ডাকসুর প্রথম কার্যনির্বাহী সভা: সিনেট সদস্য হচ্ছেন ৫ ছাত্র প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রথম কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ডাকসুর নবনির্বাচিতদের মধ্যে পাঁচজনকে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে সিনেট সদস্যের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপাচার্যের কার্যালয় সংলগ্ন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকসুর নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের কার্যক্রম শুরু হলো।
ডাকসু ভবনে নির্মাণকাজ চলমান থাকায় আপাতত উপাচার্যের অফিসের পাশের কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। এতে ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি, জিএস, এজিএসসহ পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে পাঁচজন ছাত্র প্রতিনিধির নাম পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন—ভিপি সাদিক কায়েম, জিএস এস এম ফরহাদ, এজিএস মহিউদ্দীন খান, সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া সদস্য সাবিকুন্নাহার তামান্না এবং পরিবহন সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ।
নব নির্বাচিত জিএস এস এম ফরহাদ জানান, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে থেকে সিনেটে পাঁচজন পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং আমাদের সিদ্ধান্ত গ্যাজেট আকারে প্রকাশিত হবে।
সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ডাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, 'ডাকসুতে কারো ব্যক্তিগত জয় বা পরাজয় নেই। নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী হয়েছে জুলাই প্রজন্ম, বিজয়ী হয়েছে শহীদদের আকাঙ্ক্ষা। আমরা যারা নির্বাচিত হয়েছি, সবাই শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি। আমাদের দায়িত্ব হলো শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ও প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ হাজার শিক্ষার্থী তাদের যে কোনো সমস্যা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারবেন। আমরা সব সমস্যার সমাধানে প্রস্তুত।'
তিনি আরও বলেন, 'সাবেকদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে শিক্ষার্থীদের কাছেও যাবো, তাদের মতামত শুনবো ও নোট নেবো। খুব শিগগিরই বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে এবং এ মাসে কোন কোন কাজ হচ্ছে তার রূপরেখা জানানো হবে।'
নব নির্বাচিত জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, 'আজ থেকে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে যে, যে মতেরই থাকি না কেন, আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের দাবি তুলে ধরতে চাই, সবার প্রতিনিধি হয়ে কাজ করতে চাই। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি অল্প সময়ে এক্সিকিউটিভ প্লানগুলো গ্ৰহণ করবো, নির্বাচিতদের ১২ মাসে কী কী কাজ হতে পারে, কোন সপ্তাহে কী কী কাজ হতে পারে এই পরিকল্পনাগুলো করে অল্প সময়ের মধ্যে কাজে নেমে পড়বো।'
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে শীর্ষ তিন পদসহ ২৮টির ২৩টি পদেই বিজয়ী হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের প্রার্থীরা। ভিপি পদে সাদিক কায়েম, জিএস পদে এসএম ফরহাদ ও এজিএস পদে মহিউদ্দীন খান নির্বাচিত হয়েছেন। এ প্যানেলের বাইরে বাকি পাঁচটি পদের মধ্যে চারটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও একটিতে বামপন্থী প্যানেল প্রতিরোধ পর্ষদের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।