ফ্লাইট এক্সপার্ট প্রতারণা: যাত্রী বা এজেন্সির অনুমতি ছাড়া রিফান্ড বন্ধে নির্দেশনার দাবি

অনলাইনে উড়োজাহাজের টিকিট বুকিংয়ের প্ল্যাটফর্ম ও ট্রাভেল এজেন্সি ফ্লাইট এক্সপার্ট লিমিটেড –এর মাধ্যমে ইস্যুকৃত টিকিট যাত্রী বা সংশ্লিষ্ট এজেন্সির অনুমতি ছাড়া রিফান্ড বা ক্যানসেল না করার নির্দেশনা জারির দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ইতোমধ্যে রিফান্ড হওয়া টিকিটের অর্থ জরিমানাসহ ফেরত দেওয়ার দাবি তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।
আজ শনিবার (৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে ফ্লাইট এক্সপার্ট লিমিটেডের প্রতারণায় ক্ষতিগ্রস্ত এজেন্টরা জানান, ২০১৭ সাল থেকে কার্যক্রম চালিয়ে আসা ফ্লাইট এক্সপার্ট সম্প্রতি শত শত ট্রাভেল এজেন্সি ও হাজারো যাত্রীর কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে প্রতারণা করেছে।
এঘটনায় গত ৩ আগস্ট মতিঝিল থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। মামলার আসামিদের মধ্যে কয়েকজন গ্রেপ্তার হলেও—কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান বিন রশিদ সায়েম ও চেয়ারম্যান এম এ রশিদ শাহ সম্রাট পলাতক রয়েছেন।
মানববন্ধন থেকে ভুক্তভোগীরা জানান, আদালতের নির্দেশে ৭ আগস্ট ফ্লাইট এক্সপার্ট পোর্টাল থেকে ইস্যুকৃত টিকিট অনুমতি ছাড়া রিফান্ড বা ক্যানসেল না করার জন্য মতিঝিল থানায় একটি স্থগিতাদেশ পাঠানো হয়।
তবে তদন্তে দেখা গেছে, ফ্লাইট এক্সপার্ট তাদের নিজস্ব আইএটিএ আইডি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও তৃতীয় পক্ষের এজেন্সির মাধ্যমে (যেমন হাজী এয়ার ট্রাভেলস, সোমা ইন্টারন্যাশনাল, প্রমা ওভারসীজ, ফ্লাই ফার ইন্টারন্যাশনাল, ভেলেনসিয়া এয়ার ট্রাভেলস প্রভৃতি) টিকিট ইস্যু করেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এজেন্সিগুলোর অভিযোগ, এসব তৃতীয় পক্ষ এজেন্সি অনেক ক্ষেত্রে অনুমতি ছাড়া যাত্রীদের টিকিট রিফান্ড করে টাকা নিজেদের হিসাবে নিয়েছে। এমনকি একই যাত্রার জন্য পুনরায় টিকিট ইস্যুর সময় বেশি ভাড়া নেওয়া হলেও কোনো রসিদ দেওয়া হয়নি।
আইনগতভাবে এই কার্যক্রম ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯, আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা আইএটিএ'র বিধান, ও বাংলাদেশের বেসসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নিয়মাবলী–এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত এজেন্টরা।
এসময় তারা ফ্লাইট এক্সপার্ট পোর্টাল থেকে ইস্যুকৃত টিকিট যাত্রী বা এজেন্সির অনুমতি ছাড়া রিফান্ড/ক্যানসেল বন্ধে নির্দেশনা জারিসহ পাঁচটি দাবি তুলে ধরেন।
অন্যান্য দাবিগুলো হলো: ইতোমধ্যে রিফান্ড হওয়া অর্থ জরিমানাসহ ফেরত দেওয়া এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব রিফান্ড/ক্যানসেলেশন স্থগিত রাখা।
ক্ষতিগ্রস্ত একজন এজেন্ট বলেন, "এটি শুধু একটি কোম্পানির প্রতারণা নয়; এটি গোটা ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রি, প্রবাসী যাত্রী, চিকিৎসা ও শিক্ষা উদ্দেশ্যে ভ্রমণকারী এবং ওমরাহ যাত্রীদের জন্য এক মারাত্মক ক্ষতির ঘটনা।"