সারাদেশে খাস জমি চিহ্নিত করতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি

দেশে কী পরিমাণ খাস জমি আছে, তা চিহ্নিত করতে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে সরকার। এই কমিটি জমিগুলো কী অবস্থায় আছে, কী কাজে ব্যবহার হচ্ছে এবং কী পরিমাণ জমি বেদখলে রয়েছে, এসব তথ্য বের করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
ভূমি ও খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারকে কমিটিতে প্রধান করা হয়েছে। কমিটিতে আরও রয়েছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান।
উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে নিয়ে এই কমিটি সারাদেশে খাস জমির পরিমাণ চিহ্নিত করতে কাজ করবে।
তিনি বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন একটা বড় সমস্যা হলো ভূমি অধিগ্রহণ। এই ভূমি অধিগ্রহণের কারণে আমাদের কৃষি জমির পরিমাণও কমে যাচ্ছে। খাস জমিতে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে সরকারি জমির সর্বোত্তম ব্যবহার হবে।
উপদেষ্টা বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতার অন্যতম কারণ হিসেবে বারবার উঠে আসছে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার জটিলতা। প্রকল্প প্রস্তাব তৈরির সময়ই ভূমি অধিগ্রহণে বিলম্বের সম্ভাবনা অনুমান করা হলেও তা বাস্তবে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয় না। ফলশ্রুতিতে বেশিরভাগ প্রকল্প বাস্তবায়নেই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগে।
সভায় জানানো হয়, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা বিপুল পরিমাণ খাস জমি দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত রয়েছে। এর মধ্যে কোথাও কোথাও অবকাঠামো নির্মাণ হলেও তা কার্যত ব্যবহার হচ্ছে না। এমন বাস্তবতা মাথায় রেখে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, আগামী দুই মাসের মধ্যে খাস জমির হিসাব কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষণ করা হবে। ভবিষ্যতে নতুন কোনো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ কিংবা অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে জমির প্রয়োজন হলে প্রথমেই নিকটবর্তী অব্যবহৃত খাস জমি ব্যবহার করার বিষয়টি অগ্রাধিকার পাবে।