ডাকসু নির্বাচনে ভরাডুবি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত প্যানেলের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সমর্থিত 'বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ' প্যানেলের। গতকাল (৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সংগঠনটির কেউই জয়ী হতে পারেননি।
'বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ'-এর নেতৃত্বে ছিলেন বাগছাসের দুই নেতা আব্দুল কাদের ও আবু বাকর মজুমদার। তবে তাদের কেউই ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো পদে জয় পাননি।
সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে আব্দুল কাদের পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ১০৩ ভোট। অন্যদিকে শিবির নেতা মো. আবু সাদিক (কায়েম) বিপুল ব্যবধানে নির্বাচিত হন ভিপি পদে। তিনি পান ১৪ হাজার ৪২ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আবু বাকের মজুমদার। তিনি পান ২ হাজার ১৩১ ভোট। আর শিবির নেতা এস এম ফারহাদ জয়ী হন ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে।
সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে 'বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ' প্যানেলের আশরেফা খাতুন পান ৯০০ ভোট। বিপরীতে শিবির সমর্থিত প্রার্থী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন খান জয়ী হন ১১ হাজার ৭৭২ ভোট পেয়ে।
মোট ২৮টি কেন্দ্রীয় পদে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ২৩টি পদে জয়ী হয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির, যার মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভিপি ও জিএস পদ।
'বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ' প্যানেল থেকে কেন্দ্রীয় সংসদের নির্বাচনে তিনজনকে মনোনয়ন দিয়েছিল বাগছাস। তবে সংগঠনের আরও কয়েকজন নেতা-কর্মী ও 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন'-এর সাবেক নেতারাও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ব্যাপক প্রচারণা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় উপস্থিতি সত্ত্বেও সংগঠনটি কেন্দ্রীয় সংসদের ২৮টি পদের কোনোটি জিততে পারেনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হয়ে ক্যাম্পাসে সক্রিয় থাকা সমন্বয়করা ২০২৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাগছাসের যাত্রা শুরু করেন।