মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় জড়িতরা শাস্তি পাবে: রাজবাড়ীতে অতিরিক্তি ডিআইজি

রাজবাড়ীতে নুরাল পাগলার মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় জড়িতরা শাস্তি পাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সিদ্দিকুর রহমান।
তিনি বলেন, নুরাল পাগলার মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় জড়িতরা শাস্তি পাবে, এমনকি প্রশাসনের লোক হলেও তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার মাজার পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, ' নুরাল পাগলা মাজারকে কেন্দ্র করে যারা অশান্তির কারণ, যারা আইন-শৃঙ্খলা ভেঙেছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'এ ঘটনায় কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'
এসময় রাজবাড়ীর পুলিশ সুপারসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সোমবার বেলা ১২টা থেকে নুরাল পাগলার ক্ষতিগ্রস্ত মাজারে কাজ করছে সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর নুরাল পাগলার মাজার ও কবরকে কেন্দ্র করে ইমান ও আকিদা রক্ষা কমিটি ও তৌহিদী জনতার বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, মাজার ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পর গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই সেলিম মোল্লা বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান, শুক্রবার জুম্মার পর বিক্ষোভ সমাবেশ করে তৌহিদী জনতা। বিক্ষোভ থেকে হামলা চালানো হয় নুরাল পাগলের দরবার শরীফে। পাল্টা আক্রমণ করেন নুরাল পাগলের ভক্তরা। সংঘর্ষে একজন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হন। পরে নুরাল পাগলার দরবার শরীফে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয় তৌহিদী জনতা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে হামলা চালানো হয় পুলিশের ওপর, ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। সেই মামলায় মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।