছিল। ইতোমধ্যে ভোটার সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এনআইডি সেবার চাপ প্রায় দেড়গুণ হয়েছে, কিন্তু সেই অনুপাতে জনবল বাড়েনি। এ কারণে উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস এবং সার্ভার স্টেশন নির্মাণের মাধ্যমে অবকাঠামো আধুনিকায়নের পাশাপাশি দক্ষ জনবল তৈরিতে ইসি উদ্যোগ নিচ্ছে।
মনির হোসেন বলেন, 'আমরা চাই জাতীয় নির্বাচনের সময় রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব যেন আমাদের দেওয়া হয়। আশা করি এ বিষয়ে ইসি কাজ করবে।'
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে কর্মকর্তাদের এই 'মিলনমেলায়' নিজেদের দাবি উপস্থাপনের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে ভোট প্রস্তুতির দিকনির্দেশনা পাবেন অংশগ্রহণকারীরা। এই সম্মেলনকে ঘিরে ইসি কর্মকর্তাদের মধ্যে বেশ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইসি সচিবালয়, দশটি আঞ্চলিক ও জেলা অফিস, পাঁচ শতাধিক থানা/উপজেলা নির্বাচন অফিসে প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি এবং এনআইডি উইংয়ে সহস্রাধিক লোকবল কর্মরত আছে। এদের মধ্যে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা রয়েছেন আট শতাধিক।