কুষ্টিয়ায় মাত্র ১০৯ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ২৭ জন

কুষ্টিয়ায় মাত্র ১০৯ টাকায় ২৭ জন তরুণ-তরুণী পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার পর কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময় তিনি নিয়োগপ্রাপ্তদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
চাকরি পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রার্থীদের পরিবারে বইতে শুরু করে আনন্দের বন্যা। কেউ খুশিতে কান্নায় ভেঙে পড়েন, কেউবা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন স্বপ্নপূরণের আনন্দে।
গত ২০ আগস্ট কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় মাঠপর্যায়ের প্রাথমিক পরীক্ষা। সেখানে অংশ নেন ১ হাজার ২৭৩ জন প্রার্থী। তিন দিনব্যাপী পরীক্ষার পর প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হন ৩৪৭ জন। পরবর্তীতে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ৩২৯ জন প্রার্থী, যেখানে উত্তীর্ণ হন ৫০ জন। চূড়ান্ত মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন ৪৮ জন। সবশেষে, কুষ্টিয়া জেলার জন্য বরাদ্দ ২৭টি পদে ২৭ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এই ২৭ জনের মধ্যে একজন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সুযোগ পান। বাকিদের মধ্যে রয়েছেন ২৫ জন পুরুষ ও ২ জন নারী।
সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত এক কনস্টেবল বলেন, 'আমার বাবা ভ্যান চালান। ঘুষ দেওয়ার সামর্থ্য নেই। কিন্তু আজ প্রমাণ হলো, যোগ্যতার মাধ্যমে ঘুষ ছাড়াই পুলিশে চাকরি পাওয়া যায়।'
আরেকজন বলেন, 'কে বলেছে পুলিশে ঘুষ ছাড়া চাকরি হয় না? আমরা এক কোটি বার প্রমাণ করব, যোগ্যতা থাকলেই সম্ভব।'
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, 'এবারের নিয়োগ প্রক্রিয়া শতভাগ স্বচ্ছ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সম্পন্ন হয়েছে। এখানে ঘুষ, অনিয়ম কিংবা সুপারিশের কোনো সুযোগ ছিল না। যারা নির্বাচিত হয়েছে তারা সম্পূর্ণ নিজেদের মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমেই চাকরি পেয়েছে।'
তিনি আরও জানান, এই স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনবে এবং তরুণ সমাজকে দেখাবে যে সততা ও যোগ্যতার মাধ্যমেই সরকারি চাকরি অর্জন সম্ভব।